গৃহ নির্মাণ ঋণ ২০২২। মাত্র ৫ শতাংশ সুদে জামানত ছাড়াই ৩০ লক্ষ টাকা ঋণ
পরিবেশবান্ধব বহুতল ভবনে ফ্ল্যাট ক্রয় করার জন্য কোন প্রকার জামানত ছাড়াই ৩০ লক্ষ টাকা নিম্ন এবং মধ্যবিত্তদের পর্যন্ত ঋণ দেবে ব্যাংক। এই ঋণের সুদহার হবে ৫ শতাংশ। সর্বোচ্চ ৭৫০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধের জন্য ১৮ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছর সময় দেবে ব্যাংক গুলো। অর্থাৎ ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্য ১৮ মাস পর থেকে কিস্তি দেওয়া শুরু করবেন গ্রাহকগণ।
ফ্ল্যাট ক্রয়সহ কয়েকটি প্রকল্পে মোট ৬৮ টি পণ্যে ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফেইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে পরিবেশবান্ধব খাতে বিদ্যমান ৪০০ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য ঋণের বিষয়টি নতুন করে অঙ্গীভূত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এখন থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়সহ কয়েকটি প্রকল্পে মোট ৬৮ টি পণ্যে এই ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। পূর্বের পুনঃঅর্থায়ন স্কিমে পরিবেশবান্ধব ৫৫ টি পণ্য অথবা প্রকল্প বা উদ্যোগে ঋণ সুবিধা দেওয়া হতো। জামানতবিহীন ঋণ
ব্যাংকগুলো এখন থেকে গ্রাহকদেরকে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে
বিদ্যমান পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের সুদের পরিমাণ সব পর্যায়ে ১ % হ্রাস করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব খাতে চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক হতে এতদিন যাবত ৪ % সুদে পুঁজি পেতো। যা এখন কমিয়ে ৩ % করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো এখন থেকে গ্রাহকদেরকে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদে এই ঋণ সুবিধা দেবে। ব্যাংক লোনের সুদের হার
পাঁচ বছরের কম সময়ের ঋণে সর্বোচ্চ সুদ পরিমাণ হবে ৫ শতাংশ
সেক্ষেত্রে পাঁচ বছরের কম সময়ের ঋণে সর্বোচ্চ সুদ পরিমাণ হবে ৫ শতাংশ, পাঁচ হতে আট বছরের কম সময়ের সাড়ে ৫ শতাংশ ও আট বছরের বেশি সময়ের ক্ষেত্রে সুদের পরিমাণ হবে ৬ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত ছাড়াও বহুতলবিশিষ্ট পরিবেশবান্ধব আবাসন নির্মাণের ক্ষেত্রে ও এ ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে আবাসন কোম্পানি সর্বোচ্চ ৭৫০ বর্গফুট পরিসরের ফ্ল্যাট সংবলিত পরিবেশবান্ধব গৃহ নির্মাণে ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা নিতে পারবে। জরুরি লোন
কোম্পানির জন্য ও সুদ হার, ঋণের মেয়াদ এবং গ্রেস পিরিয়ড পূর্বের নিয়মই বহাল থাকবে। এছাড়া পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় বনায়ন (সামাজিক, সমন্বিত অথবা কৃষি), ছাদের কৃষি অথবা উল্লম্ব চাষ অথবা বাগান, বায়োফ্লক মাছ চাষ, জৈব চাষ, খাঁচায় মাছ চাষ, কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদনেও ঋণ সুবিধা দেবে ব্যাংকগুলো।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভিশন সংবাদ