ব্যাংকিং নিউজ

বিকাশের টাকা ক্যাশ করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে না । এখন ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দিতে বিকাশ টু ব্যাংক করুন

বিকাশে আসার টাকা বিকাশে হতেই ব্যাংকে জমা করুন – ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দিতে আর ব্যাংকে যাওয়া লাগবেনা। বিকাশ অ্যাপ থেকে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে বিকাশ টু ব্যাংক করুন।

ভিসা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা হবে– টাকা জমা হয়ে যাবে আপনার ব্যাংক একাউন্টে। মনে রাখবেন, কখনোই কারো সাথে বিকাশ অ্যাপ-এর পিন ও ভেরিকিকেশন কোড, ভিসা ডেবিট কার্ড এর পিন নাম্বার শেয়ার করবেন না। ব্যাংকে টাকা জমা দিতে “বিকাশ টু ব্যাংক” করুন ভিসা ডেবিট কার্ডে।

ভিসা ডেবিট কার্ডে “বিকাশ টু ব্যাংক” কেন করবেন? বিকাশ টু ব্যাংকে টাকা জমা হবে অনায়াসে। টাকা পাঠান দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা। চেক বা ক্যাশের ঝামেলা নেই। কোনো ফর্ম পূরণ করা লাগেনা। এই সার্ভিসটি কী? বিকাশ গ্রাহকরা ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দিতে তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশে ইস্যুকৃত যেকোনো ভিসা ডেবিট কার্ডে “বিকাশ টু ব্যাংক” করতে পারবেন। এই সার্ভিসটি কারা নিতে পারবেন? সক্রিয় বিকাশ ওয়ালেট থাকা সাপেক্ষে যেকোনো বিকাশ গ্রাহক সার্ভিসটি নিতে পারবেন।

কোন ডেবিট কার্ডগুলো “বিকাশ টু ব্যাংক”-এর জন্য ব্যবহারযোগ্য? বাংলাদেশের যেকোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ইস্যু করা যেকোনো ভিসা ডেবিট কার্ডের জন্য এই সার্ভিসটি প্রযোজ্য। ইস্যুকারী ব্যাংকসমূহ যেসব কার্ডের পেমেন্ট গ্রহণ রোধ করেছে, সেইসব ভিসা ডেবিট কার্ডে এই সার্ভিসটি নেওয়া যাবে না। আমি কি আমার মাস্টারকার্ড, ডাইনার্স ক্লাব বা অন্য ডেবিট কার্ডেও “বিকাশ টু ব্যাংক” করতে পারি? এই সার্ভিসটি শুধুমাত্র ভিসা ডেবিট কার্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই সার্ভিসটি ব্যবহার করে কি USD/অন্যান্য মুদ্রা “বিকাশ টু ব্যাংক” করা যেতে পারে? না, শুধুমাত্র বাংলাদেশি মুদ্রার ক্ষেত্রে “বিকাশ টু ব্যাংক” করা যাবে। তাছাড়া এই সার্ভিসের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ড, RFCD কার্ড বা FC কার্ডেও “বিকাশ টু ব্যাংক” করার সুযোগ নেই।

৩০ মিনিট থেকে ৩ কার্য দিবসের মধ্যে টাকা জমা হবে / সার্ভিসটি পেতে অবশ্যই চার্জ পরিশোধ করতে হবে।

আমি বিকাশ থেকে ভিসা কার্ডে টাকা ট্রান্সফার করেছি কিন্তু ট্রান্সফার ব্যর্থ হয়েছে, করণীয় কী? আপনার ভিসা কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক ভিসা এর এই সার্ভিসটি ব্যবহার করছে না। অনুগ্রহ করে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক এর সাথে যোগাযোগ করে আপনার সমস্যাটি জানান। আমি বিকাশ থেকে ভিসা কার্ডে টাকা ট্রান্সফার করেছি কিন্তু এখনো টাকা ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়নি। টাকা ট্রান্সফার হতে ৩০ মিনিট থেকে ৩ কার্যদিবস পর্যন্ত সময় প্রয়োজন হতে পারে। আপনার ব্যাংকে রিয়েল টাইম ট্রান্সফার চালু করা থাকলে সাথে সাথেই টাকা জমা হয়ে যাবে। অনুগ্রহ করে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়ে নিন তাদের রিয়েল টাইম ট্রান্সফার সার্ভিসটি চালু আছে কিনা।

ব্যাংকে টাকা জমা দিতে "বিকাশ টু ব্যাংক" করুন ভিসা ডেবিট কার্ডে

কোনো গ্রাহক ভুল পরিমাণ টাকা পাঠিয়ে দিলে করণীয় কী? টাকার পরিমাণ গ্রাহক নিজেই ইনপুট করেছেন তাই তা ‘ভুল’ পরিমাণ হিসেবে বিবেচিত নয়। তারপরও যদি গ্রাহক মনে করেন যে তিনি ভুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করেছেন (যেমন ৫,০০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা দিতে চেয়েছিলেন) তাহলে গ্রাহককে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আমি কি ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য আমার ভিসা ডেবিট কার্ড সেভ করে রাখতে পারি? না, ভিসা ডেবিট কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফার করার ক্ষেত্রে কার্ড সেভ করে রাখার অপশন নেই।

বিকাশে থেকে ব্যাংকে টাকা কিভাবে যাবে? ভিসা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে “বিকাশ টু ব্যাংক” করবেন কীভাবে?

  1. বিকাশ অ্যাপে যান।
  2. “বিকাশ টু ব্যাংক” সেকশন থেকে ‘কার্ড’ অপশন সিলেক্ট করুন।
  3. ১৬ ডিজিটের ভিসা ডেবিট কার্ড নাম্বার দিয়ে অ্যামাউন্ট টাইপ করুন।
  4. বিকাশ একাউন্টের গোপন পিন নাম্বার দিন।

ভিসা ডেবিট কার্ডে “বিকাশ টু ব্যাংক” সম্পন্ন হতে কত সময় লাগবে?

টাকা  ট্রান্সফার হতে ৩০ মিনিট থেকে ৩ কার্যদিবস পর্যন্ত সময় প্রয়োজন হতে পারে। এটি ইস্যুকারী ব্যাংকের কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হবে। যদি বিকাশ অথবা ইস্যুকারী ব্যাংকের দিক থেকে “বিকাশ টু ব্যাংক” করা নিয়ে কোনো সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে করণীয় কী? বিকাশ-এর দিক থেকে “বিকাশ টু ব্যাংক” নিয়ে কোনো সমস্যা হলে, টাকা পাঠানোর ১৮ কার্যদিবসের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে। ইস্যুকারী ব্যাংকের দিক থেকে “বিকাশ টু ব্যাংক”-এ কোনো সমস্যা হলে, গ্রাহকদের কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

ভিসা ডেবিট কার্ডে “বিকাশ টু ব্যাংক” করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে? গ্রাহকরা এই সার্ভিসটি ২৪/৭ ব্যবহার করে “বিকাশ টু ব্যাংক” করতে পারবেন। ভুল ডেবিট কার্ড নাম্বারে ভুল করে টাকা পাঠানো হলে করণীয় কী? যদি ভুলবশত একটি ভুল ডেবিট কার্ড নাম্বারে টাকা পাঠানো হয়, তাহলে গ্রাহককে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে বিকাশ দায়ী থাকবে না। কোনো গ্রাহক ভুল পরিমাণ টাকা পাঠিয়ে দিলে করণীয় কী? টাকার পরিমাণ গ্রাহক নিজেই ইনপুট করেছেন তাই তা ‘ভুল’ পরিমাণ হিসেবে বিবেচিত নয়। তারপরও যদি গ্রাহক মনে করেন যে তিনি ভুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করেছেন (যেমন ৫,০০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা দিতে চেয়েছিলেন) তাহলে গ্রাহককে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

লেনদেনের পরিমাণ

চার্জ (পরিমাণের উপর প্রযোজ্য)

 ০-২৫,০০১ টাকা

১.২৫%

২৫,০০১ টাকা এর উপরে

১.৪৯%

“বিকাশ টু ব্যাংক” করার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত লিমিট প্রযোজ্য:

লেনদেনের ধরন

সর্বোচ্চ লেনদেনের সংখ্যা

প্রতি লেনদেনের পরিমাণ

সর্বোচ্চ পরিমাণ

প্রতিদিন

প্রতি মাসে

ন্যূনতম (টাকা)

সর্বোচ্চ (টাকা)

প্রতিদিন (টাকা)

প্রতি মাসে (টাকা)

“বিকাশ টু ব্যাংক”-এর পরিমাণ

৫০

১০০

৫০

৫০,০০০

৫০,০০০

৩,০০,০০০

সূত্র: বিকাশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *