কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রবাসী কোটা ২০২৩ । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির নিমিত্ত প্রত্যয়ন পত্র আবেদনের নমুনা

প্রবাসীদের সন্তানের জন্য ০.৫% কোটা বরাদ্ধ একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য কোট সুবিধা পাবেন – কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রবাসী কোটা ২০২৩

ভর্তির যোগ্যতা ও শাখা নির্বাচন কিভাবে করা হয়? ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ সালে দেশের যে কোন শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ সালে এস.এস.সি. বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে নীতিমালার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। পরবর্তী শিক্ষা বর্ষেও কার্যকর থাকবে।

বিদেশি কোন বোর্ড বা অনুরূপ কোন প্রতিষ্ঠান হতে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক তার সনদের মান নির্ধারণের পর দফা (২.১) এর অধীনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। ২.৩ ভর্তির জন্য একজন প্রার্থী নিম্নরূপ গ্রুপ নির্বাচন করতে পারবে। বিজ্ঞান গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোন একটি। মানবিক গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোন একটি এবং ব্যবসায় গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক গ্রুপ এর যে কোন একটি।

বিজ্ঞপ্তি, ভর্তি ও ফি- অনুচ্ছেদ ৮.২ অনুসরণপূর্বক কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত আসন সংখ্যা (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা শিফট, পুরুষ/মহিলা/সহশিক্ষা, ভার্সন, ভর্তি ফি ইত্যাদি তথ্য) ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করবে। বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত নির্ধারিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। বোর্ডসমূহ স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে অবস্থিত কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে এই বিধানের ব্যত্যয় রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে;

বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফিসহ অনুমোদিত অন্যান্য সকল ফি, আসন সংখ্যা, ভর্তির যোগ্যতা ইত্যাদি উল্লেখ করে কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান নোটিশ বোর্ডে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করবে এবং বিজ্ঞপ্তি সফট কপি সংশ্লিষ্ট বোর্ডের কলেজ পরিদর্শকের মেইল এ প্রেরণ করবে। অনলাইনে বোর্ড থেকে প্রাপ্ত ভর্তিযোগ্য প্রার্থীদের মেধাক্রম তালিকা কলেজের নোটিশ বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কলেজ / সমমানের প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটে প্রকাশের ব্যবস্থা করবে। ভর্তির সময় প্রার্থীকে মূল একাডেমিক ট্র্যান্সক্রিপ্ট/নম্বরপত্র এবং যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে প্রার্থী এস.এস.সি. বা সমমানের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছিল সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রশংসাপত্র দাখিল করতে হবে।

সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১,০০০/- (এক হাজার)/ পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২,০০০/- (দুই হাজার)/ ঢাকা ব্যতিত অন্যান্য মেট্রোপলিটান এলাকায় ৩০০০/- (তিন হাজার) টাকার বেশি হবে না । ঢাকা মেট্রোপলিটান এলাকায় অবস্থিত এম.পি.ও.ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকার অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে পারবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটান এলাকায় অবস্থিত আংশিক এম.পি.ও.ভুক্ত বা এম.পি.ও.বহির্ভুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং এম.পি.ও. বহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন- ভাতা প্রদানের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯,০০০/- (নয় হাজার) টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা গ্রহণ করতে পারবে। উন্নয়ন খাতে কোন প্রতিষ্ঠান ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না ।

দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ উল্লিখিত ফি যতদূর সম্ভব মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কোন শিক্ষার্থীর নিকট হতে অনুমোদিত ফি-এর অতিরিক্ত কোন অর্থ গ্রহণ করা যাবে না এবং অনুমোদিত সকল ফি যথাযথ রশিদ প্রদানের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে।

কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রবাসী কোটা পদ্ধতি অনুসৃত হয় ২০২৩ । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির নিমিত্ত প্রত্যয়ন পত্র আবেদনের নমুনা

প্রবাসী কোটায় ভর্তির নিমিত্ত প্রবাসী কর্মীর নামে প্রত্যয়ন পত্রের জন্য আবেদন

স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রবাসী কোটায ২০২২ । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির নিমিত্ত প্রত্যয়ন পত্র আবেদনের নমুনা

Caption: Quata Prottoayan Patro Form

কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রবাসী কোটা । প্রার্থী নির্বাচনে অনুসরণীয় পদ্ধতি ২০২৩

  1. ভর্তির জন্য কোন বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর এস.এস.সি. বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
  2. বিভাগীয় এবং জেলা সদরের কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৮৯% আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং অবশিষ্ট আসনের মধ্যে ৫% মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের জন্য, ৩% বিভাগীয় এবং জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য, ২% শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর অধ:স্তন দপ্তরসমূহ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারি ও গভর্নিং বডির সদস্যদের সন্তানদের জন্য, ০.৫% বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বি.কে.এস.পি.) এর জন্য এবং ০.৫% প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। যদি উপর্যুক্ত কোটায় প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে সাধারণ কোটার শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের সনাক্তকরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত সনদপত্র দাখিল করতে হবে। শিক্ষা, বি.কে.এস.পি. এবং প্রবাসীদের সন্তান কোটার ক্ষেত্রেও ভর্তির সময় উপযুক্ত প্রমানপত্ৰ দাখিল করতে হবে।
  3. সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।
  4. বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
  5. দফা ৩.৩.২ এর বিধান সত্ত্বেও যদি প্রার্থী বাছাইকল্পে উদ্ভুত জটিলতা নিরসন না হয়, তবে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
  6. মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
  7. এক গ্রুপের প্রার্থী অন্য গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে জি.পি.এ একই হলে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাই কল্পে উদ্ভুত জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
  8. এ নীতিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন স্কুল এন্ড কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে স্ব স্ব বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষর্থীদের স্ব স্ব বিভাগে ভর্তি নিশ্চিত করেই কেবল অবশিষ্ট শূন্য আসনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ধারা ৩.০ এর উপবিধান (৩.২) ও (৩.৩) অনুসরণ করে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে। তবে এ সকল প্রতিষ্ঠানের সকল ভর্তিই অনলাইনে হবে।
  9. কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে। কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান তাদের ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য ওয়েব সাইটে এবং নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করতে হবে।
  10. সকল কলেজ/উচ্চমাধ্যমিক/সমমানের বিদ্যালয়কে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ও সময় অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। কোন প্রতিষ্ঠান মন্ত্রণালয় ও বোর্ড নির্ধারিত তারিখের বাইরে নিজ ইচ্ছামাফিক ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।

অনলাইনে ভর্তি হতে কত লাগে?

শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে অথবা টেলিটক মোবাইল এস.এম.এস. এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য ওয়েব এর ঠিকানা: www.xiclassadmission.gov.bd অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকা আবেদন ফি জমা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১০ (দশ) টি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদন করতে পারবে। অনলাইনে মাত্র একবারই আবেদন করতে পারবে। পাশাপাশি এসএমএস এর মাধ্যমে প্রতি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য ১২০/- (একশত বিশ) টাকা আবেদন ফি প্রদান সাপেক্ষে একাধিক কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে পর পর আবেদন করতে পারবে। অনলাইন/ এস.এম.এস./উভয় পদ্ধতিতে সর্বমোট ১০(দশ) টি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে সব কলেজেই তার মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *