সর্বশেষ নিউজ

পুরান ঢাকার খাবার ২০২৩। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার সম্পর্কে আমারা অনেকেই জানা না থাকলে জেনে নেই

পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক খাবার  সম্পর্কে আমারা  অনেকেই জানা না থাকলে জেনে নেই 

ঢাকার ঐতিহাসিক খাবার

ঢাকা একটি ঐতিহাসিক শহর এবং এখানে বিভিন্ন ধরণের খাবার সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য রয়েছে। ঢাকা শহরের ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং নানা প্রকার খাদ্য সম্পদ নিচে দেখা যাকঃ

ঢাকার বিরিয়ানি ঢাকার বিরিয়ানি বিখ্যাত একটি খাবার যা এখানে অনেকগুলি রকমের বিষয়ের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধিত্ব করে। ঢাকার বিরিয়ানি মুগল সম্রাট আকবর এর সময় থেকে শুরু হয়েছে। এটি বাসদার এবং গরিবের খাবার ছিল। এখন এটি একটি প্রচলিত খাবার হয়ে উঠেছে।

ঢাকার ফুচকা  ফুচকা একটি খাবার যা ঢাকার হুমায়ুন আহমেদ চরণের চরিত্র একটি অসম্ভব সফল নিয়েছে। এটি একটি স্পাইসি এবং কাচ্চা পানীয় দিয়ে বানানো হয়ে থাকে।

ঢাকার লাল মোরগ ভুনা – লাল মোরগ ভুনা হল একটি খাবার যা বিশেষত এর ভুনা ভালো।

পুরান ঢাকার খাবারে ঐতিহ্য

 

পুরান ঢাকার চকবাজা‌রে বাংলার ঐতিহ্যবাহী ও বিখ্যাত ইফতার ভোজ‌নে। ১৭০২ সালে ঢাকার দেওয়ান মুর্শিদ কুলি খাঁ চকবাজারকে আধুনিক বাজারে পরিণত করেন। আর এই বাজারস্থ চকবাজারের শাহী মসজিদের সামনে একটি কূপ ছিল। তার চারপাশেই চেয়ার-টেবিল বিছিয়ে বিক্রি করা হতো ইফতারের বিভিন্ন উপকরণ। নাজির হোসেনের কিংবদন্তির ঢাকা বইয়ে উল্লেখ আছে ১৮৫৭ সালের আগেই চকবাজার জমজমাট হয়। রোজার সময় মোগলাই খাবার এবং রকমারি ইফতার বিক্রি করা হতো এখানে। বিশ শতকের প্রথম দিকেও ঢাকায় ইফতারির বাজার বলতে শুধু চকবাজারকে বোঝাত। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে রমজান ও ইফতারের আয়োজন ও বৈচিত্র্য বেড়ে যায় অনেক ।

এরকম নানান ঐতিহাসিক সূত্র হতে পুরাতন ঢাকার ইফতারের যে ইতিহাস পাওয়া যায়, সেখানে দেখা যায় নানান রুটি আর কাবাবের প্রাধান্য। রুটির মধ্যে সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় ছিল মোঘল সেনাদের তাবুর জনপ্রিয় পদ নান তাফখান যা ছিল মূলত বাদাম মিশ্রিত গমের একপ্রকার রুটি। এছাড়া আরও জনপ্রিয় ছিল বড় বা‌পের পোলায় খায় সুজি দিয়ে তৈরি হওয়া রুটি শিরমাল যা শিরমালি রুটি নামে পরিচিত ছিল। এছাড়া থাকত আকবরি নানখাতাই যা শীতকালে বেশী খাওয়া হত। এছাড়া পরবর্তীতে ক্রমে যুক্ত হতে থাকে বাকরখানি বোগদাদি রুটি শবরাতি রুটি কাকচা নিয়া‌জের জিলাপী কুলিচা হরেক রকমের নানরুটি।  কাবা‌বের ম‌ধ্যে র‌য়ে‌ছে রেশমি কাবাব সুতি কাবাব জালী কাবাব বটি কাবাব ইত্যাদি।

ত‌বে মোঘল আম‌লের খুব কম সংখ্যক পদই এখন আপনি পুরাতন ঢাকার ইফতার বাজারে খুঁজে পাবেন।

 

পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক খাবার তালিকায় টেবিল 

 

একটি টেবিলে পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক খাবারের নাম এবং সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো

ঢাকাই হালুয়া

একটি সুস্বাদু পানির হালুয়া, যা বিশেষত ইফতার এবং দুপুরের নাস্তা হিসাবে খেয়ে থাকা হয়।

ঢাকাই বিরিয়ানি

বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় খাবার যা বিশেষ ধরনের চাউল দিয়ে তৈরি হয়। সাধারণত এটি গরুর মাংস দিয়ে তৈরি হয়।

ঢাকাই হাজি বিরিয়ানি

একটি প্রকৃতপক্ষে ঢাকাই স্টাইলে তৈরি করা বিরিয়ানি যা সাধারণত স্পেশাল অক্ষরে বিক্রি করা হয়। এটি প্রায়শই গরুর মাংস দিয়ে তৈরি হয়।

কাচ্চি বিরিয়ানি এটি একটি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশী খাবার এবং বিশেষ ধরনের চাউল দিয়ে তৈরি হয়। এটি সাধারণত আম, ছাল এবং গরুর মাংস দিয়ে তৈরি হয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *