এনজিও তে নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করার উপায় ২০২৪
এনজিও নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি ও পরীক্ষায় ভালো করার উপায়- বাংলাদেশে অসংখ্য দেশি ও বিদেশি এনজিও রয়েছে। এসব এনজিও তে প্রতি বছর বিভিন্ন পদে অসংখ্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে। বর্তমানে এনজিও তে চাকরি যেমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে, তেমনি চাকরি পাওয়াটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কেননা এনজিও তে চাকরির জন্য এখন রীতিমত প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে গেছে। তাই নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করতে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। তাই আজ আমরা আলোচনা করবো এনজিও নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে।
সূচীপত্রঃ
- এনজিও কি
- বাংলাদেশের এনজিও সমূহ
- এনজিও তে চাকরির যোগ্যতা
- এনজিও তে নিয়োগ পরীক্ষার পদসমূহ
- এনজিও নিয়োগ পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি
- এনজিও তে নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করার উপায়
এনজিও (NGO) কি
ইংরেজিতে NGO এর মানে হচ্ছে Non-Government Organization. বাংলায় বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। এনজিও কে একটি অমুনাফাভোগী বা অলাভজনক প্রতিষ্ঠানও বলা হয়ে থাকে। এনজিও মূলত একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এরা বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কাজ করে থাকে। বিশেষ করে এনজিও গুলো অসহায় দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করে থাকে। এছাড়া অনেক এনজিও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
বাংলাদেশের সফল এনজিও সমূহ
বাংলাদেশে অসংখ্য এনজিও রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু এনজিও রয়েছে যারা ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। নিচে এমন কিছু এনজিও-এর নাম উল্লেখ করা হলঃ
১. আশা ২. ব্রাক ৩. গ্রামীণ ব্যাংক ৪. বুরো বাংলাদেশ ৫. এসএসএস (SSS) ৬. সাজেদা ফাউন্ডেশন ৭. টিএমএসএস ৮. শক্তি ফাউন্ডেশন ৯. পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র ১০. আরডিআরএস বাংলাদেশ ১১. পিএমকে ১২. পপি ১৩. এসকেএস ফাউন্ডেশন ১৪. সিএসএস ১৫. বীজ ১৬. গাক ১৭. রিক ১৮. ডিএসকে ১৯. পিদিম ফাউন্ডেশন ২০. সিদীপ ২১. আর আর এফ ২২. এমএসএস ২৩. উদ্দীপন ২৪. দিশা ২৫. সেতু ২৬. পেইজ ২৭. সামাজিক সেবা ২৮. বাসা ২৯. সেবা ৩০. পল্লী বিকাশ ইত্যাদি।
এনজিও তে চাকরির যোগ্যতা ও পদসমূহ
এনজিও চাকরির ক্ষেত্রে যোগ্যতা বলতে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাকে বুঝায়। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা বিভিন্ন পদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় প্রতিষ্ঠানের উপরও নির্ভর করে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা।
একজন ফিল্ড অফিসারের ক্ষেত্রেঃ কোন কোন প্রতিষ্ঠান ফিল্ড অফিসার পদের জন্য এসএসসি/এইচএসসি কিংবা স্নাতক/মাস্টার্স পাশ পর্যন্ত চাইতে পারে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা চাইতেও পারে আবার নাও চাইতে পারে। যদি চায় তবে ১ থেকে ২ বছরের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
হিসাব রক্ষক পদের ক্ষেত্রেঃ হিসাব রক্ষক পদের জন্য সাধারণত এনজিও গুলো বানিজ্য বিভাগে স্নাতক/স্নাতোকত্তর ডিগ্রী পাশ চেয়ে থাকে। কোন কোন এনজিও তে এইচএসসি পাশও চেয়ে থাকে। অভিজ্ঞতা চাইতে পারে। আবার অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়।
সহঃশাখা ব্যবস্থাপক পদের ক্ষেত্রেঃ সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক পদের জন্য স্নাতক/স্নাতোকত্তর ডিগ্রী পাশ থাকতে হবে। অভিজ্ঞতা না থাকলেও চলবে।
শাখা ব্যবস্থাপক পদের ক্ষেত্রেঃ শাখা ব্যবস্থাপক পদের জন্য স্নাতক/স্নাতোকত্তর ডিগ্রী পাশ থাকতে হবে। আর অবশ্যই ১ থেকে ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠান আরো বেশী অভিজ্ঞতা চেয়ে থাকে।
অন্যান্য পদের ক্ষেত্রেঃ অন্যান্য পদের মধ্যে প্রধান কার্যালয়ে কিছু পদ রয়েছে। যেমনঃ সহকারী পরিচালক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, যোনাল ম্যানেজার, কো-অর্ডিনেটর, অডিট, এইচ আর ইত্যাদি পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সাধারণত এ সকল পদে জন্য অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।
এনজিও পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি
এনজিওতে পরীক্ষা দেওয়ার আগে আপনাকে পূর্ব কিছু প্রস্ততি নিতে হবে। প্রথমে আপনি যে পদের জন্য পরীক্ষা দিচ্ছেন উক্ত পদের সকল বিষয়ে ধারণা নিতে হবে। যেমনঃ আপনি যদি হিসাব রক্ষক পদে আবেদন করে থাকেন, তাহলে হিসাব সংক্রান্ত বিষয়ে যে সকল পড়াশোনা আছে সেগুলো দেখে যেতে হবে। হিসাব রক্ষকের কাজ কি আপনাকে জানতে হবে। আর তাছাড়া কোন কাগজপত্রগুলো ভাইবা বোর্ড-এ চাইতে পারে সে কাগজপত্রগুলো সাথে নিয়ে যাবেন। যেমনঃ মূল সাটিফিকেট।
এনজিওতে নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করার উপায়
এনজিও গুলো সাধারণত লিখিত ও মৌখিক এই দুই ধরনের পরীক্ষা নিয়ে থাকে। অনেক সময় শুধু মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে থাকে। কীভাবে নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করা যায় নিচে আলোচনা করা হলঃ
- যে এনজিওতে কাজ করতে চান, সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।
- যে পদের জন্য আবেদন করছেন, সে পদের দায়িত্ব ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা দেখে নিন।
- প্রয়োজনীয় দক্ষতা বা যোগ্যতা না থাকলে তা অর্জনের জন্য চেষ্টা চালান।
- যোগাযোগের দক্ষতা বাড়ান।
- দেশ-বিদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে নিজেকে আপডেটেড রাখুন।
- স্মার্টলি সব প্রশ্নের উত্তর দিন।
আলোচনায় আমরা এনজিও সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আর এনজিও নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করার কিছু উপায় সম্পর্কে জানলাম।