ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং করে কি ঘরে বসে ইনকাম করা যায়?

কি ভাবে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ইনকাম করা যায় তা নিচে আলোচনা করা হলো

 

 

সূচীপত্র

 

কি ভাবে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং ইনকাম করা যায় তা নিচে আলোচনা করা হলো

১. ফ্রিল্যান্সিং ও অনলাইন ইনকাম কি?

২. সত্যি কি ঘরে বসে অনলাইনে আয় করা?

৩. কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়

ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার আরো কয়টি সহজ উপায় হল

১. অনলাইনে মার্কেটিং করে

২.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

৩.রেফার করে ইনকাম

৪.ছবি তুলে ইনকাম

৫. মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম

৬. ব্লগিং করে ইনকাম

৭. ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম

৮. ভিডিও দেখে অনলাইনে আয়

৯. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আয়

১০. ইউটিউব থেকে আয়

 

১. ফ্রিল্যান্সিং ও অনলাইন ইনকাম কি?

অনলাইন ইনকাম হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করা। আপনি যেকোনো ধরনের আয় বা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারেন যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। অনলাইন ইনকামের একটি উদাহরণ হলো ই কমার্স ওয়েবসাইট পরিচালনা করে পন্য বিক্রয় করা। আরও আছে এফিলিয়েট মার্কেটিং, ইনফরমেশন প্রদান, অনলাইন শিক্ষা, মাইক্রোজব বা ফ্রিল্যান্সিং, স্বেল প্রদান সম্পর্কিত ওয়েবসাইট পরিচালনা ইত্যাদি থাকতে পারে। সংক্ষেপে বললে, ইন্টারনেটে যেকোনো পদ্ধতিতে আয় উপার্জন করা যায় তা অনলাইন ইনকাম বলা যায়।

২. ফ্রিল্যান্সিং এ সত্যি কি ঘরে বসে অনলাইনে আয় করা?

হ্যা সত্যি ঘরে বসে অনলাইনে আয় করা বাংলাদেশে অনলাইন এই শব্দটির সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। আর এই অনলাইনের সাথে যুক্ত হয়ে ইনকাম করাই হলো অনলাইন ইনকাম। অনলাইন ইনকাম হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করা

অনলাইন ইনকাম এই শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। কিন্তু এ সম্পর্কে সবার ধারণার মাঝে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। অনেকে মনে করি অনলাইনে ইনকাম বলতে আসলে কিছুই নেই। আবার অনেকেই ভাবেন অনলাইনে ইনকাম করা কস্টকর কিন্তু পারিশ্রমিক কম। অনেকে তো বলেই ফেলে অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে সম্ভব না। আবার অনেকে হয়তো টাকা ইনভেস্ট করেও কিছুই শিখতে পারেন না। আপনাদের এ রকম সকল ধারণাই ভুল।

৩. কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়

আসলেই অনলাইন থেকে ইনকাম সম্ভব। তবে এ জন্য থাকতে হবে মনোবল,সততা,শ্রম। আর থাকতে হবে নেট কানেকশন,মোবাইল বা ডেস্কটপ। তবে এটাও সত্যি যে সব কাজই মোবাইল দিয়ে সম্ভব না কিছু কাজে ডেস্কটপ ব্যাবহার করতে হয়। তবে মোবাইল দিয়েও অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব। অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে ধারণা নেয়ার আগে আমাদের জানা উচিৎ আমরা কেন অনলাইনে ইনকাম করবো।এরকম যে আমরা যারা স্টুডেন্ট বা গৃহীণি তারা চাই সবসময় অন্যের কাছ থেকে হাত পেতে টাকা না নিয়ে স্বাবলম্বী হতে আর সেটা নিজের ইচ্ছেমত সময়ে হলেই ভালো হয়। আবার যারা চাকুরীজীবি তারাও চাই যে ফিক্সড ইনকাম এর বাইরেও একটা এক্সট্রা ইনকাম করতে। আর এসব চাওয়া পুরন করতে অনলাইন ইনকাম সবচাইতে বেস্ট অপশন। কারণ এতে ফিক্সড কোনো সময় নেই বসের ঝাড়ি নেই। এটি একটি মুক্ত পেশা।

আর শুধু হাতখরচই নয় অনেকে সংসার খরচও চালাচ্ছে এই অনলাইনে ইনকাম করেই। দেশি বিদেশি বিভিন্ন সাইট আছে ইনকাম করার জন্য। দেশি কিছু সাইট অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট করে। তবে বিদেশি সাইট গুলো শুধুমাত্র ব্যাংকে পেমেন্ট করে। তবে আমাদের ইনকাম করার জন্য অবশ্যই বুঝতে হবে কোনটা রিয়েল সাইট আর কোনটা ফেক সাইট।

ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার আরো কয়টি সহজ উপায় হল

১. অনলাইনে মার্কেটিং করে

বর্তমান এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমরা অনেকটাই প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। তাই নিজেদের কেনা কাটাও অনলাইন থেকে করছি। সেক্ষেত্রে আপনি যদি হন সেলার তাহলে তো ইনকাম হবেই। অনেকেই শুধুমাত্র পেজ খুলে পন্য বিক্রি করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করে। বর্তমানে তো ইনভেস্ট না করে রিসেলিং করেও ভালো এমাউন্ট পাওয়া যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ধ্যর্য থাকতে হবে এবং মার্কেটিং পলিসি বুঝতে হবে।

২.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এই শব্দটা আমাদের কাছে ততটা পরিচিত নয়। তবে পরিচিত না হলেও এই মার্কেটিং এর মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমান অর্থ উপার্জন সম্ভব। এবার আসুন আমরা সংক্ষেপ এ এর সম্পর্কে জানি।

বর্তমানে হাজার হাজার মার্কেট প্লেস এ পন্য বিক্রি হয়। এদের ই-কমার্স বলা হয়। আবার এসব ই কমার্স সাইট এর প্রত্যেকটি সাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নামে একটি অপশন রয়েছে। সেখানে আপনার একটি একাউন্ট করতে হবে। এবং তাদের পন্যের লিংক কপি করে শেয়ার করতে হবে।

আপনার শেয়ার করা লিংক থেকে কেও যদি পন্যটি ক্রয় করে আপনি তাহলে আপনার কমিশনটি পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে পন্যটির দাম বাড়বে না। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য অবশ্যই ভালো মার্কেটিং জানতে হবে। এ ছাড়া সম্ভব নয়। বর্তমানে অনলাইন বা অফলাইনে বিভিন্ন ইন্সটিটিউট এ ধরনের কোর্স করিয়ে থাকেন। সেখান থেকে শিখে নিয়েও আপনি কাজ শুরু করতে পারেন।

৩.রেফার করে ইনকাম

অনেক সহজ ভাবে ইনকাম এর একটি মাধ্যম হচ্ছে অ্যাপ রেফার করে ইনকাম।

এই যে বিকাশ এর অফার চালু আছে আপনি রেফার করলে আপনার রেফারে কেও app ইন্সটল করলে ও লগ ইন করলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আপনার একাউন্টে এসে জমা হয় এবং সেটা আপনি চাইলে উইথড্র দিতে পারেন। এই বিকাশ এর মত অনেক app আছে। বাংলাদেশি হলে আপনি টাকা বিকাশেই নিতে পারবেন তবে বিদেশি হলে বিকাশে নেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে অবশ্যই অতিরিক্ত কিছু আশা করা যাবে না। যেসব সাইট অনেক বেশি টাকার অফার করে রেফার কমিশন হিসেবে,সেসব সাইট বেশির ভাগ সময় ভুয়া হয়। এটি অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়।

৪.ছবি তুলে ইনকাম

বর্তমান যুগে স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করে না এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। আপনার হাতেই রয়েছে একটি স্মার্টফোন,আর স্মার্টফোনে অবশ্যই রয়েছে ক্যামেরা। কোনো কোনো মোবাইলে তো একাধিক ক্যামেরাও দেখা যায়।আপনার হাতে থাকা সেই ফোনটি ব্যাবহার করেই আপনি মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারেন। অবিশ্বাস্য হলেও এটা সত্যি আপনি আপনার হাতের মোবাইলটি দিয়ে আপনার আশে পাশের কোনো সুন্দর জিনিস এর ছবি তুলতে পারেন।

৫. মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম

মোবাইল এর ক্যামেরা বা যে কোনো ক্যামেরা দিয়েই সম্ভব তারপর সেই ছবিটাকে সুন্দর করে এডিট করে অথবা এডিট ছাড়াই ওয়েবসাইটে র raw ফাইলসহ আপলোড করে আপনি ৫০-৫০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি অল্প স্বল্প এডিটিং জানেন তাহলে তো আরও সহজ হয়ে যাবে কাজটি আপনার জন্য।অনলাইনে ছবি বিক্রির জন্য বিভিন্ন ওয়েব সাইট রয়েছে । তার মধ্যে জনপ্রিয় হলো Shutterstock, 500px, Envato ইত্যাদি এবং এরাই ফটোগ্রাফার দের সব থেকে বেশি পে করে থাকে।

৬. ব্লগিং করে ইনকাম

ব্লগিং অনলাইন আয়ের বেশ পুরাতন হলেও অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বেশ ভালো অঙ্কের একটা টাকা প্রতি মাসেই পেতে পারেন। এজন্য প্রথমত দরকার মেধা শ্রম ও ধ্যর্য। ব্লগ একটি নিউজপেপার এর মত। আপনার জানা বিষয়টি আপনি লিখবেন। সেই বিষয়টি যার জানা দরকার সে পড়বে। এই যে আপনি এখন অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ। প্রতিটা মানুষই কোনো না কোনো বিষয় এ জানাশোনা হয়।আপনিও যে বিষয় এ জানেন সেই বিষয় এর উপর লিখেই শুরু করতে পারেন আপনার ইনকাম।

৯. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আয়

বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট প্রচুর ব্যাবহার হচ্ছে। তবে এ গুলো শুধু চ্যাটিং এর জন্য নয় বা সময় অপচয় এর জন্য নয়। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনার ফেসবুক পেজে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার থাকতে হবে। এতে আপনি ঘরে বসে খুব সহজে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানির কাছ থেকে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ যেকোন কোম্পানির পন্যের প্রচারের জন্য স্যোশাল প্লাটফর্ম খুবই জনপ্রিয়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য থাকাটা জরুরি।

১০. ইউটিউব থেকে আয়

আপনার মাঝে যদি কোন সুপ্ত প্রতিভা থাকে, এবং আপনি যদি ভিডিওর মাধ্যমে আপনার প্রতিভা ভিডিও এর মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন। তাহলে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করাটা হবে আপনার জন্য সহজ একটি মাধ্যম। তবে ইদানিং ইউটিউবের কিছু নিয়ম কানুন পরিবর্তন করেছে। আর সেগুলি হচ্ছে, আপনার সর্বনিম্ন এক হাজার সাবস্ক্রাইব হতে হবে এবং প্রায় চার হাজার ভিউ হতে হবে আরও অনেক কিছু। তবে এটি পূরণ করা খুব বেশি কঠিন, যদি আপনার ভিডিও গুলোতে দর্শকদের কাছে ভালো মনে হয় প্রয়োজনীয় কোন বিষয় থাকে তাহলে সাবস্ক্রাইব এবং ভিউ পেতে আপনাকে খুব বেশি সময় লাগবে না।

কেউ কেউ এটা মনে করেন যে, শুধু মাত্র ফালতু,ফানি ভিডিও গুলোতে দর্শকদের ভিউ বেশি হয়। এই কথাটি কিছু সময়ের জন্য সত্য কিন্তু এসব ভিডিও নিয়ে একজন ইউটিউবার খুব বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। তাই আমার অনুরোধে থাকবে ভিউ অথবা সাবস্ক্রাইব পেতে একটু সময় লাগলেও আপনি ভাল এবং শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরী করুন। আর ভুলেও কারও ভিডিও নিজের বলে চালিয়ে দিবেন না এতে চ্যানেল বাতিল হয়ে যাবে।

১১. অনলাইনে পাঠদানের মাধ্যমে ইনকাম

আমাদের মাঝে অনেকেই আছি যারা পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষকতার সাথে জরিত। এতে করে মাসে একটা ইনকাম আমাদের হাতে আসে। কিন্তু যুগের বিকাশে এই পড়াশুনা শুধুমাত্র অফলাইনে সিমাবদ্ধ নয় এই বিস্তার দুনিয়া জুরে।অনলাইনে ছাত্র বা ছাত্রি পড়িয়ে মাসে ৩০-৫০হাজার টাকাও আয় করতে পারেন। আমাদের দেশে অনেক অনলাইন স্কুল রয়েছে আপনি তাদের সাইট ভিজিট করে ধারণা নিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার পাঠদান।

আরও কিছু অনলাইনে ইনকাম হল এফিলিয়েট মার্কেটিং, ইনফরমেশন প্রদান, অনলাইন শিক্ষা, মাইক্রোজব বা ফ্রিল্যান্সিং, স্বেল প্রদান সম্পর্কিত ওয়েবসাই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *