সর্বশেষ নিউজ

ট্রাফিক আইন নিয়ম ও পদ্ধতি ২০২৪ । ট্রাফিক আইন চেনার নিয়ম এবং দিক নির্দেশনা

ট্রাফিক কাকে বলে, ট্রাফিক আইন আমাদের রাস্তায় মানা জরুরি। এর কিছু দিক নির্দেশনা

বিভিন্ন সময় আমরা ট্রাফিক বা ট্রাফিক জ্যাম নামক শব্দ গুলোর সাথে পরিচিত হই। কিন্তু হঠাৎ করে কেউ যদি প্রশ্ন করে যে, ট্রাফিক কাকে বলে?

  1. তখন আমরা সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনা। তাই আজ আমি আপনাদেরকে ট্রাফিক কাকে বলে ও ট্রাফিক কত প্রকার সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য গুলো বলে দিব।

প্রশ্ন: ট্রাফিক কাকে বলে?

উত্তর: যখন কোন নির্দিষ্ট রুট বা রাস্তা দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন যানবাহন চলাচল করবে। তখন তাকে বলা হবে, ট্রাফিক।

যেমন ধরুন, আমরা যে উড়োজাহাজ দেখি, সেগুলো এয়ার লেন এর মাধ্যমে চলাচল করে। আবার বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল চলাচল এর জন্য রাস্তা ব্যবহার করে।

ঠিক একইভাবে যখন কোন নির্দিষ্ট যানবাহন নির্দিষ্ট একটি রুট দিয়ে চলাচল করবে। তখন তাকে বলা হবে, ট্রাফিক।

আর ট্রাফিক মূলত যানজট পূর্ন কিংবা সাবলীল এই দুইটি পদ্ধতি তে সম্পন্ন হয়ে থাকে। তো আশা করি, ট্রাফিক কাকে বলে সে সম্পর্কে আপনি সঠিক ধারনা পেয়ে গেছেন।

প্রশ্ন:  ট্রাফিক আইন কাকে বলে?

উওর : যখন আপনি রাস্তায় কোন যানবাহন এর চালক হিসেবে থাকবেন। তখন সেই যানবাহন কে চালনা করার জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। আর সেই নিয়ম কানুন গুলো কে বলা হয়, ট্রাফিক আইন।

যেমন: আমাদের জন্য জরিমানা আর মামলা,কারণ আমাদের মাথায় হেলমেট থাকে না আবার তিনজন নিয়ে বাইকে উঠি, একই আইন যখন ভিন্ন ভিন্ন মানুষের জন্য ভিন্ন রকম ভূমিকা পালন করে তখন সে আইন পালন করা একটু কঠিন হয়ে পড়ে

প্রশ্ন : ট্রাফিক কত প্রকার ও কি কি?

আপনারা অনেকেই গুগলে ট্রাফিক কত প্রকার সেটি জানার জন্য সার্চ করেন। আর যারা এই বিষয় টি জানার জন্য সার্চ করেন।
তাদের বলে রাখি যে, ট্রাফিক এর কোন প্রকারভেদ নেই। বরং আমরা ট্রাফিক সিগন্যাল এর প্রকারভেদ দেখতে পারবো।
আমরা ট্রাফিক সাইন এর প্রকারভেদ দেখতে পারবো। কিন্তু আমরা কখনই ট্রাফিক এর প্রকারভেদ খুজে পাবো না।

তাই এবার আমাদের জানতে হবে যে, ট্রাফিক সাইন কত প্রকার ও কি কি। তো চলুন এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

আপনারা অনেকেই গুগলে ট্রাফিক কত প্রকার সেটি জানার জন্য সার্চ করেন। আর যারা এই বিষয় টি জানার জন্য সার্চ করেন।

তাদের বলে রাখি যে, ট্রাফিক এর কোন প্রকারভেদ নেই। বরং আমরা ট্রাফিক সিগন্যাল এর প্রকারভেদ দেখতে পারবো।

আমরা ট্রাফিক সাইন এর প্রকারভেদ দেখতে পারবো। কিন্তু আমরা কখনই ট্রাফিক এর প্রকারভেদ খুজে পাবো না।

তাই এবার আমাদের জানতে হবে যে, ট্রাফিক সাইন কত প্রকার ও কি কি। তো চলুন এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

ট্রাফিক সাইন কত প্রকার ও কি কি?

ট্রাফিক কি সেটি জানার পর আপনি যদি ট্রাফিক সাইন এর প্রকারভেদ জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, ট্রাফিক সাইন কে প্রধানত ০২ টি ভাগে ভাগ করা সম্ভব। আর সেই ট্রাফিক সাইন এর প্রকারভেদ গুলো হলো,

1. দৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন

2. অদৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন

দৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন কাকে বলে? 

আমরা সচারচর যে সকল ট্রাফিক সাইন কে নিজের চোখে দেখতে পারি। সেই সাইন গুলো কে বলা হয়, দৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন।

যেমন, আমরা রাস্তার মাঝে বিভিন্ন ট্রাফিক লাইট দেখতে পাই। আবার আমরা রাস্তায় চলাচল করা যানবাহন এর মধ্যে অনেক ইন্ডিকেটিং লাইটিং দেখি। তো এগুলোই হলো দৃশ্যমান ট্রাফিক সাইট এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।

অদৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন কাকে বলে?

