খুচরা সিগারেট ক্রয় বন্ধ করে আইন সংশোধন ২০২২

বন্ধ হচ্ছে সিগারেট খুচরা  কেনাবেচা। এখন থেকে কিনতে হবে প্যাকে। 

সংশোধন করা হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন

সিগারেট আর খুচরা ক্রয় করা যাবে না।এখন থেকে কিনতে হবে  প্যাকেট। যেখানে বিক্রয় হয়, সেখানে তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শনীও নিষিদ্ধ হচ্ছে। এমন বিধান রেখে, সংশোধন করা হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন। এ আইন পাস হওয়ার আশা চলতি বছরেই।

সাজিয়ে রাখা যাবে না সিগারের প্যাকেট

তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধ করা হয়েছে আরো আগে। ২০১৩ সালে যে বিধিমালা করা হয়েছিলো, তাতে বিক্রির স্থলে এসব পণ্য পরিদর্শণ করা যেত। তবে, এবার থেকে সেই সুযোগ আর থাকবে না। অর্থাৎ, দোকানে দোকানে যে সিগারের প্যাকেট সাজিয়ে রাখা হয়, নতুন আইন পাস হলে আর  সিগারের প্যাকেট সাজিয়ে রাখা যাবে না।

এখন চাইলে দোকান থেকে একটি দুটি করে খুচরা সিগারেটের  ক্রয় করা যায়। নতুন আইনের মাধ্যমে বন্ধ হচ্ছে সেই সুযোগও। নতুন আইন পাস হলে ক্রয় করতে হবে পুরো প্যাকেট।

২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ

এসব বিধি যুক্ত করে, সংশোধন হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন। ইতিমধ্যে ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত মতামত নেয়ার কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে । আইনটি পাস হতে পারে এ বছরেই।২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার সরকারের যে লক্ষ্য রয়েছে,তারই ধারা বাহিকতায় নতুন এ আইনটি পাস হতে যাচ্ছে।

নতুন আইনে নিষিদ্ধ হচ্ছে প্যাকেটহীন জর্দা-গুল বিক্রি। ই-সিগারেট, হিটেড টোবাকো পণ্যের আমদানি,  বিক্রয়ও বন্ধ করা হবে।

উদ্বেগজনক, বলছেন চিকিৎসকরা

দেশের চার কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ  তামাকের ব্যবহার করেন। যা কি না উদ্বেগজনক, বলছেন চিকিৎসকরা। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ অনুসারে, দেশে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে ৩৫ শতাংশের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করে থাকে। যার মধ্যে ৪৬ শতাংশ পুরুষ ও ২৫ দশমিক ২ শতাংশ নারী রয়েছে।
সূত্রঃ নাগরিক টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *