সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ । ঢাকা ও পাশ্ববর্তী এলাকার টাইম টেবিল দেখে নিন
রোজার মাসে ইফতার ও সেহেরির চার্ট বা তালিকা থাকা জরুরি-আপনার মোবাইলে অথবা হাতের কাছে প্রিন্ট কপি দেখে দিন – সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩
রোজা কি? –রোজা হলো মুসলিম ধর্মের একটি প্রধান আমল। এর মানে হল মুসলিম ধর্মীয় ব্যক্তি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খাদ্য, পানীয় এবং যেকোনো ধরনের জনসম্পদ বা খাবার গ্রহণ করা না এবং সামাজিক অপব্যবহার বা দুর্ব্যবহার বা খারাপ ব্যবহার থেকে দূরে থাকা। এর মাধ্যমে মুসলিম ব্যক্তি আল্লাহর দিকে নির্দেশিত হয় এবং অধিক তাকওয়া ও শান্তির মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি করে। সহিহ ইসলামিক প্রথা অনুযায়ী, রোজা বস্তুসমূহের বাদে মানব শরীরের অংশগুলি একটি সম্পূর্ণ রক্ষা করে যাওয়ার জন্য একটি উপকরণ হিসাবে কাজ করে। তবে রোজার মাধ্যমে ত্যাগ ও সহিষ্ণুতার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলা হয় এবং মানবিক সম্পর্ক ও আনন্দ বাড়ানো হয়।
রোজার নিয়ত জানেন তো? – نَوَيْتُ أَنْ أُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرٍ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللَّهُ فَتَقَبَّلُ مِنِّي إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمِ । আরবি উচ্চারণ দেখে নিন- ‘নাওয়াতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রামজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আংতাস সামিউল আলিম ৷ অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র রমজানের নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম । অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী ।
ইফতারের দোয়া জানা না থাকলে দেখে নিন- بِسْمِ اللَّهِ – اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ আরবি উচ্চারণ দেখে নিন-বিসমিল্লাহি- আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আলা রিযক্কিকা আফত্বারতু।’ অর্থ : আল্লাহর নামে (শুরু করছি), হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক দ্বারা ইফতার করছি ।
প্রথম রোজা শুরু হবে আগামী ২৪ মার্চ ২০২৩ / রোজা শেষ হবে ২২ এপ্রিল ২০২৩
শুধু ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য প্রযোজ্য * সূত্র: ইসলামিক ফাউন্ডেশন
ক্যাপশন: ১ রমজান চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল
রোজা রাখার উপকারিতা । রোজা রাখলে শরিরের যে উপকারগুলো হয়
- মানসিক শান্তি: রোজা থাকার মাধ্যমে মানসিক শান্তি ও তাকওয়া পাওয়া যায়। একজন রোজাদার মানুষ তার ইচ্ছা ও আত্মসমর্পণ দ্বারা অধিক তাকওয়া ও শান্তি অর্জন করতে পারে।
- স্বাস্থ্যকর পরিণতি: রোজা থাকার মাধ্যমে শরীরের পরিষ্কারতা বাড়তে পারে এবং এটি কয়েকটি রোগের জন্য উপকারী হতে পারে, যেমন ডায়াবেটিস, চর্বি, জ্বর, ও পেটের ব্যাথা।
- আনন্দ এবং সামাজিক ব্যবহার: রোজা থাকার সময় মুসলিম সামাজিক ব্যবহার ও পরস্পরের সম্পর্ক বাড়তে পারে। আইফতার সময় পরিবার, বন্ধু এবং সামাজিক কর্মকর্তারা সম্পর্ক এবং মিলনে একতা ও আনন্দ বৃদ্ধি করে তুলতে পারে।
- পরম শক্তির প্রাপ্তি: রোজা থাকার মাধ্যমে মুসলিম ব্যক্তি আল্লাহর দিকে নির্দেশিত হয়।
রোজা রাখলে তারাবির নামাজ পড়া কি বাধ্যতামূলক?
তারাবিহ নামাজ কোনো কারণে কেউ পড়তে না পারলে অনেকে মনে করেন তারাবিহ যেহেতু পড়তে পারলাম না, তাহলে রোজা রেখে লাভ নেই। বিষয়টি একদমই ঠিক নয়। কেননা, তারাবিহ নামাজ হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা পালনে বাধ্যবাধকতা নেই। তারাবি না পড়লে রোজা হবে না এমন কোন হাদিস নেই। মসজিদের ইমাম এক বুজুর্গ বলেন, তারাবির ইতিহাস মূলত পাওয়া যায় হযরত উমর (রা.) সময় থেকে। এর আগে রসূল করীম (সা.) মাত্র একবার তারাবির নামাজ পড়িয়েছিলেন। হাদিসে আছে প্রথম দিন তারাবির নামাজ পড়ার পর দ্বিতীয় দিন সকলে নামাজের জন্য সমবেত হলেও তিনি রসূল করিম (সা.) মসজিদে আসেননি। কিন্তু হযরত উমর (রা.)-এর সময় নিয়ম করে সমবেতভাবে তারাবির নামাজ শুরু হয়। মূলত যারা দুর্বল ইমানের অধিকারী, তারা যেন রমজান মাসে তারাবির নেকি থেকে বঞ্চিত না হন সে কারণে এই ব্যবস্থা।