সাফ কবলা দলিল কি? দলিলের নাম্বার দিয়ে সাফ কবলা দলিল বের করার নিয়ম।
দলিলের নাম্বার দিয়ে সাফ কবলা দলিল বের করার নিয়ম।
দলিল কি?
যেকোনো লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিষ্ট্রেশন আইন ১৯০৮ মোতাবেক জমির ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে লিখিত চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারণত ভাবে তাকে দলিল বলা হয়। দলিলের মাধ্যমেই কেবল আইনগতভাবে সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তরিত হয়।
রেজিস্ট্রশন আইন এবং সম্পত্তি হস্তান্তর আইনে সুনির্দিষ্টভাবে দলিলের প্রকারভেদ করা নাই।
সাধারণত ১৮ রকমের দলিল দেখতে পাই। যেমন
১. সাফ কবলা দলিল
২. বায়নামা দলিল
৩. হেবা দলিল
৪. হেবা বিল এওয়াজ
৫. দান দলিল
৬. বিনিময় দলিল
৭. বাটোয়ারা দলিল
৮. নাদাবি বা মুক্তিপত্র দলিল
৯. ইউল দলিল
১০. অছিয়তনামা দলিল
১১. বহালকরন দলিল
১২. ভ্রম সংশোধন দলিল
১৩. রহিতকরন দলিল
১৪. আম-মোক্তার দলিল
১৫. বন্ধকী দলিল
১৬. রিডেমশন দলিল
১৭. ওয়াকফ দলিল
১৮. ট্রাষ্ট দলিল।
সাফ কাবালা দলিল পরিচিতি সম্পর্কে ধারণা
সাফ কবলা দলিল কাকে বলে?
উত্তর – সাফকবালা দলিল হল কোন ব্যক্তি তাহার সম্পত্তি অন্যের নিকট বিক্রয় করে যে দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্টারী করে দেন তাকে সাফকবলা বা বিক্রয় কবলা বা খরিদা কবলা বলা হয়। এই কবলা নির্ধারিত দলিল ষ্ট্যাম্পে লিখার পর দলিল দাতা অর্থাৎ বিক্রেতা সাবরেজিষ্টারী অফিসে উপস্থিত হয়ে দলিল সহি সম্পাদন করে গ্রহিতা অর্থাৎ খরিদ্দারের বরাবরে রেজিষ্টারী করে দিবেন। এই দলিল রেজিষ্টারী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলিলের তফছিলে লিখিত অর্থাৎ বিক্রিত ভূমির যাবতীয় স্বত্ব দলিল দাতা হতে বিলুপ্ত হয়ে দলিল গ্রহিতাতে অর্থাৎ খরিদ্দারের উপর অর্পিত হলো। দলিলদাতাগন ওয়ারিশান ক্রমে উক্ত জমি হতে নিঃস্বত্ববান হলেন।
কবলা দলিল সম্পর্কে উচ্চদালতের কিছু সিদ্ধান্ত
১। একটি দলিলে চৌহদ্দি এবং জমির পরিমাণ দু’টি উলেখ করা হয়েছে। এ’দুইয়ের মধ্যে পরিমাণগত পার্ধক্য দেখা দিলে চৌদদ্দির উলেখিত পরিমাণ এ ক্ষেত্রে অধিকতর গ্রহলযোগ্য হবে।
২। কবলা সম্পদনের তারিখ হতে স্বত্ব হস্তান্তরিত হয় না।
৩। কবলার পনের টাকা পরিশোধ না করর পর্যন্ত কেবলমাত্র কবালা সম্পাদন ও রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে মালিকানা হস্তান্তিরিত হয় না।
৪। বিনমিয় দলিল রেজিস্ট্রিকৃত না হলে, তা দ্বারা সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তরিত হয় না।
৫। কোন দলিলে অবান্তর কোন সম্পত্তি অর্ন্তভূক্ত করলে উক্ত দলিলের রেজিস্ট্রেশন অকার্যকর হয়।
৬। বিক্রয় তখনই বৈধ ও চূড়ান্ত হয়, যখন বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রীকৃত হয়।
৭। আইনের প্রতিস্ঠিত নীতি হলো, রেজিস্ট্রীকৃত কবালা স্বত্বের দলিল, যাখতিয়ানের লিপি হতে অধিকতর গ্রহণযোগ্য।