সহজ কথায় আমরা যে সকল ট্রাফিক সাইন কে কখনও চোখে দেখতে পারবো না। সেগুলো কে বলা হবে, অদৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন।

যেমন, আমরা বিভিন্ন যানবাহন এর মধ্যে হর্ণ এর শব্দ শুনতে পাই। কিন্তু সেই শব্দ কে আমরা কখনই চোখে দেখতে পারবো না। তো এই ধরনের সাইন কে বলা হয়, অদৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন।

ট্রাফিক সিগন্যাল বা সংকেত কত প্রকার?

ট্রাফিক সংকেত কে মোট তিন (০৩) টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন,

1. ট্রাফিক শব্দ সংকেত,

2. ট্রাফিক আলো সংকেত,

3. ট্রাফিক বাহুর সংকেত,

প্রশ্নঃ সুপারিকল্পিত ভাবে রাস্তায় যানবাহন পরিচালনার দায়িত্ব কোন কোন সংস্থার উপর ন্যাস্ত?

উত্তরঃ সুপরিকল্পিত ভাবে রাস্তায় যানবাহন পরিচালনার দায়িত্ব নিম্নে লিখিত সংস্থার উপর ন্যাস্ত-

ক) যোগাযোগ মন্ত্রণালয় খ) সড়ক ও জনপথ বিভাগ

গ) ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ ঘ) সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ

ঙ)  ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

২) প্রশ্নঃ রাস্তায় চলমান গাড়ীর কাগজপত্র পরির্দশন করার ক্ষমতা রাখেন কারা?

উত্তরঃ ক) পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

খ) বি.আর.টি.এ এর কর্মকর্তা। গ) মোবাইল কোর্টের ম্যাজিষ্ট্রেট

ঘ) শুধুমাত্র উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি কাগজ পত্র পরির্দশন করবেন।

বিকাশে বিআরটিএ’র ফি পরিশোধ করবেন যেভাবে

৩) প্রশ্নঃ দুর্ঘটনা এড়াবার জন্য রাস্তা ব্যবহারকারীকে কি করতে হবে?

উত্তরঃ দুর্ঘটনা এড়াতে প্রত্যেক রাস্তা ব্যবহারকারীকে নিম্নের ৩টি বিষয়।

ক) ট্রাফিক আইন জানতে হবে। খ) ট্রাফিক আইন কার্যকরী করতে হবে।

গ) ট্রাফিক আইন কার্যকরী করবার সদিচ্ছা থাকতে হবে।

৪) প্রশ্নঃ নিরাপদ ভ্রমনের জন্য ইঞ্জিন ষ্টার্ট করে পাঁচ থেকে দশ (১০-১৫) গজের মধ্যে অবশ্যই কি চেক করতে হয়?

উত্তরঃ ব্রেক প্যাডেলে চাপ প্রয়োগ করে ব্রেকের কার্যক্ষমতা।

৫) প্রশ্নঃ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার সাধারণ নিয়ম কি কি?

উত্তরঃ ক) গতি যত মাইল তত গজ দূরত্ব বজায় রাখা।

খ) গতি যত কিঃ মিঃ তত মিটারের অর্ধেক মিটার অথবা দুই সেকেন্ড সময়ের দূরত্ব বজায় রাখা।

৬) প্রশ্নঃ গতি কিসের উপর নির্ভর করে?

উত্তরঃ গতি সাধারনত নির্ভর করে- দৃষ্টিগোচরতার উপর/ আবহাওয়ার পরিস্থিতির উপর/ যানবাহনের উপর/ গাড়ীর অবস্থার উপর/রাস্তার উপর/চালকের উপর।

৭) প্রশ্নঃ গাড়ী দাঁড় করাতে চালক কিভাবে হাতের সংকেত দিবে?

উত্তরঃ হাত বের করে এলবো জয়েন্ট হতে হাত ৯০০ বেন্ট (ইবহঃ) করে উপরের দিকে উঠাবে।

৮) প্রশ্নঃ ডান দিকের লেন সব সময় কারা ব্যবহার করবেন?

উত্তরঃ ওভারটেক করা গাড়ী।

৯) প্রশ্নঃ রাস্তার মাঝখানের অখন্ডিত ডাবল হলুদ লাইন-এর অর্থ কি?

উত্তরঃ আইল্যান্ড।

১০) প্রশ্নঃ মাঝখানের অখন্ডিত সাদা লাইন এর অর্থ কি?

উত্তরঃ ওভারটেক করা যাবে না

FAQ – What is Traffic Signal

প্রশ্নঃ হলুদ আলোর সংকেত কি?

উত্তরঃ যদি কখনও আপনি রাস্তায় চলাচল করার সময় হলুদ আলোর সংকেত বা সিগন্যাল দেখতে পান। তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে, একটু পরেই সেখানে থাকা যানবাহন গুলো চলাচল করতে পারবে।

তাই সেই যানবাহন গুলোকে চলাচল করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এই হলুদ আলোর সংকেত ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্নঃ লাল বৃত্তের ভিতরে একটি লাল ও একটি কালো গাড়ি থাকলে কী বুঝায়?

উত্তরঃ যখন আমরা লাল বৃত্তের ভিতরে একটি লাল ও একটি কালো গাড়ি দেখবো। তখন আমাদের বুঝতে হবে যে, সেই মূহূর্তে আমাদের ওভারটেক করা সম্পর্ণ ভাবে নিষেধ।

প্রশ্নঃ কোন কোন স্থানে গাড়িকে অবশ্যই থামাতে হবে?

উওর: আপনি যখন কোন যানবাহন এর চালক হিসেবে থাকবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে রাস্তার মধ্যে থাকা জেব্রা ক্রসিং এর সামনে থামতে হবে।

কারন, সর্ব প্রথম আপনাকে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে সাধারন পথচারি মানুষ কে পারাপার হওয়ার সুযোগ দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *