বাংলাদেশ থেকে হংকং ভিসা ২০২৫ । হংকং যেতে কত টাকা লাগে?
হংকং যেতে বিভিন্ন খরচ থাকে। সাধারণত, বাংলাদেশ থেকে হংকং যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৮ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়, যেখানে বিমান ভাড়া ও অন্যান্য কাগজপত্র তৈরির খরচ ধরা হয়. কিছু ক্ষেত্রে, বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে হংকং যেতে খরচ আরও বেড়ে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে–বাংলাদেশ থেকে হংকং ভিসা ২০২৫
এছাড়াও, হংকংয়ে জীবনযাত্রার খরচ বেশ বেশি। হংকংয়ে খাবারের গড় খরচ প্রতিদিন প্রায় ২০৫ হংকং ডলার. সিঙ্গাপুরের পরেই হংকং প্রবাসীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরগুলোর মধ্যে একটি। হংকং বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল শহর, বিশেষ করে প্রবাসীদের জন্য। এখানে জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেশি, যা আবাসনের খরচ, খাবার, পরিবহন এবং অন্যান্য বিভিন্ন কারণে হয়। হংকং-এ আবাসনের খরচ খুবই বেশি। এক শোবার ঘরের একটি অ্যাপার্টমেন্টের মাসিক ভাড়া ১২,০০০ থেকে ২০,০০০ হংকং ডলার পর্যন্ত হতে পারে, যা প্রায় ১,৫০০ থেকে ২,৫০০ মার্কিন ডলারের সমতুল্য।
খাওয়া খরচ কি বেশি? হ্যাঁ। হংকং-এ খাবারের খরচও বেশ। রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফেতে খাবার খরচ অনেক বেশি হতে পারে। হংকং-এ পরিবহন ব্যবস্থা বেশ উন্নত, তবে খরচও তুলনামূলকভাবে বেশি। ব্যক্তিগত জিনিসপত্র, বিনোদন, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য বিভিন্ন জিনিসের জন্য খরচও বেশ। হংকং-এ বসবাস করার জন্য, একজন ব্যক্তির জন্য প্রতি বছর প্রায় ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ হংকং ডলার খরচ হতে পারে, যা প্রায় ৩,৯০০ থেকে ৬,৫০০ মার্কিন ডলারের সমতুল্য। একজন দম্পতির জন্য এই খরচ আরও বেশি হতে পারে। হংকং-এ বসবাস করার খরচ অন্যান্য অনেক শহরের তুলনায় বেশি, তাই এখানে বসবাস করার আগে জীবনযাত্রার খরচ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
হংকংয়ে যেতে কি কি শর্তপূরণ করতে হয়? প্রথমত বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা একটি স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। কাজের অভিজ্ঞতা সর্বনিম্ন ২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ভাষাগত দক্ষতা IELTS বা TOEFL-এর মতো ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ থাকতে হবে। পর্যাপ্ত আর্থিক সামর্থ্য থাকতে হবে। পয়েন্ট-ভিত্তিক পরীক্ষা সাধারণ পয়েন্ট-ভিত্তিক পরীক্ষায় ন্যূনতম স্কোর থাকতে হবে। যদি আপনি হংকং যেতে চান, তাহলে হংকং ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে ভিসা বা প্রবেশের অনুমতি নিতে হতে পারে।
সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করুন । প্রতারণা থেকে সাবধান — “ভিসা আগে, টাকা পরে” টাইপ অফার বিশ্বাস করবেন না
বিমান ভাড়া এবং আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র তৈরির সকল খরচ মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে হংকং যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৮ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। এছাড়া বেসরকারি এজেন্সির উপর ভিত্তি করে হংকং যেতে সর্বোচ্চ প্রায় ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

হংকং যাওয়ার শর্তাদি ও যোগ্যতা ২০২৫ । হংকং যাওয়ার জন্য নির্ভর করে আপনি কী উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন — কাজ, পড়াশোনা, ব্যবসা বা ভ্রমণ। এখানে আমি কাজের উদ্দেশ্যে (Employment Visa) হংকং যাওয়ার শর্তাদি ও যোগ্যতা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করছি:
- ✅ হংকং Employment Visa – শর্ত ও যোগ্যতা: 🔹 চাকরির অফার থাকতে হবে। আপনার হংকংয়ের কোনও কোম্পানি থেকে চাকরির অফার লেটার থাকতে হবে। কাজটি এমন হতে হবে যা সাধারণভাবে হংকংয়ের স্থানীয়দের দ্বারা পূরণ করা সম্ভব নয়।
- 🔹প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা/ডিগ্রি থাকা জরুরি (বিশেষ করে পেশাদার ও দক্ষ পদের জন্য)। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা প্রমাণ করতে পারলে কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষাগত শর্ত শিথিল হতে পারে।
- 🔹 সঠিক বেতন ও সুবিধা: চাকরির বেতন হংকংয়ের বাজার অনুযায়ী ন্যূনতম বেতন কাঠামো অনুযায়ী হতে হবে। কোম্পানিটি প্রমাণ করতে হবে যে তারা আপনাকে বৈধভাবে নিয়োগ দিচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় সুবিধা দিচ্ছে (যেমন: বাসস্থান, মেডিকেল ইত্যাদি)।
- 🔹 স্পনসর কোম্পানি: হংকং কোম্পানিটি আপনার স্পনসর হিসেবে কাজ করবে। তারা Immigration Department-এ আবেদন করবে আপনার পক্ষে।✈️ ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে), নিয়োগকৃত কোম্পানির অফার লেটার/চুক্তিপত্র, আবেদন ফর্ম (ID 990A & ID 990B), শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতার সনদপত্র, অভিজ্ঞতার সনদ (যদি থাকে), কোম্পানির ব্যবসা লাইসেন্স ও ডকুমেন্টেশন
- বেতন কাঠামো ও কাজের বিবরণ ❌ যাদের সাধারণত ভিসা দেয়া হয় না: যদি আপনার পর্যাপ্ত যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা না থাকে, ভুয়া বা সন্দেহজনক কোম্পানি অফার করে, যদি অতীতে কোন দেশের অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করে থাকেন।
বাংলাদেশ থেকে কি বৈধভাবে হংকং লোক নেয়?
হংকং কাজের ভিসা পেতে প্রথমে আবেদন করতে হয়। অনলাইনের মাধ্যমে হংকং কাজের ভিসা আবেদন করা যায়। হংকং কাজের ভিসা আবেদনের জন্য প্রাথমিক ভাবে ২৩০ হংকং ডলার থেকে ২৫০ হংকং ডলার আবেদন ফি প্রদান করতে হয়। যা বাংলা টাকায় প্রায় ৩৫০০ টাকা থেকে ৩৭০০ টাকা। হ্যাঁ, হংকং মাঝে মাঝে বৈধভাবে বিভিন্ন দেশের শ্রমিক ও পেশাজীবীদের নিয়োগ করে, যার মধ্যে বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত। তবে এই নিয়োগ সাধারণত নির্দিষ্ট ভিসা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয় এবং কিছু নির্দিষ্ট খাতে সীমাবদ্ধ থাকে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো:
১. Employment Visa (কর্মসংস্থান ভিসা): হংকংয়ে বৈধভাবে কাজ করতে হলে Employment Visa প্রয়োজন হয়। এটি সাধারণত তখনই দেওয়া হয় যখন: কোনো হংকং ভিত্তিক কোম্পানি আপনাকে চাকরি দিয়েছে। আপনার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সংশ্লিষ্ট পদের জন্য যথাযথ। প্রমাণ হয় যে, স্থানীয় বা চীনা কর্মী দিয়ে এই কাজটি পূরণ সম্ভব নয়।
২. Domestic Helper Visa: হংকংয়ে অনেক গৃহকর্মী ফিলিপাইন বা ইন্দোনেশিয়া থেকে নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশ এখনো সরকারিভাবে এই খাতে হংকংয়ে কর্মী প্রেরণ করে না, তবে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
৩. Skill-based Jobs: কিছু সময় দক্ষ পেশাজীবীদের (যেমন: IT, ইঞ্জিনিয়ারিং, হসপিটালিটি) নিয়োগ দেওয়া হয় General Employment Policy (GEP) বা Technology Talent Admission Scheme (TechTAS)-এর আওতায়।
৪. চাকরির প্রস্তাব থাকা আবশ্যক: হংকংয়ে কাজ করার জন্য আগে থেকেই চাকরির অফার থাকা আবশ্যক, তারপর সেই প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ভিসার জন্য আবেদন করা হয়।
৫. এজেন্সি ও দালাল থেকে সাবধান: অনেক সময় ভুয়া এজেন্সি বা দালাল প্রতারণা করে থাকে — তারা ভিসা বা চাকরির মিথ্যা প্রলোভন দেখায়। তাই বিশ্বস্ত ও সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সি ছাড়া কারো মাধ্যমে আবেদন না করাই ভালো।

