মেয়াদ পূর্তির পূর্বে সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গানোর নিয়ম ২০২৩ । সঞ্চয়পত্র ভাঙতে কেমন সময় লাগতে পারে?
বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ক্রয়কৃত সঞ্চয়পত্র মাত্র ১ কর্মদিবসে ভাঙ্গানো যায় – অন্যান্য ব্যাংক গুলো হতে প্রায় ৩ কর্মদিবস লেগে যায় – মেয়াদ পূর্তির পূর্বে সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গানোর নিয়ম ২০২৩
যে কোন সময় ভাঙ্গাতে চাইলে কি কিনবেন?– সরকার জনগণের নিকট হতে দুটি নিরাপত্তার ভিত্তিতে অর্থ গ্রহণ করে থাকে। একটি সঞ্চয়পত্র এবং অন্যটি ট্রেজারি বন্ড বা সরকারি বন্ড। বন্ড হস্তান্তর যোগ্য এবং যে কোন সময় ভাঙ্গানো বা হস্তান্তর করা যায়।
ভাল মুনাফার আশায় টিআইএন সার্টিফিকেট এবং রিটার্ণ দাখিলের রশিদ দাখিল করেও আমরা সঞ্চয়পত্র ক্রয় করে থাকি। প্রয়োজনের সময় চাইলে একটি আবেদন দিয়ে সাথে সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের রশিদ ও সঞ্চয়পত্র ক্রেতা ও নমিনি ছবি সহ রেজিস্ট্রেশন কপি এবং এনআইডি কপি জমা দিয়ে ভেঙ্গে ফেলতে পারি। ব্যাংক বা ডাকঘর যেখানেই কিনুন না কেন আপনাকে ক্রয়কেন্দ্রেই সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গানোর আবেদন করতে হবে। নমুনা ফর্ম এখান থেকে সংগ্রহ করুন। মেয়াদপূর্তির পূর্বে সঞ্চয়পত্র সম্পূর্ণ/ আংশিক নগদায়ন সংক্রান্ত আবেদনপত্র নমুনা।
আপনার কাছে টাকা আছে? হ্যাঁ তাহলে বসিয়ে রাখবেন কেন? আপনি চাইলেই বিনিয়োগ করে ফেলতে পারেন। সঞ্চয়পত্রে এখনও ১১.৫২% মুনাফা পাওয়া যায়। যেখানে ব্যাংক সঞ্চয়ে মাত্র ২-৩%। হ্যাঁ আপনি বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে সঞ্চয়পত্র নগদায়নের ক্ষেত্রে ঐ বছরের জন্য কোন মুনাফা পাবেন না। আবার প্রথম বছরই যদি ১১ মাস পূর্তিতে জরুরি ভিত্তিতে অর্থ উত্তোলন করেন কোন মুনাফাই পাবেন না বরং ১-২০০ টাকা ব্যাংক চার্জ যাবে।
সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গালে ব্যাংক কিছু অর্থ চার্জ করে থাকে / নির্ধারিত হার অনুসারেই মুনাফা পুন:নির্ধারণ করা হয়।
সরকার বিভিন্ন সময় জনগণ বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সুদে ঋণ নিয়ে খরচ মেটাতে থাকে। দেশের উন্নয়ন, জরুরি প্রয়োজন বা বেতন-ভাতা দিতে সরকার এসব ঋণ নিয়ে থাকে। ট্রেজারি বিল বা বন্ডের মাধ্যমে এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়। একে সরকারি সিকিউরিটিজও বলা হয়।
Caption: Application form for Sanchaypatro Encashment/ সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গানোর আবেদনের নমুনা PDF
মেয়াদপূর্তির পূর্বে ভাঙ্গালে কি হার প্রযোজ্য হইবে? নিচের তালিকা অনুসারে ১ম বছরান্তে বা ২য় বছরান্তে বা ৩য় বছরান্তে বা ৪র্থ বছরান্তে মুনাফা প্রযোজ্য হইবে।
মেয়াপূর্তিতে সঞ্চয়পত্র মুনাফা ২০২৩ । মেয়াদ সম্পন্ন বা পূর্তি না হলে নির্ধারিত রেট প্রাপ্য হইবেন না।
মেয়াদ বা সময়ের আগে ভাঙ্গালে কি কোন মুনাফাই পাওয়া যাবে না?
যাবে। তবে অবশ্যই ন্যূনতম ১ বছর অতিক্রম করতে হবে। বিগত ২ বছরে আপনাকে অতিরিক্ত যে (১১.৫২% – ১০%) = ১.৫২% হারে অতিরিক্ত যে পরিমাণ মুনাফা প্রদান করা হয়েছে তা আপনার বিনিয়োগকৃত ৫ লক্ষ টাকা থেকে কর্তন করা হবে। অর্থাৎ টাকার রাখার পর যে হারে মুনাফা পেয়েছেন, মেয়াদ পূর্তির পূর্বে সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গানোর কারনে ঐ হারে আর সুদ বা মুনাফা পাবেন না।