একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ । সোনালী ব্যাংক হিসাবের সুবিধা ও অসুবিধা দেখে নিন
সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলবেন যদি আপনি সারা দেশের ১২০০টিরও বেশি ব্রাঞ্চে লেনদেন করতে চান। সোনালী ব্যাংক আপনাকে যে কোন এটিএম বুথ থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য ভিসা কার্ড দিবে। এ ভিসা কার্ডটি দিয়ে সোনালী ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ফ্রিতে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। অন্যান্য ব্যাংকে ট্রানজেকশন করতে প্রতি ট্রানজেকশনে ১০ টাকা চার্জ প্রযোজ্য হবে।
সরকারি কর্মচারিদের ট্রেজারি বিল পেতে হলে সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট প্রয়োজন পড়বে। গভ:বিল একাউন্ট ট্রান্সফার করতে সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট প্রয়োজন হয়। পেনশন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে যদি সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকে হিসাব থাকলেই চলে কিন্তু ভাল ডিপিএস রেট ও এফডিআর পেতেও সোনালী ব্যাংকের জুড়ি নেই।
সোনালী ব্যাংকে কে একাউন্ট খুলতে পারবে?
দেশে বা বিদেশে বসবাসকারী যে কোনাে বাংলাদেশি নাগরিক। সােনালী ব্যাংক লিমিটেডে সেভিংস একাউন্ট খুলতে পারেন। সেভিংস একাউন্ট একক এবং যৌথ নামে খােলা যাবে।এই একাউন্টে আপনি পরিবাবের কাউকে নমিনী দিতে পারবেন। নমিনি একাউন্ট হােল্ডারের মৃত্যুর পর টাকা তুলতে পারবে।
সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার সুবিধা
- সেভিংস একাউন্টে ৫%-৬.৫% হারে ইন্টারেস্ট পাবেন।
- ফ্রি চেক-বুক সুবিধা পাবেন।
- এই একাউন্টের সাথে আপনি চাইলে ডেবিট কার্ড নিতে পারবেন।
- দ্রুত রেমিট্যান্স ডিপােজিট।
- অনলাইন ফান্ড ট্রান্সফার।
- অ্যাপের মাধ্যমে ব্যাংকিং সুবিধা।
সোনালী ব্যাংকের ই ওয়ালেট দিয়ে কি কি সুবিধা পাবে গ্রাহক?
সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন পড়বে?
- একাউন্ট ওপেনিং ফরম। অনলাইন ডাউনলোড অথবা ব্রাঞ্চে গিয়ে সংগ্রহ করতে পারবেন।
- একাউন্টধারীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং নমিনির এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- NID কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি।
- ৫০০ টাকা ডিপোজিট করে আপনি সোনালী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলতে পারবেন।
তাছাড়া অন্যান্য ব্যাংকের মত সোনালী ব্যাংকেও ডিজিটাল সেবা চালু হচ্ছে। ব্যাংকে না গিয়েও আপনি ঘরে বসে লেনদেন করতে পারবেন সেজন্য আপনি সোনালী ই ওয়ালেট ব্যবহার করবেন। এটিএম বুথ হতে টাকা তুলতে ভিসা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ঘরে বসেই অ্যাপের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার আবেদন করা যায়।
সোনালী ব্যাংক এর অসুবিধা?
রাষ্ট্রাত্ত্ব ব্যাংক হওয়ার কারণে জনবল সংকট ও বিধি নিষেধের কারণে কাজে খুবই ধীর গতি পরিলক্ষিত হয়। গ্রাহক সংখ্যা খুব বেশি বলে ব্যাংকে ভীড় এড়ানো যায় না। তাছাড়া যে কোন ট্রানজেকশন জনিত সমস্যা সমাধানে ভোগান্তি পোহাতে হয়। লম্বা লাইন ধরে অর্থ লেনদেন করা সোনালী ব্যাংকের সবচেয়ে বড় সমস্যা। প্রতিটি ফিজিক্যাল অনলাইন ট্রানজেকশনে চার্জ গুনতে হয়। তবে ছোট লেনদেন অর্থাৎ ১০ হাজার টাকার নিচের লেনদেনের ক্ষেত্রে একটি অনলাইন ট্রানজেকশন ফ্রি।
বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংকে টাকা ঢুকিয়ে আমি ইন্ডিয়া কোন ব্যাংক থেকে টাকা বের করতে পারব
পাসপোর্ট দিয়ে যে পরিমাণ ইনডোর্স করবেন সেই পরিমাণ অর্থ কার্ড হতে খরচ করতে পারবেন। এটি একটি আন্তর্জাতিক লেনদেন।