ট্রাফিক আইন জরিমানা মোটরসাইকেল ২০২৩ । হেলমেট না থাকলে জরিমানা কত টাকা?
হাইওয়ে পুলিশ যে সকল কারণে আপনাকে মামলা দিতে পারে – বাইক বা যান বাহন পরিচালনার সময় যে বিষয় খেয়াল রাখতে হবে – ট্রাফিক আইন জরিমানা মোটরসাইকেল ২০২৩
রাস্তায় যান বাহন চালনায় যে কাগজপত্র সাথে রাখতে হবে– সড়কে মোটরযান চলানোর ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত কাগজপত্র সাথে রাখতে হবে- (১) চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, (২) মোটরযানের নিবন্ধন সনদ ( ব্লুবুক), (৩) হালনাগাদ ট্যাক্সটোকেন, (৪) হালনাগাদ ফিটনেস সনদ (মোটরসাইকেল ব্যতিত সকলের), (৫) হালনাগাদ রুট পারমিট (বাণিজ্যিক মোটরযানের ক্ষেত্রে)।
কোন কোন ক্ষেত্রে জরিমানা করা হবে? মোটরবাইক চালক ও পিলিয়ন যদি বেল্ট না বেঁধেই হেলমেট পরতে হবে। হেলমেটের বেল্ট বাঁধা থাকতে হবে। হেলমেটে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (BIS) সার্টিফিকেশন থাকতে হবে বা আইএসআই (ISI) চিহ্ন থাকতে হবে মোট কথা সার্টিফাইড হেলমেট পড়তে হবে। এই নিয়মের একটিও মেনে চলা না হলে জরিমানা করা হবে। মোটর ভেহিকেলস আইন ১৯৯৮ এর ১৯৪ডি ধারা অনুযায়ী, ‘১২৯ ধারায় প্রণীত বিধি লঙ্ঘন করে মোটরসাইকেল চালায় তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হবে এবং তিনমাসের জন্য তাঁর লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’
দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা – ধারা-১৩৭: মোতাবেক যদি কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালায়, গাড়িতে মেটালিক নাম্বার প্লেট ব্যবহার করে, ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়, নাম্বার প্লেট অস্পষ্ট, বাম্পার দ্বারা নাম্বার প্লেট আবৃত থাকে এবং রং পার্কিং করে; তাহলে উক্ত দ্বারা মোতাবেক ড্রাইভার বা মালিকের ২০০/-টাকা জরিমানা হবে। ধারা-১৩৯: এ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোন গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ণ সংযোজিত পাওয়া গেল-উক্ত দ্বারা মোতাবেক ১০০/-টাকা জরিমানা করা হবে। ধারা-১৪০: এ ধারায় বলা হয়েছে যে, নিষিদ্ধ স্থানে হর্ণ বাজাইলে, ট্রাফিক নির্দেশাবলী অমান্য করিলে, বাঁধা সৃষ্টি ও তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানাইলে, ট্রাফিক সংকেত অমান্য করিলে, ওয়ান-ওয়ে অমান্য করিলে, নিষিদ্ধ ইউটার্ণ করিলে, নিষিদ্ধ সময়ে যানবাহন চলাচল করিলে-উক্ত দ্বারা মোতাবেক ২৫০/-টাকা জরিমানা করা হবে। সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮
ধারা-১৪২: এ ধারায় বলা হয়েছে আইনানুগ সর্ব্বোচ্চ গতিসীমা লংগন করিলে-জরিমানা হবে ৩০০/-টাকা মাত্র। ধারা-১৪৬: এ ধারায় বলা হয়েছে যে, দূর্ঘটনা সংক্রান্ত অপরাধ করিলে-জরিমানা হবে ৫০০/-টাকা মাত্র। ধারা-১৪৯: এ ধারায় বলা হয়েছে যে, যানবাহনের হেড লাইট, ব্যাক লাইট, ইন্ডিকেটর, ব্রেক লাইট, লুকিং গ্লাস, রিয়ার মিরর (পেছনে দেখার আয়না), ওয়াইপার না থাকিলে বা ক্রটিযুক্ত থাকিলে, যানবাহলে আনসেইফ লোডিং থাকিলে, মটর সাইকেলে ২ জনের অধিক আরহন করিলে, চালকের পাশে বা ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করিলে, হেলমেট ব্যবহার না করিলে-জরিমানা হবে ৩০০/-টাকা মাত্র। বাইক রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২২ । নতুন বাইক রেজিস্ট্রেশনে কোন খাতে কত টাকা ফি দেখে নিন।
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ / নতুন আইনে জরিমানা ও দন্ড পরিমাণ ও মেয়াদ ২০২৩
মোটর সাইকেলে পিলিয়ন বা সহযাত্রীর হেলমেট ছাড়া বাইক চালনায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে
Caption: Fine announce by BRTA
সড়ক আইন ২০১৮ এর ৬৩ ধারার পরিবর্তনগুলো এক নজরে দেখে নিই
- সংশোধিত আইন অনুযায়ী, কোনো জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী গাড়িকে রাস্তা ছাড়তে ব্যর্থ হলে জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। আগে এই জরিমানার পরিমাণ ছিল ২ হাজার টাকা।
- যোগ্যতা হারানো কোনো চালক গাড়ি চালালেও ১০ হাজার টাকার জরিমানা হতে পারে।
- মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালে ১০ হাজার টাকার জরিমানা হতে পারে।
- চলমান অবস্থায় কানে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় গাড়ি চালালে জরিমানার পরিমাণ ৫ হাজার টাকা। আগে এ ক্ষেত্রে জরিমানা করা হতো এক হাজার টাকা।
- ক্রসিংয়ে লাল সিগন্যাল না মেনে গাড়ি চালালে জরিমানা ৩ হাজার টাকা। আগে যা ছিল ৫০০ টাকা।
- গাড়ির গতির ঊর্ধ্বসীমা না মানলে জরিমানা ১-২ হাজার টাকা। আগে এই জরিমানা ছিল ৪০০ টাকা।
- কোনো নাবালক গাড়ি চালালে জরিমানার পরিমাণও বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে গাড়ির মালিকের জরিমানা ধার্য হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে না রেখে গাড়ি চালালে জরিমানা ৫ হাজার টাকা।
- বিমার কাগজের প্রত্যায়িত কপি গাড়িতে না রেখে রাস্তায় বের হলে জরিমানা ২ হাজার টাকা। বর্তমানে কোন জরিমানা আরোপ করা হয় না।
- সিট বেল্ট না বেঁধে গাড়ি চালালে জরিমানা এক হাজার টাকা।
- গাড়িতে ওভার লোডিং করলে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
- দু’চাকার গাড়ি (মোটর বাইক, স্কুটি) আরোহী হেলমেট না পরলে জরিমানা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার টাকা।
- কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করলে ন্যূনতম জরিমানা ২ হাজার টাকা।
- অন্য দিকে লাইসেন্স নীতি না মানলে সর্বোচ্চ জরিমানা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত। একই সঙ্গে হতে পারে তিন বছরের কারাবাস।
ক্ষতিকর ধোয়া নি:স্বরণ হলে জরিমানা হয় কি?
হ্যাঁ হয়। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা-১৫০: যে সকল যানবাহন হইতে স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর এমন ধোয়া বাহির হইলে-জরিমানা হবে ২০০/-টাকা মাত্র। ধারা-১৫১: অস্বচ্ছ, রঙ্গীন, কালো গ্লাস ব্যবহার করিলে, ট্রিনটেড পেপার ব্যবহার করিলে, ফিটনেস সার্টিফিকেটের সহিত গাড়ির রংয়ের মিল না থাকিলে, গাড়ির টায়ার পরিবর্তন করিলে, সরকার নির্ধারিত রং ব্যতিত অন্যকোন রং ব্যবহার করিলে, বিআরটিএর অনুমতি ছাড়া গাড়ির রং পরিবর্তন করিলে ও মালিকানা পরিবর্তন না করিলে-জরিমানা হবে ১,২৫০/-টাকা মাত্র। ধারা-১৫২: এ ধারায় বলা হয়েছে যে, রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, রুট পারমিট (যে সকল যানবাহনের ক্ষেত্রে প্রযোজন্য) না থাকিলে, ফিটনেস সার্টিফিকেট অথবা রুট পারমিটের মেয়াদ শেষ হইলে, রুট পারমিটের শর্ত অমান্য করিলে, সিএনজি চালিত অটোরিকসা, ট্যাক্সিক্যাব এর চালক গন্তব্যস্থলে যাত্রী বহনে অস্বীকার করিলে, অনটেষ্ট, এপ্লাইড রেজিষ্টেশন (এ এফ আর), ড্রাইবার ব্যতিত আট আসন বিশিষ্ট গাড়ির রুট পারটিম না থাকিলে, গ্যারেজ নাম্বার দিয়ে গাড়ি চালাইলে-এ ধরণের প্রতিটি অপরাধের জন্য পৃথক পৃথক ভাবে ৭০০/-টাকা মাত্র জরিমানা করার বিধান আছে এবং হয়ে থাকে।
ইস্যুরেন্স না করা থাকলে কি এখন জরিমানা হয়?
না। ধারা-১৫৩: এ ধারায় বলা হয়েছে যে, লাইসেন্স ব্যতিত কিংবা প্রবিধান লংঘণ পূর্বক গাড়িতে এজেন্ট বা ক্যানভাসার নিয়োজিত থাকিলে-জরিমানা হবে ১৫০/-টাকা মাত্র। ধারা-১৫৪: যানবাহনের ওজন, মালসহ ওজন, নির্ধারিত ওজনের চেয়ে অতিরিক্ত থাকিলে-জরিমানা হবে ৫০০/-টাকা মাত্র। ধারা-১৫৫: এ ধারায় বলা হয়েছে যে, ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেট না থাকিলে, ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেটে মেয়াদ শেষ হইলে-জরিমানা হবে ৫০০/-টাকা মাত্র।