শুক্রবারের আমল গুলো কি কি? শুক্রবার সূরা কাহাফ পাঠের ফজিলত ও আমল
শুক্রবারের আমল গুলো
১। শুক্রবার (জুমআর দিন) ৩ টি আমল যেন ছুটে না যায়।
১. বেশি বেশি দরুদ পাঠ করুন
রাসুল (স.) বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এই দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব তোমরা এই দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে।
[আবু দাউদ- ১০৪৭]
২. বেশি পরিমাণে দোয়া ও ইস্তেগফার করুন।
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন,
জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ মুহূর্ত এমন আছে যে, তখন কোনো মুসলমান আল্লাহর নিকট যে দোয়া করবে, আল্লাহ তা কবুল করেন।
[আবু দাউদ- ১০৪৮]
৩. সুরা কাহাফ পাঠ করা
যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এই জুমা হতে আগামি জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মেশকাত- ২১৭৫)
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম- ৮০৯ আবু দাউদ- ৪৩২৩)
আরেক বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে। (মুসনাদে আহমদ- ৪৪৬/৬)
২। শুক্রবার সূরা কাহাফ পাঠের ফজিলত
قَالَ النَّبِيُّ ﷺ مَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْكَهْف عُصِمَ مِنْ الدَّجَّالِ
রাসূলুল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করলো, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৩৩২
قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ
مَنْ قَرَأَ سُوْرَةَ الْكَهْفِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَضَاءَ لَهُ مِنَ النُّوْرِ مَا بَيْنَ الْجُمُعَتَيْنِ
রাসূলুল্লাহ বলেন,
যে ব্যক্তি জুমুআর দিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার জন্যে আল্লাহ এক জুমুআ থেকে অন্য জুমুআ পযর্ন্ত একটি জ্যোতি জ্বালিয়ে রাখবেন।
৩। জুমআর দিন সূরা কাহাফ তেলাওয়াতের ফজিলত বর্ণিত হাদীস
১. বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের সাথে সাথেই শুক্রবার শুরু হয়ে যায়। তাই বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের পর থেকে পরদিন শুক্রবার সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত যে কোন সময় সূরা কাহাফ তেলাওয়াতের অনেক ফজিলত রয়েছে।
২. ইবনে উমর থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি জুমআর দিন সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার পা থেকে আকাশের উচ্চতা পর্যন্ত নূর (আলো) হয়ে যাবে, যা কিয়ামতের দিন আলো দিবে এবং বিগত জুমা থেকে এ জুমা পর্যন্ত তার সব গুণাহ মাফ হয়ে যাবে।
৩. আবু সাঈদ খুদরী( রা.)বলেন, রাসূল ( সা.) বলেছেন, যে ব্যাক্তি জুমআর দিন সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার জন্য এক জুমা হতে আরেক জুমা পর্যন্ত আলোকোজ্জ্বল হবে।
৪. আবু দারদা হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যাক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দিক থেকে দশটি আয়াত মুখস্তকরবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে পরিত্রাণ পাবে।