সর্বশেষ নিউজ

বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন 2022। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে আরটিজিএস (RTGS) মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন শুরু

আগামী ৪ সেপ্টেম্বর হতে দেশে RTGS (রিয়েল-টাইম গ্রস সেটেলমেন্টের) মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন মীমাংসা করবে ব্যাংকগুলো। আজ রোববার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কম  সময়ের মধ্যে লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবে ব্যাংকগুলো

বিগত দিন গুলোতে প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে স্থানীয় মুদ্রা টাকায় লেনদেনের অনুমতি ছিল। RTGS  সেবাটি চালুর মাধ্যমে দেশীয় মুদ্রার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা এবং তুলনা মুলুক কম  সময়ের মধ্যে লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবে ব্যাংকগুলো। এতে ব্যাংকগুলোর আমদানি-রপ্তানি ঘটিত লেনদেন মীমাংসা কার্যক্রম আরও সহজসাধ্য হবে। কম সময়ে লেনদেন সম্পন্ন করার ফলে ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও দ্রুতবেগে সম্পন্ন হবে।

দেশীয় মুদ্রায় RTGS এর মাধ্যমে  লেনদেনের সর্বনিম্ন পরিমাণ এক লক্ষ টাকা

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, দেশীয় মুদ্রায় RTGS (রিয়েল-টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) এর মাধ্যমে  লেনদেনের সর্বনিম্ন পরিমাণ ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা। তবে সরকারি টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো সর্বোচ্চ সীমা নেই। এছাড়া RTGS এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় যেকোনো সংখ্যা লেনদেন করতে পারবে। প্রতিটি লেনদেনে গ্রাহক থেকে ব্যাংকগুলো ভ্যাটসহ সর্বোচ্চ ১০০ টাকা অথবা সমমানের ডলার এবং ইউরো নিতে পারবে।

RTGS শুরু থেকেই ব্যাংকার-গ্রাহকদের মুগ্ধ করেছে

কাগজ-কলমভিত্তিক লেনদেন arrangement (ব্যবস্থার) বিকল্প RTGS শুরু থেকেই ব্যাংকার-গ্রাহকদের মুগ্ধ করেছে। বর্তমান সময়ে দেশের ৫৯টি ব্যাংকের ১১ হাজারের বেশি শাখা দেশীয় মুদ্রায় RTGS সিস্টেমে লেনদেন সম্পন্ন করে থাকে। সে জন্য দেশীয় মুদ্রার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রায়ও  সেবাটি চালু করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের ক্ষেত্রে এডি ব্রাঞ্চ এবং হেড অফিস ক্লিয়ারিং শাখা ইস্যু করতে পারবে। অন্য কোনো শাখা থেকে এ লেনদেন করা যাবে না। পাঁচটি বৈদেশিক মুদ্রায় নতুন এ কার্যক্রম শুরু হবে।

মুদ্রা পাঁচটির নাম নিচে দেওয়া হলোঃ-

  1. মার্কিন ডলার,
  2. পাউন্ড স্টার্লিং,
  3. ইউরো,
  4. জাপানিজ ইয়েন  এবং
  5. কানাডিয়ান ডলার।

সাম্প্রতিক সময়ে  ব্যাংকগুলোর এ ধরনের লেনদেন করার ক্ষেত্রে একজন কর্মীর মাধ্যমে FDD (ফরেন ডিমান্ড ড্রাফট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রেখে আসতে হয়। FDD (ফরেন ডিমান্ড ড্রাফট) এ ধরনের লেনদেন সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাব রাখতে হয়, যার মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঋণদাতাদের নিকট পাঠায়।

ফরেন ডিমান্ড ড্রাফট (FDD) কি?

ফরেন ডিমান্ড ড্রাফট (FDD) হলো— কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চ্যানেল ব্যবহারের মাধ্যমে  আন্তঃব্যাংক তহবিল এক স্থান থেকে অন্য স্থানে হস্তান্তরের সুবিধার্থে ব্যাংকগুলোর ব্যবহৃত একটি চ্যানেল, যা সম্পন্ন করার জন্য এক কর্মদিবস সময়ের প্রয়োজন হয়।

যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক দিনের ভিতর ফরেন ডিমান্ড ড্রাফট (FDD) সম্পন্ন করে, অবশ্যই ব্যাংকগুলোর লেনদেন থেকে লাভবান হওয়ার জন্য দুই থেকে তিন কর্মদিবস সময় লাগে। কিন্তুু RTGS (রিয়েল-টাইম গ্রস সেটেলমেন্টের) এর মাধ্যমে FDD (ফরেন ডিমান্ড ড্রাফট)  ক্লিয়ারিং হলে মুহূর্তের ভিতর  গ্রাহকের হিসাবে লেনদেন সম্পন্ন হবে।

সূত্র: এনটিভি বিডি.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *