তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে অবসর ২০২৩ । তামিম ইকবাল ২০২৩ ওডিয়ায় বিশ্বকাপ আগে অবসর যাওয়ার কারণ কি?
তামিম ইকবাল ২০২৩ ওডিয়ায় বিশ্বকাপ আগে অবসর যাওয়ার কারণ গুলো
তামিম ইকবাল ১৬ বছরের ক্রিকেট বাংলাদেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন আমার দেশ অনেক উপরে নিয়ে গেছে বাংলাদেশর পতাকাকে পৃথিবীর বুকে দাড় করিয়েছে
তামিম ইকবালের ক্রিকেট ক্যারিয়ার ২০০৭-২০২৩ সাল পর্যন্ত সমাপ্ত
তামিম ইকবাল কমপক্ষে ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলে অবসরে যাওয়া উচিত ছিল। এশিয়া কাপ ২০২৩ শুরু হতে আরো ৪৫+ দিন বাকি ছিল ।
ফিটনেস নিয়ে এই ৪০ দিন কাজ করা যেত , ব্যাটিং নিয়েও । অভিমান থেকেই অবসর নিয়ে নিলেন এই কথা বলা ই যায় । বাংলাদেশ বিশ্বকাপে অনেক ভাল করবে এই আশা রাখিনা , আমরা অনেকেই সমালোচনা করি কারণ আমরা চাই আমাদের Childhood hero গুলো তাদের সেরা টা দিয়ে ফিরে আসুক । সাকিব ,মুশফিক রা কামব্যাক করতে পারলে তামিম কি পারতোনা ?
১. তামিম ইকবাল ২০২৩ ওডিয়ায় বিশ্বকাপ আগে অবসর যাওয়ার কারণ কি?
বাংলাদেশ এর সাংবাদিকরা আমি মনে মনে ভাবছিলাম তামিম এরকম কিছু একটা করবে,আর এর পিছনে একমাত্র সাংবাদিকরাই দায়ী একটা জিনিস মাথায় আসেনা তামিম যাস্ট বলেছিল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করবে আরে এরইপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের হেডলাইন এরকম ছিল অবসর নাকি ক্যাপ্টেন্সি অথচ আমার মনে হয় এ ব্যাপারে তামিম এবং তার ফ্যামিলি ছাড়া অন্য কেউ জানার কথা নয়, অথচ সাংবাদিকরা অনুমান করে সবকিছু বলে দিয়েছে, কারণ সাংবাদিক সাব জানতা হে, সবশেষ একটা কথা বলি অনেক সময় অনুমান করে অনেক কিছু ভাবা যায় তবে তা প্রকাশ করতে হয় না, প্রত্যেকটা মানুষ তার নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সে স্বাধীন,
আমার মনে হয় তামিম হয়তো ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দিতো কিন্তু ক্রিকেট থেকে অবসর নিত না শুধুমাত্র সাংবাদিকদের জন্য অবসরের সিদ্ধান্ত নিতে হল,
ভাল থেকো তামিম তোমার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই তবে একটাই আফসোস তোমাকে সহ তোমাদের নিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপ বাংলাদেশের মানুষ এর সেলিব্রেট করার ইচ্ছে ছিল
ডুবাই এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে Tamim Iqbal সেই ভাঙ্গা হাতে ব্যাট করাই সবাই বাহবা দিয়েছিল। কাল ম্যাচ হেরে সব দায় তাঁহার উপর ছুড়ে মারল এটায় বাঙালির স্বভাব।
তামিম ইকবাল দেশ সেরা ওপেনার মানেন আর না মানেন।তামিম অবসর নেওয়ার পর তরুণ রা কি করবে দেখা যাবে।মাশরাফি,মুশফিক মাহমুদ উল্লাহ,তামিম রা দেশের জন্য যা দিয়েছে তা অবিস্মরণীয়।এরাই নিরবে বিদায় নিচ্ছে এক এক করে।আজ থেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে অবসর নিয়েছে তামিম ইকবাল।অন্তত বিশ্বাকাপ আর এশিয়া কাপ খেলা উচিৎ ছিল।ভাল কাটুক পরবর্তী জিবন ধাপে
২. হাতুরু আসলে তামিমের সাথে যত্তসব ঝামেলা কারণ কি
তামিম যদি অবসর না নিয়ে কিছু টা সময় ব্রেক নিয়ে নিজের ফিটনেস+ব্যাটিং নিয়ে আরেকটু কাজ করে ওয়ার্ল্ড কাপে দারুন একটা পারফরমেন্স দিয়ে বিদায় নিতো, তাহলে সেইটা হতো একজন বাঘের মত বিদায় । আমরা তামিম , রিয়াদ , সাকিব , মুশফিকের বাঘের মত বিদায় দেখতে চেয়েছিলাম । বিশ্বকাপ ট্রফি না জিতলেও অন্তত সেমিফাইনাল পর্যন্ত দলে কে নিয়ে যাওয়ার সপ্ন নিশ্চয় তামিম নিজেও দেখেছিলেন ।
কারণ আমরা অকৃতজ্ঞ বাঙালি ঠিক যেমন রিয়াদকে বাদ দিয়ে তার জায়গায় আমরা ব্যাপক ব্যাপক ফিনিশার পেয়েছি
ভালো খেললে প্রশংসা আর খারাপ খেললে সমালোচনা। দেশের ক্রিকেট এই পর্যন্ত আনতে তার অবদান কেউ মনেই রাখছে না হুজুগে মাতাল বাঙালি কত ওপেনার এলো-গেলো। দেখলাম তো তাদের অবস্থা।
৩. যারা তামিম ইকবালকে অবসরে পাঠানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে এই পাবলিক গুলাই
একসময় শান্ত খারাপ খেললে শান্তর বাপ মা তুলে গালি দিতো।
তামিম ইকবাল বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান। ২০২৩ বিশ্বকাপ সুপার লিগের বাংলাদেশী ব্যাটারদের ভিতর সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। এতদিন তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাই করেছে। এসব আপনারা দুচার ম্যাচের পারফরম্যান্স বিবেচনা করে ভুলে গেলেন? ভুলে গেলেন এশিয়া কাপে দেশের জন্য তার ক্যারিয়ার বাজি রেখে এক হাতে ব্যাটিং করা? এতটা নিকৃষ্ট সাপোর্টার হয় ক্যামনে মানুষ!
যারা তামিমের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার ফিটনেস এবং বর্তমান পারফরম্যান্স দেখেছেন? ইন্ডিয়ার তো অনেক ভাল ব্যাটসম্যান আছে রোহিত শর্মার পজিশনে আর আমাদের তামিমের পজিশনে নাইম অথবা আনামুল। তামিম অবসর নেওয়ার পর আপনাদের এই সিক্স প্যাক নাইম অথবা আনামুলের গোষ্ঠীও উদ্ধার করতে সময় নেবেন না আপনারা।
তামিম হয়তো বিশ্বকাপটা খেলেই অবসর নিবে। ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া একজন লেজেন্ডকে আর ৪ টা মাস আমরা সহ্য করতে পারছি না। যারা আমার আবেগের ব্যাখ্যা চাইতে আসবেন তাদের কাছে প্রশ্ন আমরা কি বিরাট কোহলির মতো প্লেয়ারকে বাদ দিয়ে তামিমকে সহ্য করছি?
আমি কোন ক্রিকেটারের ডাইহার্ট ফ্যান না এমনকি আমি নিজেও তামিম ইকবালের খেলা নিয়ে অনেক সমালোচনা করেছি। কিন্তু বর্তমানে তামিম ইকবালকে যেভাবে অপমান করা হচ্ছে সেটা একদম নিকৃষ্ট পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
তামিম ইকবাল বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিবে এবং রাজার মতোই অবসরে যাবে এটাই আমার চাওয়া।