সুস্থ থাকার উপায়

নিপা রোগ ২০২৩ । নিপা ভাইরাসে কিভাবে আক্রান্ত হয়?

খেজুরের কাঁচা রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন-রস অবশ্যই খাওয়ার পূর্বে পর্যন্ত তাপমাত্রায় জাল করে ঠান্ডা করুন এবং অতপর পান করুন – নিপা রোগ ২০২৩

নিপা ভাইরাস কেন হয়– নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ, যা বাদুড় থেকে মানুষে মূলত: খেজুরের কাঁচা রস পানের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। সাধারণত শীতকালে এই রোগ বিস্তার লাভ করে। খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খাওয়ায় কোন বাঁধা নেই। এই রোগে মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশেরও বেশি। প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়।

নিপাহ রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি? বানা অথবা যে কোনোভাবে ঢেকে রেখে সংগৃহীত খেজুরের কাঁচা রস পান করবেন না। রস ও রস সংগ্রহের পাত্রের সংস্পর্শে আসলে ভালোভাবে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। কোনো ধরণের আংশিক খাওয়া ফল খাবেন না। আক্রান্ত রোগীকে সেবা প্রদানের সময় নাক, মুখ ঢেকে সঠিক উপায়ে মাস্ক পরুন এবং সেবা পরবর্তী সময়ে সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেলুন। নিপাহ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে রোগীকে প্রেরণ করতে হবে।

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আপনি দ্রুত যোগাযোগ করবেন হট লাইনে। কারণ এ রোগে আপনি কাঁচা খেজুরের রস খেলেই আক্রান্ত হবেন। কোন ভাবেই কাঁচা রস না খেলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ নাই। বাদুরের জীবানু দ্বারাই এ রোগের সংক্রমন বিস্তার লাভ করে থাকে।

নিপা ভাইরাস বাংলাদেশ / এ রোগে মৃত্যুর হার অত্যন্ত বেশি তাই সতর্ক থাকুন

নিপা ভাইরাস সংক্রমণ একধরনের ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ, যা নিপা ভাইরাসের মাধ্যমে ঘটে থাকে। এই সংক্রমণের কোন লক্ষণ নাও দেখা দিতে পারে বা জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বিভ্রান্তি ইত্যাদি হতে পারে। এক বা দুই দিনের মধ্যে রোগী অচেতন হয়ে পড়তে পারেন।

Caption: NIPAH VIRUS

নিপাহ রোগের প্রধান লক্ষণ  ২০২৩ । কখন বুঝবেন আপনার নিপা রোগ হয়েছে?

  1. জ্বরসহ মাথাব্যথা
  2. খিঁচুনি
  3. প্রলাপ বকা
  4. অজ্ঞান হওয়া
  5. কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট

আক্রান্ত হলে কোন হটলাইনে ফোন করবেন?

আক্রান্ত হলেও দ্রুত চিকিৎসা নিন। কারণ এ রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। দ্রুত ফোন দিন ১০৬৫৫ (আইইডিসিআর), ০১৭৩১৩১৪৬০০ (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) নম্বরে। আর কোন ভাবেই খেজুরের কাঁচা রস পান করবেন না। সতর্কতা জারি করেছে- জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং নে লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *