বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের আদেশ বাতিল ২০২৪ । ছাত্র শিবিরের সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নাই

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়–বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের আদেশ বাতিল ২০২৪

সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিল? যেহেতু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নাই এবং যেহেতু সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত নহে।

জামায়াতে ইসলামী এবং শিবির কি তাহলে এখন রাজনীতি করতে পারবে? হ্যাঁ। সেহেতু সরকার, সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা সংক্রান্ত এ বিভাগের বিগত ১৭ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ০১ আগস্ট ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখের প্রজ্ঞাপন এস. আর. ও. নং, ২৮১-আইন/২০২৪ এতদ্বারা বাতিল করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ হইতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন এর তালিকাভুক্তি বাতিল করেছে। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

২০১৩ সালে কেন নিষিদ্ধ হয়েছিল? বাংলাদেশি জনগণের পরিকল্পিত গণহত্যা এবং অন্যান্য সহিংস কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল বলে জানা গেছে। বিচারের ফলস্বরূপ, ২০১৩ সালের শাহবাগ বিক্ষোভের কর্মীরা সরকারের কাছে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। পরবর্তী ২০২৪ সালে আবারও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নতুন সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পূর্বে ঘোষিত নিষিদ্ধের আদেশ বাতিল করিল।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নাই

নতুন ভাবে আবার কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।

Caption: Jamaat E islami and chhatraShibir

একটি রাজনৈতিক সংগঠন কি কি কারণে নিষিদ্ধ হতে পারে? । একটি রাজনৈতিক সংগঠনকে বিভিন্ন কারণে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। নিষেধাজ্ঞার কারণগুলি সাধারণত দেশের সংবিধান, আইন এবং সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।

  • হিংসা ও বিশৃঙ্খলা উস্কে দেওয়া: কোনো সংগঠন যদি হিংসা, অশান্তি বা বিশৃঙ্খলা ছড়াতে উৎসাহিত করে বা এর সাথে জড়িত থাকে, তাহলে তাকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
  • সরকার উৎখাতের চেষ্টা: কোনো সংগঠন যদি সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাত করার চেষ্টা করে বা এর পক্ষে প্রচারণা চালায়, তাহলে তাকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
  • ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো: কোনো সংগঠন যদি ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় বা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রচার করে, তাহলে তাকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানো: কোনো সংগঠন যদি জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ায় বা কোনো জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রচার করে, তাহলে তাকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
  • মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন: কোনো সংগঠন যদি মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে বা এর পক্ষে কাজ করে, তাহলে তাকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
  • অবৈধ কার্যকলাপ: কোনো সংগঠন যদি অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত থাকে, যেমন অস্ত্রের ব্যবসা, মাদকের ব্যবসা বা মানব পাচার, তাহলে তাকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
  • বিদেশি হস্তক্ষেপ: কোনো সংগঠন যদি বিদেশি শক্তির ইশারায় কাজ করে বা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাহলে তাকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
  • সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ: কোনো সংগঠন যদি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকে বা এর পক্ষে প্রচারণা চালায়, তাহলে তাকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।

দল নিষিদ্ধ হলে কি হয়?

সংগঠনের সকল কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সংগঠনের সম্পত্তি জব্দ করা হতে পারে। সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হতে পারে। সংগঠনের সদস্যরা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে বাধ্য হতে পারে। এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, কোনো রাজনৈতিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা একটি গুরুতর সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারকে সতর্কতার সাথে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।

     
     
     

admin

আলামিন মিয়া, একজন ব্লগার, ডিজিটাল মার্কেটার, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার। ব্লগিংকরছি প্রায় ৭ বছর যাবৎ। বিভিন্ন অনলাইন সেবা হাতের কাছে পেতে নির্দেশনা ও পদ্ধতি গুলো ব্যাখ্যা করা হয় যা আপনি খুব সহজেই এই ওয়েবসাইট হতে পেতে পারেন। যদি অতিরিক্ত কোন তথ্য প্রয়োজন হয় বা পরামর্শ থাকে তবে মেইল করুন admin@tricksboss.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *