মওকুফ দাখিলা বিধান । যে সকল ক্ষেত্রে ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা মওকুফ করা যাবে
সময়মত খাজনা পরিশোধ না করলে সরকার জমি বা ভূমি মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করবে – মওকুফ দাখিলা বিধান।
মওকুফ দাখিলা কি? ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ হয়ে থাকলে উক্ত মওকুফাধীন কৃষি জমির মালিকগণ প্রতি খতিয়ানের জন্য ২/= টাকা হারে রশিদ খরচ দিয়ে মওকুফ দাখিলা গ্রহণ করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে মওকুফ দাখিলা যে বছরের জন্য দেয়া হবে সেই বছর উল্লেখ করে এবং জমির শ্রেণী নিশ্চিত হয়ে দিতে হবে ।
আংশিক কর পরিশোধ বিধান কি? এজমালী জোতের আংশিক কর আদায় ও সার্টিফিকেট সংশোধন করা হয়েছে। যদি কোনো জমিতে এজমালী জোতের সহ অংশীদার থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে এজমালীজোতের সহ অংশীদারদের মধ্যে যে কোনো অংশীদারের ভূমি উন্নযন কর বা খাজনাআংশিকভাবে আদায় করা যাবে৷ যদি কোনো এজমালী জোত বা জমির উপর কোন সার্টিফিকেট মামলা দায়ের হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে যদি কোনো সহ অংশীদার তার অংশের খাজনা পরিশোধ করতে আগ্রহী হন সেক্ষেত্রে সহ অংশীদারের খাজনা গ্রহণ করে তার নাম সার্টিফিকেট মামলা থেকে বাদ দিয়ে সার্টিফিকেট সংশোধন করতে হবে।
সার্টিফিকেট মামলা কি? সরকারী ও বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের দাবি আদায়ের জন্য সরকারী পাওনা আদায় আইন-১৯১৩ এর বিধান মোতাবেক যে মামলা চালু করা হয় তাকে সার্টিফিকেট মামলা বলা হয়। শুধুমাত্র ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য যে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করা হয় তাকে রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা বলা হয়।
রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা ও জমি/ ভূমি খাস হওয়ার আগেই দ্রুত ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিশোধ করুন।
টানা তিন বছর কেউ জমির খাজনা না দিলে তার জমি বাজেয়াপ্ত ও খাস করা হবে। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কারও জমি অবৈধভাবে দখল করে নিলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এদিকে জমির মালিকদের ‘ভূমি মালিকানা সনদ (সার্টিফিকেট অব ল্যান্ড ওনারশিপ-সিএলও)’ দেবে সরকার।
যে ক্ষেত্রে খাজনা মওকুফ করা যাবে । আদেশটি ১২/৪/১৯৮৮ ইং তারিখর স্মারক নং-ভূ:ম:/শা- ৩/১৫ -৯১/ ৮৮/ ৪৩১, মতে কার্যকর করা হয়েছে ৷
- ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা ৩ বছর পর্যন্ত অগ্রিম আদায় করা যাবে ৷
- কৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা ২ কিস্তিতে আদায় করা যেতে পারে।
- ১৯৫০ সালেরস্টেট একুইজিশন এন্ড টেনন্সি এক্টের ১৫১ ধারা এবং ১৯৭৬ সালের ভূমি উন্নয়ন করে অধ্যাদেশের ৩ (ক) ধারায় বলা হয়েছে যে, মসজিদ,ঈদগাহ মাঠ, মন্দির,গীর্জা, প্যাগোডা, কবরস্থান, শ্মশান ঘাট,মাদ্রাসাইত্যাদি যে জমির উপর অবস্থিত সেই জমির ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা ডেপুটিকালেক্টর বা জেলা প্রশাসক বা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মওকুফ করেদিতে পারেন ৷
- ১৯৭৬ সালের ভূমি উন্নয়ন কর বিধিতেবলা হয়েছে প্রতি বছররিটার্ণ-৩ পূরণকরার সময় তহসীলদারের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জমিরশ্রেণী নির্বাচন বাপরিবর্তন করতে পারেন ৷
- তবে খাস জমির শ্রেণী পরিবর্তনের জন্যঅতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর অনুমোদন লাগবে ৷
খাজনা বাকি থাকলে কি ভূমি অফিস মামলা করে?
১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনন্সি ১৪২ ধারায় বলা হয়েছে যে যদি এক বছরের ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা বাকী থাকে তাহলে যেক্ষেত্রে বকেয়া খাজনা আদায়ের জন্য সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করা যাবে কিন্তু যদি ৩ বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করা না হয় তাহলে আর সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করা যাবে না কারণ তাতামাদি দোষে বারিত হয়েছে বলে গণ্য হবে।