কোর্ট ম্যারেজ কি? আইনগত ভাবে কোর্ট ম্যারেজের বৈধতা আছে কি?
আইনগত ভাবে বৈধতা আছে কি এবং কি ভাবে করতে হয
১। কোর্ট ম্যারেজ কি? এবং কোর্ট ম্যারেজ কিভাবে করতে হয়?
যুবক, যুবতি অথবা নারী ও পুরুষ স্বামী স্ত্রী হিসাবে একত্রে বসবাস করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে যে হলফনামা সম্পাদন করে তাকে, তাই কোর্ট ম্যারেজ নামে পরিচিত।
৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে কিংবা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ে গিয়ে হলফনামা করাকে কোর্ট ম্যারেজ বিয়ে বলে অভিহিত করা হয়। আইনানুযায়ী কাবিন রেজিষ্ট্রী ও আকদ সম্পন্ন করেই কেবল ঘোষণার জন্য এফিডেভিট করা যাবে।
২। কোর্ট ম্যারেজের পরিচিত
কোর্ট ম্যারেজের প্রচলিত নিয়ম থেকে দেখা যায় বিয়ের মৌলিক বিষয় গুলোর কোন তুয়াক্কা করা হয় না। শুধুমাত্র ১৫০/-টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ে গিয়ে হলফনামা করাকে বিয়ে বলে অভিহিত করা হয়। অথচ এ্যাফিডেভিট বা হলফনামা শুধুই একটি ঘোষণাপত্র। আইনানুযায়ী কাবিন রেজিষ্ট্রী সম্পন্ন করেই কেবল ঘোষণার জন্য এফিডেভিট করা যাবে। কিন্তু এ নিয়ম মানা হয় না। তাই এটি বিয়ে নামের একটি পাতানো ফাঁদ ছাড়া কিছুই নয়।
৩। কোর্ট ম্যারেজ করতে কি কি লাগে ?
১. দুজনকেই প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে
২. দুজনের জন্ম সনদ বা NID লাগবে
৩. দুজনের ছবি লাগবে
৪. ৩ জন সাক্ষী লাগবে
৪। আইনগত দিক থেকে এর বৈধতা আছে কি?
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে -কোর্ট ম্যারেজ- এর কোন বৈধতা নেই, এমনকি এর কোন অস্তিত্বও নেই।
৫। অনেক তরুণ তরুণীর কোর্ট ম্যারেজ কি মনে করে?
অনেক তরুণ তরুণীর ভুল ধারণা হয় যে, শুধুমাত্র এফিডেভিট করে বিয়ে করলে বন্ধন শক্ত হয়। কাজী অফিসে বিয়ের জন্য বিরাট অঙ্কের ফিস দিতে হয় বলে কোর্ট ম্যারেজকে অধিকতর ভাল মনে করে তারা। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে কাজীর মাধ্যমে বিবাহ অবশ্যই করাতে হবে সাথে স্ট্যাম্পে দুজনের হলফনামা করতে হবে ।