মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ । ওরা আমার মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায়
পাকিস্তান উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিলে বাংলাভাষা রক্ষার স্বার্থে এ দিবসটিতে আন্দোলন হয় বাংলাদেশে – রফিক জব্বার বরকত ভাষার জন্য প্রান দিয়েছে – মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কি? আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হল ২১শে ফেব্রুয়ারি। এটি বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও পরিচিত এবং এটি বিভিন্ন দেশে মাতৃভাষার প্রচার এবং প্রসারের উপযোগীতা উপস্থাপন করে। এই দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং ব্যবহার উত্সর্গ করে এবং মাতৃভাষার গুরুত্ব বোধ করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়। এছাড়াও এই দিনটি একটি সময়, যেখানে মানুষ মাতৃভাষার গুরুত্ব এবং মানের সাথে যুক্ত হতে পারে এবং মানুষ মাতৃভাষার সম্পর্কে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম উপস্থাপন করতে পারে।
বাংলাদেশে প্রতিবছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষা আন্দোলনের দিন হিসেবে পালিত হয়। এটি বাংলা ভাষা আন্দোলনের একটি ঐতিহাসিক দিন যখন একটি প্রতিবাদমূলক সংগ্রামে বাংলা ভাষা উন্নয়নের জন্য হয়রানি ও নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে সংগ্রামী জনগণ বাংলা ভাষার প্রতি তাদের জন্মভূমি বাংলাদেশের অধিকার জানানোর জন্য লড়ে যাচ্ছিলেন। এই দিনটি একটি স্মরণীয় দিন যা বাংলাদেশে সমাজের উন্নয়নে এবং ভাষা সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে পালিত হয়।
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি. তারিখে “মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উদযাপন করা হবে। “মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ উদযাপনের লক্ষ্যে হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয় ও এর অধীন ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব একাউন্টস এর কার্যালয়, ঢাকা এবং সকল চিফ একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার এর কার্যালয়ে কর্মরত ১০ম গ্রেড ও তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাগণের মধ্যে মোট ০৩ জনকে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি. তারিখে সকাল ৭.০০ ঘটিকায় সিজিএ কার্যালয় চত্ত্বর এ আবশ্যিকভাবে উপস্থিত থাকার জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ভাষা দিবস কবে? / বাংলাদেশে ভাষা দিবস হল ২১শে ফেব্রুয়ারি।
এটি বাংলা ভাষা আন্দোলনের ঐতিহ্যিক দিন যখন প্রথম বাংলা ভাষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে একটি বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যার্থীদের নেতৃত্বে শুরু হয় একটি আন্দোলন যেখানে বাংলা ভাষা বাংলাদেশের আধিকারিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সেই দিন থেকে বাংলা ভাষা সম্পর্কে জাগরুকতা ও বিশ্বাস সম্পন্ন করতে এবং ভাষা সংরক্ষণ ও উন্নয়নে উদ্দেশ্যে প্রতিবছর ভাষা দিবস পালিত হয়।
২১শে ফেব্রুয়ারী ২০২৩ খ্রি. মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
ভাষা শহিদ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে কে কে? ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি গুলিতে ৯ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল।
- আবুল বরকত
- আবদুল জব্বার
- রফিকউদ্দিন আহমদ
- আবদুস সালাম
- শফিউর রহমান
২১ ফেব্রুয়ারিকে ভাষা দিবস হিসেবে কে স্বীকৃতি দেয়?
কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে।[১] সে সময় সেক্রেটারী জেনারেলের প্রধান তথ্য কর্মচারী হিসেবে কর্মরত হাসান ফেরদৌসের নজরে এ চিঠিটি আসে। তিনি ১৯৯৮ সালের ২০ শে জানুয়ারী রফিককে অনুরোধ করেন তিনি যেন জাতিসংঘের অন্য কোন সদস্য রাষ্ট্রের কারো কাছ থেকে একই ধরনের প্রস্তাব আনার ব্যবস্থা করেন। পরে রফিক, আব্দুস সালামকে সাথে নিয়ে “মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড” নামে একটি সংগঠন দাঁড় করান। এতে একজন ইংরেজিভাষী, একজন জার্মানভাষী, একজন ক্যান্টোনিভাষী, একজন কাচ্চিভাষী সদস্য ছিলেন। তারা আবারো কফি আনানকে “এ গ্রুপ অব মাদার ল্যাংগুয়েজ অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড”-এর পক্ষ থেকে একটি চিঠি লেখেন, এবং চিঠির একটি কপি ইউএনওর কানাডীয় দূত ডেভিড ফাওলারের কাছেও প্রেরণ করা হয়।