ক্লান্তি দূর করার ৫ পানীয় বা শরবত রেসিপি ২০২৩

ক্লান্তি দূর করার ৫ পানীয় বা শরবত রেসিপি ২০২৩।

ক্লান্তি দূর করতে আমরা সাধারণত চা বা কফি পান করি। তাতে চটজলদি চাঙা হওয়া যায় বটে। কিন্তু সেই চাঙাভাব থাকে না বেশিক্ষণ। কিছুক্ষণ পরই দেখা যায় আবার যেইকে–সেই অবস্থা! আর ক্লান্তিভাব যদি দীর্ঘক্ষণ থাকে বা প্রায়ই ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে সমস্যাটা হতে পারে অন্য। পুষ্টির ঘাটতি। গলদ তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায়। শরীর পাচ্ছে না প্রয়োজনমাফিক পুষ্টি। দুই ক্ষেত্রেই চা বা কফি উপকারের চেয়ে অপকার করতে পারে বেশি। বাড়িয়ে দিতে পারে শরীরে চিনির মাত্রা। তার বদলে খেতে পারেন এসব জুস বা পানীয়।

রোজা বা গ্রীষ্মকালে ক্লান্তি দূর করতে শরবতের তুলনা হয় না। নিচে কিছু শরবত বা জুস রেসিপি দেওয়া হলো:-

১। বানানা মিল্কশেক বা স্মুদি

কলা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর। সেই সঙ্গে আছে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার, যা নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তচাপ। সকাল সকাল কলা খেলে সেটা আপনার কার্ব ও পুষ্টির জোগান যথাযথ রাখতে সাহায্য করে। তার সঙ্গে নিতে পারেন টক দই, দুধ, বাদাম ও অন্যান্য ফল বা সবজি। এগুলো আপনার হজমের জন্য ভালো। 

২।হারবাল চা বিপাক, রক্তসঞ্চালন ও ক্লান্তি দূর করায়ও কার্যকরছবি: 

পেক্সেলস এখন দোকানগুলোয় সব রকম হারবাল চা কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু বাসায় বানানোর সুবিধা হলো, তাতে কী দেবেন, কী দেবেন না, তার ওপর আপনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। সহজতম উপায় হলো গ্রিন টির সঙ্গে এলাচ, আদা ও হলুদ মিশিয়ে নেওয়া। এগুলো অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে ভরপুর। সেই সঙ্গে বিপাক, রক্তসঞ্চালন ও ক্লান্তি দূর করায়ও কার্যকর। খেতে পারেন সকালে বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে।

৩।ডালিমের জুস

ডালিমের জুস ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেছবি: পেক্সেলস ডালিমে আছে ভিটামিন সি, কে এবং ই। সেই সঙ্গে আছে ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও জিঙ্কের মতো খনিজ উপাদান। তাই এই জুস আপনার ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন খানিকটা লেবুর রস। মনে রাখবেন, ভিটামিন সির সঙ্গে আয়রন গ্রহণের সম্পর্ক আছে, যার অভাবে ক্লান্তি, অবসাদ এমনকি রক্তস্বল্পতা পর্যন্ত হতে পারে।

৪।চিয়া বীজ দিয়ে তরমুজের জুস

তরমুজের জুস নিজেই ভিটামিন সি ও আয়রনে ভরপুর। সেই সঙ্গে এটা আপনাকে প্রাকৃতিকভাবে সতেজ ও তরতাজা রাখে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে। অন্যদিকে চিয়া বীজে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। সঙ্গে নানা খনিজ উপাদানে ভরপুর। আর তাই জুসে এই দুইয়ের মিশ্রণ ঘটালে সহজেই তা আপনার ক্লান্তি দূর করবে।

৫।ডাবের পানি

গ্রীষ্মের তাপদাহে ডাবের পানির চেয়ে স্বাদু কিছু হতে পারে না। এর গুণেরও শেষ নেই। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা থেকে শুরু করে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুতেই প্রভাব রাখে এটা।খাওয়াও যায় নানাভাবে। মেশানো যায় অনেক কিছু। চিয়া বীজ মিশিয়ে খেলে সাহায্য হবে ওজন নিয়ন্ত্রণে। খেতে পারেন ধনেপাতা বা পুদিনা পাতার সঙ্গে মিশিয়ে। কিংবা লেবুর জুস ও মধু মিশিয়ে। এগুলো স্বাদের সঙ্গে বাড়িয়ে দেবে পুষ্টিগুণও। এমনকি অন্যান্য ফলের জুসেও খানিকটা ডাবের পানি মিশিয়ে খেতে পারেন।কাজ করি খাবার তেল মসলা মধু আজওয়া খেজুর বাঙালি খাবার পাশাপাশি চাইনিজ খাবার নিয়ে পেজ ফাতেমা ফুড কর্ণার। গাজীপুর থেকে।এই পণ্য গুনগত মান আমি ব্যক্তিগত ভাবে সকল ধরনের নিয়ম মেনে পরীক্ষা করে এখানে এর পরিচিতি পোস্ট করেছি। আমার পণ্য দায়ভার আমার। উইকৃতি পক্ষ কোন ভাবেই ক্রয় বিক্রয় সাথে সম্পৃক্ত না এবং এর দায়ভার বহন করে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *