পাকিস্তানের কাছে পাত্তাই পেলনা বাংলাদেশ
সিলেটে গত রাত হতেই বৃষ্টি হচ্ছিল। আজ সকালের দিকে বৃষ্টি থামলেও মেঘলা আবহাওয়ায় বৃষ্টির আশঙ্কা তো ছিলই। সকালের এমন কন্ডিশনেই নারী এশিয়া কাপের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস হেরেছে বাংলাদেশ। বিসমাহ মারুফও টস–ভাগ্যের সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে। এরপর সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ২ নম্বর মাঠে দাপটের সাথে শুরু করের পাকিস্তানি বোলারা। পেস বোলারদের জন্য তো সুইং ছিলই। স্পিনারদের জন্য ও ছিল বিশাল সুবিধা। অপরদিকে সিলেটের নিচু বাউন্স তো ছিলই।
পাকিস্তানি বোলিংয়ের দাপট
স্পিনারদের কিছু বল তো দুই ড্রপে কিপারের হাতে গেছে! এসবের সমন্বয়ে পাকিস্তানি বোলিংয়ের দাপট এতটাই ছিল যে বাংলাদেশের মেয়েরা কোনোরকমে ৮ উইকেটে ৭০ রান করেছে। বল হাতেও ভালো করতে পারিনি বাংলাদেশের মেয়েরা। ৭১ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান ১২.২ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছায় যায় পাকিস্তান। ওপেনার সিদরা আমিন ৩৫ বল খেলে ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ
- তিন শতাধিক প্রবাসীকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট, মাষ্টার মাইন্ড সহ গ্রেপ্তার ৪
- Evaly news 2022 । নভেম্বর থেকে গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করবে ইভ্যালি
- ই নামজারি করার নিয়ম ২০২২ । ই নামজারির পদক্ষেপ ও প্রবাহ চিত্র
বাংলাদেশ ইনিংসে ব্যাটিং পাওয়ারপ্লে বলে কিছুই ছিল না
অধিনায়ক বিসমাহ মারুফের ব্যাট হাতে অপরাজিত ১২ রান করেন। ১৪ রান করে আউট হওয়া ওপেনার মুনিবা আলীর উইকেটটি তুলুনেন সালমা খাতুন। বাংলাদেশর মেয়েরা ম্যাচটা হেরেছে মূলত বাজে ভাবে ব্যাটিংয়ের কারণে। ব্যাটিংয়ের সময় বাংলাদেশ ইনিংসে ব্যাটিং পাওয়ারপ্লে বলে কিছুই ছিল না এমনটিই মণে হয়েছিল। প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ১২ রান করে বাংলাদেশ, ৩ উইকেটের পতন, যার মধ্যে ২টি ছন্দে থাকা শামীমা সুলতানা এবং ফারজানা হকের উইকেট। দুজনই বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।
প্রথম ওভারেই পেসার ডায়না বেগের অফ স্টাম্পের বলটি আড়াআড়ি শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন শামীমা। ৫ বল খরচের বিনিময়ে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বেশি খন স্থায়ী হয়নি ফারজানার ইনিংসও। ৭ বল খরচ করে ১ রান করে সাদিয়া ইকবালের বাঁহাতি স্পিনে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সুইপের চেষ্টায় বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ফারজানা।
বাংলাদেশ দলের দাপটের পেছনে এই টপ অর্ডার ব্যাটিংই ছিল মূল কারণ
প্রথম দিকের বিপদ সামলাতে বাংলাদেশ দল রুমানা আহমেদকে চারে খেলিয়েছে। কিন্তু সেটাও আজ কাজে আসেনি। ডায়নার সোজা বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন তিনিও। অথচ বাংলাদেশ দলের দাপটের পেছনে এই টপ অর্ডার ব্যাটিংই ছিল মূল কারণ। বিগত কয়েক ম্যাচে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটিংকে পরীক্ষাই দিতে হয়নি। আজ চাপ সামলাতে সেই মিডল অর্ডারকেই হাল ধরতে হতো।
বাংলাদেশ দল যখন তিনে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানার ব্যাটের দিকে তাকিয়ে। লতা মণ্ডলের সাথে দারুণ ফর্মে থাকা নিগার জুটি গড়ে বিপদ সামলে নেবেন, এমটাই সবাই আশা করেছিল। কিন্তু পাকিস্তানি অফ স্পিনার নিদা দারের ষ্ট্যাম্পের ভিতরে ঢোকা বল সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন লতা।
অধিনায়ক আরও কিছুক্ষণ লড়াই করলেন ঠিক, কিন্তু কাজের কাজ কিছু করতে পারেনি। নিদা দারের অফ স্পিনে পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লু ফাদে পরেন তিনিও। বাংলাদেশের রানটা তখনো ৫০ কোটা পার হয়নি। পরে যদিও সালমা খাতুনের ২৯ বলের বিনিময়ে অপরাজিত ২৪ রানের ইনিংসে ৭০ রান করে ইনিংস শেষ করে বাংলাদেশ।
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো