মাইগ্রেনের মাথা ব্যাথা হলে করণীয় ২০২৪ । ঘন ঘন মাথা ব্যাথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?
মাইগ্রেন হল এক ধরণের তীব্র মাথাব্যথা যা সাধারণত মাথার একদিকে প্রচণ্ড ব্যথা, বমি বমি ভাব, আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি এবং ক্লান্তির সাথে থাকে-মাইগ্রেনের মাথা ব্যাথা হলে করণীয় ২০২৪
মাইগ্রেনের মাথা ব্যাথা কি? –মাইগ্রেন মাথাব্যথা একধরণের তীব্র মাথাব্যথা যা সাধারণত মাথার একপাশে প্রচণ্ড ব্যথা, বমি বমি ভাব, আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি, এবং ক্লান্তির সাথে থাকে। যদি আপনার মাইগ্রেনের তীব্রতা বেড়ে যায়। যদি আপনার নতুন মাইগ্রেনের লক্ষণ হয়। যদি আপনার মাথাব্যথা অন্য কোনও চিকিৎসা অবস্থার লক্ষণ হয় বলে মনে হয়। যদি আপনার ওষুধ কাজ না করে তবে ডাক্তারের কাছে যাবেন।
মাইগ্রেনের ব্যাথার কারণ কি? মাইগ্রেনের সঠিক কারণ এখনও অজানা, তবে কিছু ঝুঁকির কারণ রয়েছে যা মাইগ্রেনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, যেমন-যদি আপনার পরিবারে কারও মাইগ্রেন থাকে, তাহলে আপনারও হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মাসিক চক্র, গর্ভাবস্থা এবং মেনোপজের সময় মহিলাদের মাইগ্রেনের ঝুঁকি বেশি থাকে। চকলেট, পনির, লাল ওয়াইন, ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় ইত্যাদি মাইগ্রেনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। উজ্জ্বল আলো, জোরে শব্দ, গন্ধ, ধোঁয়া, এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন মাইগ্রেনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। চাপ, উদ্বেগ, এবং বিষণ্ণতা মাইগ্রেনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
চিকিৎসা কি? মাইগ্রেনের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা ব্যবহার করা যেতে পারে। ওষুধ- ব্যথানাশক: অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, প্যারাসিটামল, ট্রিপটেন: সুমাত্রিপ্টান, রিজাত্রিপ্টান, জোলমিট্রিপ্টান প্রতিরোধমূলক ওষুধ: অ্যামিট্রিপ্টিলিন, টপিরামেট, ভ্যালপ্রোয়িক অ্যাসিড, জীবনধারা পরিবর্তন- নিয়মিত ঘুমানো, নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং মাইগ্রেন ট্রিগারগুলি এড়ানো।
মাথার পেছনে ব্যথার কারণ কি? । মাথার বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয়
মাইগ্রেনের নাকি কোন চিকিৎসা নেই? হ্যাঁ। মাইগ্রেনের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা ব্যবহার করা যেতে পারে।
ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ
মাইগ্রেন মাথা ব্যাথা ২০২৪। মাইগ্রেনের ব্যাথার কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ও লক্ষণগুলো কি কি?
- মাথার একপাশে তীব্র, স্পন্দিত ব্যথা: এটি মাইগ্রেনের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। ব্যথাটি এত তীব্র হতে পারে যে কাজকর্ম করা বা স্বাভাবিক জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে পড়ে।
- বমি বমি ভাব এবং বমি: অনেক লোক মাইগ্রেনের সময় বমি বমি ভাব বা বমি করে।
- আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি: মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়শই আলো এবং শব্দের প্রতি অস্বস্তিকরভাবে সংবেদনশীল হয়ে ওঠে।
- ক্লান্তি: মাইগ্রেনের আক্রমণের সময় অবসাদ এবং ক্লান্তি একটি সাধারণ লক্ষণ।
- মুখের একপাশে ব্যথা: কিছু লোক মাইগ্রেনের সময় মুখের একপাশে ব্যথা অনুভব করেন।
- নাক বন্ধ হওয়া: কিছু লোক মাইগ্রেনের সময় नाक বন্ধ হওয়ার সমস্যায় ভোগেন।
- ঠোঁট ও চোখের চারপাশে ঝিঁঝিঁ করা ভাব: কিছু লোক মাইগ্রেনের সময় ঠোঁট এবং চোখের চারপাশে ঝিঁঝিঁ করা ভাব অনুভব করেন।
মাথার পেছনে ব্যথার কারণ কি?
মাথার পেছনের ব্যথার অনেকগুলো সম্ভাব্য কারণ আছে। কিছু সাধারণ কারণের মধ্যে রয়েছে- টেনশন হেডেক এটি মাথার পেছনের দিকে ব্যথা সহ মাথার একটি সাধারণ ধরণ। এটি চাপ, ক্লান্তি বা খারাপ ঘুমের কারণে হতে পারে। মাইগ্রেন এটি মাথার একপাশে তীব্র, স্পন্দিত ব্যথা সহ মাথাব্যথার আরেকটি সাধারণ ধরণ। এটি আলো, শব্দ বা গন্ধের প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধির সাথেও হতে পারে। সার্ভাইকালজিয়া এটি ঘাড়ের ব্যথা যা মাথার পেছনে ছড়িয়ে যেতে পারে। এটি খারাপ মুদ্রা, আঘাত বা অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে হতে পারে। সাইনাস ইনফেকশন এটি সাইনাসে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণ যা মাথার পেছনে ব্যথার কারণ হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ উচ্চ রক্তচাপ মাথার পেছনে ব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গের কারণ হতে পারে।মেনিনজাইটিস এটি মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের আবরণের প্রদাহ যা মাথার পেছনে তীব্র ব্যথা, জ্বর এবং ঘাড়ের শক্তির সাথে হতে পারে।