সর্বশেষ নিউজ

ডিপোজিট ও ডিপিএস এর মধ্যে পার্থক্য ২০২২ । DPS VS DEPOSIT

ডিপােজিট এর বাংলা অর্থ অন্যের নিকট গচ্ছিত বা জমা রাখা। ডিপােজিট বলতে বুঝায় কোন ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানে কোন নির্দিষ্ট পরিমাণের টাকা নির্দিষ্ট সময় বা মেয়াদের জন্য জমা রাখার নাম ডিপােজিট।। ডিপােজিট একাউন্ট ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব যেকোন বাংলাদেশী নাগরিক হিসাব খুলতে পারেন। ডিপােজিটের ক্ষেত্রে এককালীন নির্দিষ্ট টাকা জমা রাখতে হয়। ডিপােজিট এর মেয়াদকাল সাধারণত ১মাস থেকে শুরু করে ৫ ও ১০ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটা ব্যাংকভেদে ভিন্ন হতে পারে। আমানতের পরিমাণ সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা জমা রাখতে হয়। এটা ব্যাংকভেদে ভিন্ন হতে পারে। ডিপােজিটে ডিপিএস থেকে মুনাফার হার বেশি। ডিপােজিটের ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণের কোন উর্ধ্বসীমা থাকে না।

ডিপিএস ডিপিএস হল ডিপােজিট পেনশন স্কিম। প্রতি মাসে রা নির্দিষ্ট কয়েকদিন পর পর নিয়মিত টাকা জমা দিয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্তির পর মূল টাকাসহ একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ লভ্যাংশ ফেরত পাওয়ার নাম হল ডিপিএস। ডিপিএস একাউন্ট ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব যেকোন বাংলাদেশী নাগরিক এবং নাবালকের সাথে যৌথভাবে পিতা বা মাতা অথবা আইনগত অভিভাবক নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এই হিসাব খুলা যায়।। ডিপিএস এ মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা রাখা যায়। ডিপিএস এর মেয়াদকাল সাধারণত ৩, ৫ ও ১০ বছর হয়ে থাকে। এটা ব্যাংকভেদে ভিন্ন হতে পারে। ডিপিএস এ মাসিক কিস্তি ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকার যেকোন একটি পরিমাণ নির্ধারণ করে টাকা রাখতে হয়। ডিপিএস এ ডিপােজিট থেকে মুনাফার হার কম। ডিপিএসের ক্ষেত্রে মাসিক কিস্তির পরিমাণের উর্ধ্বসীমা থাকে।

DPS VS Deposit 2022

ডিপোজিটের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেটাকে আবার নতুনভাবে বিনিয়োগ করা যায়। টার্ম ডিপোজিটের ক্ষেত্রে এটা করা হয়। অন্যদিকে ডিপিএস এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ভেঙ্গে নিতে হয়।

ডিপোজিটের পরিবর্তে লোন নিলে সেই লোনের মুনাফার হার ডিপোজেটের প্রযোজ্য মুনাফার হারের চাইতে ১ থেকে ২ শতাংশ বেশী হয়।

ডিপিএসের জমা হওয়া টাকার উপর লোন নিলে সেই লোনের মুনাফার হার ডিপিএসের প্রয়োজ্য হারের চাইতে ১ থেকে ২ শতাংশ বেশী হয়।

ডিপোজিটের টাকা সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে জমা দিতে হয়।

ডিপিএস এর কিস্তির টাকা একাউন্ট থেকে অটো জমা দেওয়ার সিস্টেম করা রাখা যায়। আবার ব্যাংকের অ্যাপস এর মাধ্যমে জমা দেয়া যায়।

ডিপোজিটের টাকা এককালীন জমা দিতে হয় বিধায় একাউন্ট জন্ধ হওয়ার কোন উপক্রম নেই।

ডিপিএস এর কিস্তি পর পর ৩টি দিতে ব্যর্থ হলে একাউন্ট সাময়িক বন্ধ বা স্থগিত হয়ে যায়। পুনরায় ব্যাংকে গিয়ে কিছু জরিমানা দিয়ে আবার নিয়মিত করত হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *