এমআরপি পাসপোর্ট এবং ই-পাসপোর্ট । এমআরপি পাসপোর্ট ও ই-পাসপোর্ট কোনটার তথ্য বেশি নিরাপদ?
এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্ট কোনটার তথ্য বেশি সুবিধা ও কি কি?
ই পাসপোর্ট কি ?
বিদেশ ভ্রমণ বিদেশে চিকিৎসা কিংবা ইলেকট্রনিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ইত্যাদি নানাবিধ কাজে ই পাসপোর্ট তথা পাসপোর্ট অনিবার্য একটি বিষয়। কিন্তু ই পাসপোর্ট মুখের কথা নয় যে চাইলেই যখন তখন বানিয়ে ফেলা যাবে। তার উপর আমাদের দেশে পাসপোর্ট সময়মতো পাওয়া প্রায় অসম্ভব বলা যায়। ফলে ই পাসপোর্ট বানিয়ে রাখতে হবে আগে থেকেই। এই লেখায় আমি ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে আবেদন প্রস্তুতি আবেদন ফি প্রদান ও ই পাসপোর্ট ডেলিভারি চেক করার নিয়ম সবই আলোচনা করব যেন ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন নিজেই করতে পারেন।
এমআরপি ও ই পাসপোর্ট এর পার্থক্য
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এমআরপি ও ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট ই পাসপোর্ট এর মধ্যে পার্থক্যকে তুলনা করা যেতে পারে অনেকটা চেকবই আর এটিএম কার্ডের মতো। চেকবই যেভাবে স্বাক্ষর যাচাই বাছাই করে ব্যাংক কর্মকর্তারা অনুমোদন করে টাকা প্রদান করেন। কিন্তু এটিএম কার্ড দিয়ে যে কেউ নিজে থেকেই টাকা তুলতে পারেন। সেক্ষেত্রে অপারেটর প্রয়োজন হয় না। মেশিন নিজে নিজেই যাচাই করতে পারে।
তেমনি এমআরপি পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা মেশিন থেকে তথ্য যাচাই বাছাই করে পাসপোর্টে সিল দিয়ে থাকেন। কিন্তু ইপাসপোর্টধারী যন্ত্রের মাধ্যমে নিজে থেকেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারেন। কেননা এতে এটিএম কার্ডের মতো চিপ থাকায় আলাদা করে কারো যাচাই করার প্রয়োজন পরে না।
এমআরপি কী?
এমআরপি পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা মেশিন থেকে তথ্য যাচাই বাছাই করে পাসপোর্টে সিল দিয়ে থাকেন। কিন্তু এমআরপি পাসপোর্ট ধারী যন্ত্রের মাধ্যমে নিজে থেকেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারেন। আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্র যেমন আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ কাজকর্মের জন্য একটি পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথি বা ডকুমেন্ট তেমনি পাসপোর্ট আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কাজকর্মের জন্য একটি পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথি বা ডকুমেন্ট। অর্থাৎ পাসপোর্ট থাকলে আপনি যেকোনো দেশে খুব সহজেই নিজেকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারবেন। কেননা সেখানে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রকে মূল্যায়ন করা হবে না। সেখানে পাসপোর্টই আপনার প্রধান পরিচয়।
একটি পাসপোর্টে সাধারণত বাহকের নাম জন্মের তারিখ ও স্থান ছবি স্বাক্ষর এবং অন্যান্য চিহ্নিতকরণের তথ্য থাকে। যেটা দিয়ে খুব সহজেই সকলকে আইডেন্টিফাই করা যায়। আগে একসময় হাতে লেখা পাসপোর্ট ছিল। যেটা জালিয়াতি করা সবচেয়ে সহজ ছিল। তারপর একসময় বাংলাদেশে মেশিন রিডেবল এমআরপি পাসপোর্ট আনা হলো। কিন্তু সেখানেও নিরাপত্তা ইস্যুটা রয়েই গেল। তাছাড়াও এটার কর্মদক্ষতাও অনেক বেশি নয়। ফলে বাংলাদেশ ২০২০ সাল থেকে আধুনিক বিশ্বের মতো এমআরপি সেবা প্রদান শুরু করেছে। এখন আমরা জানবো ই পাসপোর্ট কী এবং এমআরপি পাসপোর্ট কীভাবে কাজ করে হাতে লেখা মেশিন রিডেবল যুগ শেষ করে বর্তমানে বাংলাদেশ এমআরপি যুগে চলে এসেছে। ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে এম পাসপোর্ট। ই পাসপোর্ট খুবই নিরাপদ। কেননা এটি একটি বায়োম্যাট্রিক পাসপোর্ট। এমআরপি পাসপোর্ট এ একটি ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ সংযুক্ত আছে। পাশাপাশি একটি অ্যান্টেনাও আছে। এই চিপের মধ্যেই পাসপোর্টধারীর সকল তথ্য দেয়া থাকবে
ই পাসপোর্ট পাসপোর্টের নিরাপত্তা কি?
হাতে লেখা মেশিন রিডেবল যুগ শেষ করে বর্তমানে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট যুগে চলে এসেছে। ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ই পাসপোর্ট। ই পাসপোর্ট খুবই নিরাপদ। কেননা এটি একটি বায়োম্যাট্রিক পাসপোর্ট। ই পাসপোর্ট এ একটি ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ সংযুক্ত আছে। পাশাপাশি একটি অ্যান্টেনাও আছে। এই চিপের মধ্যেই পাসপোর্টধারীর সকল তথ্য দেয়া থাকবে।
এমআরপি পাসপোর্ট পাসপোর্টের নিরাপত্তা কি?
হাতে লেখা মেশিন রিডেবল যুগ শেষ করে বর্তমানে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট যুগে চলে এসেছে। ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ই পাসপোর্ট। ই পাসপোর্ট খুবই নিরাপদ। কেননা এটি একটি বায়োম্যাট্রিক পাসপোর্ট। ই পাসপোর্ট এ একটি ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ সংযুক্ত আছে। পাশাপাশি একটি অ্যান্টেনাও আছে। এই চিপের মধ্যেই পাসপোর্টধারীর সকল তথ্য দেয়া থাকবে।
পাসপোর্ট এর চিপে থাকবে যেসব তথ্য
৩ ধরণের ছবি
১০ আঙুলের ছাপের তথ্য
চোখের আইরিশ তথ্য
ফলে যেকোনো দেশের কর্তৃপক্ষ সহজেই ভ্রমণকারীর সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পারবে সহজেই আর এক্ষেত্রে পাবলিক কি ইনফ্রাস্ট্রাকচার তথা পিকেআই দ্বারা ই পাসপোর্ট এ বিদ্যমান তথ্য যাচাই করা হয়। এজন্যই এই ই পাসপোর্ট জালিয়াতি করা খুবই কঠিন।
ই পাসপোর্ট করতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন কোনটি প্রয়োজন?
জাতীয় পরিচয়পত্র নাকি জন্ম নিবন্ধন এটা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় থাকে। নিচে বয়স অনুযায়ী একটি ধারণা দেয়া হল
বয়স ১৮ বছরের কম হয়ে থাকলে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন।
১৮-২০ বছরের মধ্যে বয়স হলে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন উভয়টির যে কোন একটি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
যদি আপনার বয়স ২০ বছরের বেশি হয়, আপনাকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মাট কার্ড না পেলে জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারেন। আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। জন্ম নিবন্ধন যেন অনলাইন ভার্সন হয় নতুবা কাজ হবে না।
এমআরপি পাসপোর্ট করতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন কোনটি প্রয়োজন?
জাতীয় পরিচয়পত্র নাকি জন্ম নিবন্ধন এটা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় থাকে। নিচে বয়স অনুযায়ী একটি ধারণা দেয়া হলো
বয়স ১৮ বছরের কম হয়ে থাকলে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন।
১৮-২০ বছরের মধ্যে বয়স হলে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন উভয়টির যে কোন একটি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
যদি আপনার বয়স ২০ বছরের বেশি হয় আপনাকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মাট কার্ড না পেলে জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারেন। আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। জন্ম নিবন্ধন যেন অনলাইন ভার্সন হয় নতুবা কাজ হবে না।
ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?
যারা ই পাসপোর্ট করতে চান তাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে
ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে? ২০২৩ সালে ই পাসপোর্ট আবেদন ফি নিম্নরূপ
নিচে ছবিতে দেওয়া আছে।
বছর পৃষ্ঠা রেগুলার ডেলিভারি ১৫-২১ দিন এক্সপ্রেস ডেলিভারি ৫-৭ দিন সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি ২ দিন।
উপরে প্রদত্ত সময় মূলত বায়োমেট্রিক তথ্য দেয়ার পর থেকে হিসেব করা হয়। ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে সেটা তো জানা হলো এখন চলুন জেনে নিই যেই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন কীভাবে করবেন।
এমআরপি করতে কত টাকা লাগে?
যারা এমআরপি করতে চান তাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে
এমআরপি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে? ২০২৩ সালে ই পাসপোর্ট আবেদন ফি নিম্নরূপ
নিচে ছবিতে দেওয়া আছে।
বছর পৃষ্ঠা রেগুলার ডেলিভারি ১৫-২১ দিন এক্সপ্রেস ডেলিভারি ৫-৭ দিন সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি ২ দিন। উপরে প্রদত্ত সময় মূলত বায়োমেট্রিক তথ্য দেয়ার পর থেকে হিসেব করা হয়। এমআরপি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে সেটা তো জানা হলো এখন চলুন জেনে নিই যে এমআরপি অনলাইন আবেদন কীভাবে করবেন।