বয়স বাড়লেও আপনার ত্বক থাকবে তরুণ
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে বদলাতে হয় অনেক অভ্যাস মেনে চলতে হয় অনেক কিছুই। একটা সময় তারুণ্য ছেড়ে যৌবনে, তারপর বার্ধক্যে পা পড়ে সবারই। বদলে যেতে থাকে চেহারা শরীরের চামরা গায়ের রং। প্রত্যেকের চেহারায় কিন্তু বয়সের ছাপ একইভাবে পড়ে না। কেউ কেউ আছেন, যাঁদের দেখে মনে হবে তারুণ্য এখনো তাঁকে ছেড়ে যায়নি তাদের। আবার বয়স ৪০ পেরোলেও অনেকে আটকে থাকে পঁচিশে। অনেকে আছেন, যাঁরা হয়ে যান অকালেই বুড়ো। আবার কেউ কেউ মনে করেন, চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ার ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের অতটা হাত নেই। এসব কারণে বয়স ধরে রাখতে অনেকেই ঝুঁকে পড়েন নানা রকম কেমিক্যাল মিশ্রিত প্রডাক্টের দিকে। বয়স ধরে রাখতে নানা রকম পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে শুরু করেন ত্বকের উপর। কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে চললেই ত্বক থাকবে তরুনের মত, বয়সের আগেই পড়বে না কোনো বয়সের ছাপ।
রোদের মধ্যে ঘোরা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন-
আমাদের ত্বকের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর কিছু থাকলে সেটা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। কাজের কারণে কমবেশি সবাইকে রোদে বের হতেই হয়। কিন্তু প্রখর রোদে বের হতে হলে সেই রোদ থেকে বাঁচার ব্যবস্থা নিয়েই বের হওয়া উচিত। নতুবা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি প্রভাব ফেলে আমাদের ত্বকের উপর যে কারণে বয়স হওয়ার আগেই বয়সের ছাপ পড়তে থাকে আমদের ত্বকে কুচকে যায় আমাদের ত্বক ।
প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি নেওয়া-
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি যেমন আমাদের জন্য ক্ষতিকর আবার তামনি প্রয়োজনীয়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে দূরে থাকবেন বলে যে একেবারেই বাইরে চলাচল বন্ধ করে দিতে হবে, তা কিন্তু নয়। সূর্যের আলো আমাদের সরবরাহ করে মহামূল্যবান ভিটামিন ডি। যার ঘাটতি হলে ত্বকের প্রদাহ থেকে শুরু করে ক্যানসারের ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়াতে পারে। আবার ভিটামিন ডির অভাবে ত্বক হয়ে পড়ে লাবণ্যহীন।
পরিমিত ঘুম জরুরি-
সারা দিনের পরিশ্রম শেষে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম না নিলে ত্বক কিন্তু মলিন হয়ে যাবে। সঠিক পরিমানে ঘুম সুস্থ ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ঘুমের অভাব স্পষ্ট প্রভাব ফেলে শরীরের ভেতরে–বাইরে এবং মনে। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই।
পরিমিত পানি খাওয়া প্রয়োজন-
ত্বক ভালো রাখতে পানির কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সবার শরীরের প্রায় ৭০ ভাগ পানি, আর সেই পানির অভাব শরীরে যদি দেখা যায়, তাহলে কি শরীর আর আপনার ত্বকের ঔজ্জ্বল্য প্রকাশ করবে? ত্বক পরিষ্কার, উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখতে নিয়মিত পরিমিত পানি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
ধূমপান ত্যাগ-
ত্বক নষ্ট যাওয়ার পেছনের অন্যতম অনুঘটক হিসেবে কাজ করে নিকোটিন। নিয়মিত ধূমপান মানেই হচ্ছে নিয়মিত নিকোটিন গ্রহণ করা যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এ কারণে ধূমপায়ীদের চেহারায় অকালে বয়সের ছাপ পড়ে, চামরা কুচকে যায়।