বাটোয়ারা আইন ১৮৯৩ pdf । জমি বন্টন মামলা করার নিয়ম
নানা-নানীর মৃত্যুর পর মামা সাধারণত বোন বা ভাগ্না ভাগ্নেদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে চায় না- ইসলাম ধর্মবাল্বী হয়েও তারা ইসলাম বিরোধে এ কাজকে রীতি হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি দিয়েছে–দেওয়ানী আদালতে বাটোয়ারা মামলা করার নিয়ম ২০২৪
বন্টন বা বাটোয়ারি মামলা কি? ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির সীমানা চিহ্নিত করে যার যার প্রাপ্ত স্বত্ব বুঝে নেবার পক্রিয়াটি হচ্ছে “বন্টন”। সম্পত্তি বন্টন করার জন্য শরিকদেরকে এখাতিয়ার সম্পন্ন দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা করতে হয় যা বন্টন মোকাদ্দমা বা বাটোয়ারা মামলা বা পার্টিশন স্যুট নামে পরিচিত। বন্টনের মামলা করার সময় সকল শরিকগণ মামলায় পক্ষভুক্ত হতে হবে। কোন একজন শরিক বাদ থাকলে বন্টননামা শুদ্ধ হবেনা। যদি শরিকগণ আপোষ মতে বন্টন করতে রাজী না হন তাহলে যে কোন শরিক বন্টনের জন্য আদালতে উক্ত সম্পত্তির বন্টন চেয়ে মামলা করতে পারেন। বন্টন মামলা করার জন্য কি কি লাগে? সম্পত্তির মালিকানা সংশ্লিষ্ট সকল কাগজ পত্র যেমন ভূমি জরিপ খতিয়ান, নামজারি খতিয়ান, মালিকানা দলিল, উত্তরাধিকার সনদ ইত্যাদি সংগ্রহে রাখতে হবে। মামলা করার জন্য কোর্ট ফি দিতে হয় ১০০ টাকা কিন্তু ছাহাম চাইলে প্রতি ছাহামের জন্য অতিরিক্ত ১০০ ফি জমা দিতে হয়।জমি বন্টনের ক্ষেত্রে কি কি বিষয় জড়িত? পরিমাপ করে শরীকদের ভূমির বা জমির সীমানা চিহ্নিতকরণ করতে হবে। বন্টন তালিকায় প্রত্যেক সহ-মালিকের বরাদ্দকৃত সম্পত্তির উল্লেখ থাকতে হবে;। তালিকায় মালিকানার বিভাজন সকল সহ-মালিক কর্তৃক স্বীকৃত হতে হবে। বন্টনের বিবরণ সুস্পষ্ট হতে হবে। প্রত্যেকটি তালিকা সহ-মালিকবৃন্দ কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে। যথাযথভাবে স্ট্যাম্প শুল্ক দিয়ে দলিলটি রেজিস্ট্রি করতে হবে। সহ-শরীকগণ আপোষ বন্টন করে পরবর্তীতে তাদের কেউ তা না মানলে দেওয়ানী আদালতের মাধ্যমে তা কার্যকর করা যায় ৷
নানা বাড়ির সম্পত্তি বুঝে পাচ্ছেন না / বাটোয়ারা মামলা করে দিন
অনেকেই হয়তো পরামর্শ দিবে ঐ এলাকার শক্তিশালী কোন পক্ষের নিকট সম্পত্তি বিক্রি করে দিন। ঝামেলা বিক্রি না করে দেওয়ানী আদালতের মাধ্যমে মামাকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে নিষ্পত্তি করে নিতে পারেন। বাটোয়ারা আইন ১৮৯৩ pdf ডাউনলোড
Caption: Deuani Adalot
জমি বন্টন মামলা করার প্রক্রিয়া ২০২৪ । কি ধাপে বাটোয়ার মামলা নিষ্পত্তি হয়?
- উপযুক্ত আদালত নির্বাচন: সম্পত্তির অবস্থান অনুযায়ী সঠিক দেওয়ানী আদালত নির্বাচন করতে হবে।
- আবেদনপত্র জমা: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ আবেদনপত্র আদালতে জমা দিতে হবে।
- তালিকাভুক্তি: আদালত আবেদনপত্র গ্রহণ করলে মামলা তালিকাভুক্ত করে।
- বিবাদীর উপস্থিতি: নির্ধারিত তারিখে বিবাদীদের আদালতে উপস্থিত হতে হবে।
- সাক্ষ্যগ্রহণ ও বিচার: উভয় পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ ও আইনজীবীদের যুক্তি উপস্থাপনের পর আদালত রায় প্রদান করবে।
- ডিক্রি: রায়ের উপর ভিত্তি করে আদালত ডিক্রি (সম্পত্তি ভাগবাঁটোয়ারার নির্দেশ) প্রদান করবে।
বাটোয়ার ১টি ডিক্রী পেলেই কি হয়?
না। বাটোয়ারা মামলায় সাধারণত প্রত্যেক দাগের জমি সকল সহ-শরীক এর মধ্যে বণ্টিত হয়ে থাকে ৷ এ মামলায় ২ বার ২টি ডিক্রী হয় ৷ প্রাথমিক ডিক্রী: এ ডিক্রীতে হিস্যানুযায়ী বন্টন আদেশ দেয়া হয় ৷ চূড়ান্তডিক্রী: এ ডিক্রীতে প্রয়োজনে আমিন কমিশন পাঠিয়ে সরে জমিনে সম্পত্তির দখল দেয়া হয় এবং সীমানা পীলার দ্বারা বিভাজন (জমির ভাগ) চিহ্নিত করারমাধ্যমে চূড়ান্ত ডিক্রী প্রচার করা হয় ৷ আদালত প্রয়োজনে আইন শৃংখলা বাহিনী নিয়োগকরে সম্পত্তির সীমানা চিহ্নিত করে ডিক্রী প্রাপককে সম্পত্তির দখল দেয়ার ব্যবস্থাকরে থাকেন ৷ আদালতের মাধ্যমে বন্টন হওয়ার পর এবং বন্টন দলিল রেজিষ্ট্রি পর অবশ্যই নিজ নামে নামজারি, জমাভাগ খতিয়ান করে নিতে হবে। পাশাপাশি খাজনা প্রদান করতে হবে। মনে রাখবেন, নামজারি হচ্ছে সরকারিভাবে সম্পত্তিকে নিজ নামে রেকর্ড করা।
https://reportbd.net/%e0%a6%9c%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%b6%e0%a7%8b%e0%a6%a7%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b2%e0%a6%be/