ইসলামিক কথা

আয়াতুল কুরসী কখন পড়তে হয় এবং আয়াতুল কুরসী পাঠের ফযিলত

আয়াতুল কুরসী পাঠের ফযিলত

 

 

সুরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত

১। আয়াতুল কুরসী পাঠের ফযিলত রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্তি 

রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

যে ব্যক্তি সকালে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে তাকে সন্ধ্যা পর্যন্তজিনদের থেকে রক্ষা করা হবে আর, যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে তাকে সকাল পর্যন্ত রক্ষা করা হবে।

২। রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন আয়াতুল কুরসী পাঠের ফযিলত সম্পর্কে আরও বলেছেন

রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, প্রত্যেক ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পাঠকারীর জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য আর কোন বাধা থাকে না, মৃত্যু ব্যতীত।

[নাসাঈ শরীফ] ( সহীহতারগীব ওয়াত-তারতীব হা/৬৬২।)

রাতে আয়াতুল কুরসি সূরাহ পড়ে ঘুমালে সারারাত একজন ফেরেশতা তোমাকে পাহারা দিবে।

 

৩। আয়াতুল কুরসির ৭টি আশ্চর্য্যজনক ফযিলত ও উপকারিতা

১) আয়াতুল কুরসি হল পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদাপুর্ন আয়াত

২) আয়াতুল কুরসী পাঠ কারী শয়তান ও জ্বিন এর অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে

৩) আয়াতুল কুরসি কুরআনের এক চতুর্থাংশ, এ আয়াতটি ৪ বার পাঠ করলে এক খতর কোরআন পাঠের সাওয়াব পাওয়া যায়।

৪) আয়াতুল কুরসি পাঠ করে ঘুমালে শয়তান জ্বিন চোর কেহ কাছে আসতে পারে না

৫) আয়াতুল কুরসি পাঠ করে ঘুমালে তাকে আল্লাহ হেফাজত করেন।

৬) আয়াতুল কুরসি কোরআনের অন্যসব আয়াতের সরদার

৭) আয়াতুল কুরসি পাঠ দ্বারা সোজা জান্নাতে যাওয়া যায়।

 

৪। আয়াতুল কুরছি পাঠের কি কি উপকার ও ফজিলত পাওয়া যায়?

১. ঘর হতে বের হবার সময়পড়লে, সত্তর হাজার

ফেরেশতা তোমার হেফাযতে নিয়োজিত থাকবে।

২. ঘরে প্রবেশের সময় পড়লে, তোমার ঘর হতে প্রয়োজন মিটে যাবে।

৩. অযুর পরে পড়লে, সত্তর দরজা মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।

৪. রাতে ঘুমানোর পূর্বে পড়লে, একজন ফেরেশতা সারারাত তোমার পাহারাদারি করবে।

৫. ফরয নামাযের পরে পড়লে, তোমার এক পা যমিনে আরেক পা জান্নাতে হবে, এবং মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ

আরো কিছু আয়াতুল কুরসি পাঠের ফযিলত ফজিলত

১. রাতে শোবার পূর্বে আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষক নিযুক্ত হয়, শয়তান ভোর অবধি আসতে পারে না।(সহীহ বুখারী-২৩১১,৩২৭৫, ৫০১০)

২. কুরআনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ আয়াত হল- আয়াতুল কুরসি।(সহীহ মুসলিম-১৭৭০ আবুদাউদ-১৪৬০,৪০০৩, সহীহ)

৩.ঘরে আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে জিন-শয়তান প্রবেশ করতে পারবে না।(তিরমিজি-২৮৮০, সহীহ)

৪. যে কেউ আয়াতুল কুরসি প্রত্যেক ফরয সলাতের (নামাজের) পরে পাঠ করলে তার মৃত্যুই তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য বাধা হয়ে আছে। (অর্থাৎ মৃত্যু হলেই জান্নাতে প্রবেশ করবে) (বুলুগুল মারাম-৩২৬,সহীহ সিলসিলা সহীহাহ-৯৭২)

৫. কোনো ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে সারাদিন ও সারারাত জিনের আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকবে।(হাকিম,অধ্যায়-ফাযায়েলুল কুরআন,হা-২০৬৪)

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *