জাল টাকা চেনার উপায় এবং আসল টাকা চিনে নিবেন যেভাবে
দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি কাজে আমরা টাকার ব্যবহার করে যাচ্ছি। আর এই টাকার ব্যবহারকে কেন্দ্র করেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে জাল টাকা ছাড়েন। বিভিন্ন জাল নোট দ্রুত ঘুরে বেড়াচ্ছে এক হাত থেকে অন্য হাতে। তবে কিছু বিষয় জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই জাল টাকা শনাক্ত করতে পারবেন।
- ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোটগুলো খুব বেশি জাল হয়ে থাকে। এজন্য লক্ষ্য রাখতে হবে টাকায় থাকা নিরাপত্তা সুতা, রং পরিবর্তনশীল কালি, অসমতল ছাপা, জল ছাপ ইত্যাদি বিষয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক আসল টাকা চেনার উপায়ঃ
- ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকাসহ সব ধরনের নোটেই সামনে এবং পেছনে দুদিকের ডিজাইনসমূহ, মধ্যভাগের লেখাগুলো, নোটের মূল্যমান, ৭টি সমান্তরাল সরল রেখা উঁচু নিচু অবস্থায় মুদ্রিত থাকে। ফলে হাত দিলে সেটি একটু খসখসে মনে হয়। যদি খসখসে মনে না হয় তাহলে বুঝে নিবেন এটি জাল টাকা।
- ১০০ টাকার ক্ষেত্রে নোটের ডান দিকে তিনটি, ৫০০ টাকার ক্ষেত্রে ৪টি ও ১০০০ টাকার নোটে ৫টি ছোট ছোট বৃত্তাকার ছাপ আছে যা হাতের স্পর্শে উঁচু নিচু লাগে এবং খসখসে মনে হয়। এ বৈশিষ্ট্য না থাকলে সেটি জাল নোট হিসাবেই গণ্য হয়। তাই টাকা হাতে পাওয়ার সাথে এসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী।
- আসল নোটের জলছাপ স্পষ্ট ও উচ্ছমানের হয়। আসল নোটে ‘বাঘের মাথা’ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘মনোগ্রাম’ এর স্পষ্ট জলছাপ রয়েছে, যা দিয়ে সহজেই আসল টাকা চেনা যায়। আর যদি নোটের জলছাপ অস্পষ্ট ও নিম্নমানের হয় সেটি জাল নোট হবে।
- প্রতিটি নোটেই বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সম্বলিত নিরাপত্তাজনিত সুতা থাকে।বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো এবং নোটের মূল্যমান নিরাপত্তা সুতার ৪টি স্থানে মুদ্রিত অবস্থায় থাকে। এই নিরাপত্তা সুতাটি অনেক বেশি মজবুত যা নোটের কাগজের সঙ্গে এমনভাবে দেওয়া থাকে যে নখের আঁচড়ে বা মুচড়িয়ে সুতা কোনোভাবেই উঠানো সম্ভব হয়না। আর জাল নোটে এতো নিখুঁত ভাবে সুতাটি দিতে পারেনা ফলে একটু সচেতন হলে খুব সহজেই ধরা যায় জাল নোট।
- ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রতিটি নোটের উপরে ডানদিকে কোনায় ইংরেজি সংখ্যায় লেখা নোটের মূল্যমান রং পরিবর্তনশীল কালিতে মুদ্রিত অবস্থায় থাকে। যার কারনে ১০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোটগুলো ধীরে ধীরে নড়াচড়া করলে আপনি লক্ষ্য করবেন যে মূল্যমান লেখাটি সোনালি থেকে সবুজ রং ধারণ করে এবং ৫০০ টাকার নোট লেখাটি লালচে থেকে সবুজাভ হয়। অন্যদিকে জাল নোটের ব্যবহৃত রং চকচক করলেও তা অপরিবর্তিত অবস্থায় থেকে যায়।
- প্রতিটি নোটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম ও নোটের মূল্যমান জলছাপ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম ও নোটের মূল্যমান প্রতিকৃতির তুলনায় উজ্জ্বল দেখায়এবং আসল নোটে এসব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। যা জাল নোটে সম্ভব নয়।
- এছাড়াও বাজারে রয়েছে স্বল্পমূল্যে বিভিন্ন ব্রান্ডের জাল নোট শনাক্তকারী মেশিন । রয়েছে ম্যাগনিফাইং গ্লাস যা দিয়ে সহজেই পরীক্ষা করা যায় জাল নোট।
জাল টাকা সনাক্ত করা খুব সহজ যদি আপনি হন সচেতন এবং বুদ্ধি খাটিয়ে তা পরিক্ষা করার বিষয় গুলকে কাজে লাগাতে পারেন তবে আসল নকল বুঝে যাবেন এবং কেউ আপনাকে ঠোকাতেও পারবেনা।