আপনার অবসর সময় কাটানোর জন্য ফোন এর পরিবর্তে বই পড়া শুরু করতে পারেন। বই পড়ার উপকারিতা প্রচুর রয়েছে। এতে আপনার একাকীত্ব কাটবে, মন ভালো লাগবে এবং এই অভ্যেসের সাথে আপনি নিজেকে মোবাইল থেকে দূরে রাখতে পাবেন।
নোটিফিকেশন অফ রাখা-
এই কৌশলটি হলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা। সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন বন্ধ না থাকলে ফেইসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার কিংবা বিভিন্ন সাইটের নোটিফিকেশন আসতে থাকে ক্রমাগত। যার ফলে আমরা ক্ষণিক পর পরেই নোটিফিকেশন চেক করার অযুহাতে এসব সাইটগুলোতে ঘন্টার পরে ঘণ্টা ব্যয় করতে থাকি। তাই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন অফ রাখা হতে পারে মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার সুন্দর একটি কৌশল।
নির্দষ্ট সময়ে মোবাইল ব্যবহার করা-
যতবেশি মোবাইল ব্যবহার করবে তত বেশি মোবাইলে আসক্ত হবে। তাই সবসময় মোবাইল ব্যবহার না করে দিন কিংবা রাতের নির্দিষ্ট সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারের জন্য নিদিষ্ট করে নেন। পারলে একটা রুটিন করে নিতে পারো, কেবল রুটিনের সময়েই মোবাইল ব্যবহার করবে, এর বাইরে নয়। মোবাইল আসক্তি রোধে এটি দারুণ কার্যকরী কৌশল।
মোবাইল বন্ধ রাখা-
মোবাইল আসক্তি রোধে এটি আপনার জন্য হতে পারে সবচেয়ে সহজ এবং সুন্দর পদ্ধতি। আপনি যখন ঘুমাতে যাবেন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকবে তখন মোবাইল বন্ধ রাখতে পারেন। এতে আপনি যেমন কাজের প্রতি একাগ্রতা ঠিক রাখতে পারবেন, ঘুমাতে পূর্ণ স্বাদ পাবেন। আর এ সময়গুলোতে মোবাইল ব্যবহার হতে বিরত থাকার ফলে আপনি ক্রমশই মোবাইল আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে সহজে।
ব্যবহার করুন কঠিন পাসওয়ার্ড-
মোবাইলে কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন। যা হতে পারে ১৫ কিংবা তার অধিক ক্যারেক্টারের। যার ফলে আপনি চাইলেই এক ক্লিকে ফেইসবুক কিংবা বিভিন্ন সাইটে ঢু মারতে পারবেন না। মোবাইল আসক্তি রোধে আপনার জন্য এটি হতে পারে চমৎকার একটি কৌশল।
সময় গণনার অ্যাপ ব্যবহার করুন-
গুগল প্লেল স্টোর থেকে নামিয়ে নিতে পারেন Time Tracker, Addict Ometer Phone Manager, Forest, Rescue Time-এর মতো কিছু চমৎকার মোবাইল অ্যাপ। যেগুলো আপনার দিনের কিংবা রাতের প্রতিটি সময় ব্যয়ের পূর্ণ তথ্য দিবে। তারপর আপনি ঘুমানোর পূর্বে এই সময় ব্যয় দেখে আপনার আসক্তি পরিমাপ করতে পারবেন।
গ্রুপ চ্যাট বন্ধ করুন-
ফেইসবুকে কলেজ বন্ধুদের গ্রুপ চ্যাট, পাড়ার বন্ধু-বান্ধবের গ্রুপ চ্যাট কিংবা ফ্যামিলি মেম্বারদের গ্রুপ চ্যাট। যেনো ফেইসবুকে একবার ঢুকলে গ্রুপ চ্যাটের আড্ডা থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। গ্রুপ চ্যাটে হররোজ এমন আড্ডাই একসময় পরিণত হয় আসক্তিতে। তাই মোবাইল আসক্তি রোধে অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় গ্রুপ চ্যাটগুলো বন্ধ করুন।
যতটা সম্ভব কম অ্যাপস রাখুন-
মোবাইল গেমসগুলোকে সম্পূর্ণ ভাবে এড়িয়ে চলুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এপ্স গুলো স্কিনের সামনে রাখবেন না। এপ্স গুলো ডিলিট করে Browser ব্যবহার করতে পারেন। আর একাউন্ট গুলো লগ আউট করে রাখতে পারেন।
অ্যালার্ম ঘড়ির ব্যবহার-
মোবাইল ফোনটি অ্যালার্মের কাজে ব্যবহার করলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এলার্ম বন্ধ করে প্রথমে অপ্রয়োজনে মেসেঞ্জার বা মেইল বক্স চেক করার সম্ভাবনা কমে যাবে। তাই অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করলে ফোন ব্যবহার ছাড়াই অতিরিক্ত কিছু সময় বাঁচানো যায়। এ ছাড়া ভিন্ন একটি রুমে ফোন চার্জে দেওয়া এবং সকালে একটি নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে ফোন চেক করা যেতে পারে।
খেলাধুলায় বিকাল কাটান-
একসময় আমাদের অনেক এর ই বিকাল টা কাটতো খেলার মাঠে। কিন্তু এখন আমাদের সকাল থেকে রাত পুরোটা সময়ই কাটছে ফোনের স্কিনে । সুতরাং দিনের নিদিষ্ট একটা সময় ফোন থেকে দূরে মাঠে খেলাধুলা করে কাটতে পারেন। এতো করে আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং ফোন এর প্রতি আসক্তিও কমবে।