শবে বরাত কবে ২০২৩ । আগামী ৭ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে
সাবান মাসের চাঁদ দেখার উপর সাধারণত শবেবরাতের তারিখ নির্ধারিত হয় – পূর্ব নির্ধারিত তারিখ চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে – শবে বরাত কবে ২০২৩
সাবান মাসের চাঁদ কি দেখা গেছে? – বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। ফলে আগামীকাল ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা করা হবে। প্রেক্ষিতে আগামী ৭ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। আজ সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এমপি। প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহাঃ বশিরুল আলম।
সভায় ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ রজব ১৪৪৪ হিজরি, ৮ ফাল্গুন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি. মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গিয়েছে। এমতাবস্থায়, আগামীকাল ৯ ফাল্গুন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি. বুধবার থেকে ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু হবে। প্রেক্ষিতে আগামী ১৪ শাবান ১৪৪৪ হিজরি, ২২ ফাল্গুন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৭ মার্চ ২০২৩ খ্রি. মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।
সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোঃ আবদুল জলিল, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী হাফিজুল আমিন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ সিরাজুল হক ভুঞা, সহকারী- ওয়াকফ প্রশাসক মোঃ শাহরিয়ার হক, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই দিনে কোন বিশেষ ইবাদত করে, তাদের কাজ কবুল হয় এবং দ্বিতীয়টি হলো যারা এই দিনে কিছু দান করে, তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু আগামী ৭ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।
শবে বরাত হলো একটি ইসলামিক উৎসব যা মুসলিম সমাজে প্রচলিত। বর্ষার প্রথম বা দ্বিতীয় শবে বরাত হলো ঈশ্বরের করুণার দিন, যখন মুসলিম সমাজের অধিকাংশ সদকা করে থাকে। এই দিনে মুসলিম সমাজের মানুষরা অল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং আল্লাহর দরবারে নজর ফেরায় এবং নজরুল আমল করে। এই উৎসবে মুসলিম সমাজের মানুষরা নতুন কাপড় পরে, মিঠাই বাঁটায় এবং দরিদ্র মানুষদের মধ্যে সদকা করে। মুসলিম ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন এবং হাদিস বলে থাকে যে এই দিনে আল্লাহ তাআলা দুটি কবুলিয়েত করেন। প্রথমটি হলো যারা
Caption: source of information
শবে বরাতের রাতে কি করবেন? শবে বরাতের নফল নামাজ ও ইবাদত
- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে।
- (ইবনে মাজাহ)। ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নামাজ; সুতরাং নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নফল নামাজ।
- প্রতিটি নফল ইবাদতের জন্য তাজা অজু বা নতুন অজু করা মোস্তাহাব।
- বিশেষ ইবাদতের জন্য গোসল করাও মোস্তাহাব। ইবাদতের জন্য দিন অপেক্ষা রাত শ্রেয়তর।
- হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ১৪ শাবান দিবাগত রাত যখন আসে, তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলায় রোজা রাখো;
- কেননা, এদিন সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন; কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছ কি? আমি ক্ষমা করব;
- কোনো রিজিকপ্রার্থী আছ কি? আমি রিজিক দেব;
- আছ কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি উদ্ধার করব। এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আহ্বান করতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৮৪)।
শবে বরাতের ফজিলত কি?
হজরত আয়িশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সেজদা করলেন যে আমার ধারণা হলো, তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন; আমি তখন উঠে তাঁর পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম, তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল; তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করে আমাকে লক্ষ করে বললেন, হে আয়িশা! তোমার কি এ আশঙ্কা হয়েছে? আমি উত্তরে বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)! আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশঙ্কা হয়েছিল আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি না? নবীজি (সা.) বললেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলই ভালো জানেন। তখন নবীজি (সা.) বললেন, এটা হলো অর্ধশাবানের রাত; এ রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন; ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন। (শুআবুল ইমান, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৮২)। হজরত আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবীজি (সা.) এ রাতে মদিনার কবরস্থান ‘জান্নাতুল বাকি’তে এসে মৃতদের জন্য দোয়া ও ইস্তিগফার করতেন। তিনি আরও বলেন, নবীজি (সা.) তাঁকে বলেছেন, এ রাতে বনি কালবের ভেড়া বকরির পশমের (সংখ্যার পরিমাণের) চেয়েও বেশিসংখ্যক গুণাহগারকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। (তিরমিজি শরিফ, হাদিস: ৭৩৯)।