সর্বশেষ নিউজ

Assistant Teacher Transfer Application Link । অনলাইনে আবেদনের পর তা বাতিল করা যাবে না?

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকগণের (চলতি দায়িত্ব ব্যতীত) আন্তঃ উপজেলা/থানা (একই জেলার ভিতর) অনলাইন বদলি সংক্রান্ত নির্দেশনা–সহকারী শিক্ষক বদলির নিয়ম ২০২৪

কত তারিখ পর্যন্ত বদলির আবেদন করা যাবে? – আগামী ১২ এপ্রিল ২০২৪ হতে ০৫ মে ২০১৪ পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী ও প্রধান শিক্ষকাদের (চলতি দায়িত্ব ব্যতীত) আন্তঃ উপজেলা/থানা (একই জেলার ভিতর) অনলাইন বদলি কার্যক্রম সময়সূচী ও শর্তসাপেক্ষে চলমান থাকবে।

অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কয়টি বিদ্যালয় চয়েস দেওয়া যাবে? শিক্ষকগণ সর্বোচ্চ ৩টি বিদ্যালয় শহদের ক্রমানুসারে পছন্দ করবেন। তবে কোন শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে শুধুমাত্র ০১ বা ২টি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোন আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।

আবেদন করলেই কি বদলি হয়ে যাবে? যাচাইকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে ১০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে জারিকৃত সর্বশেষ “সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২৩ অনুযায়ী আবেদনকারীর আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি যাচাই করে অগ্রায়ন করবেন। যাচাইকারী কর্মকর্তা সতর্কতার সাথে সংযুক্ত তথ্য ও কাগজপত্রাদি যাচাই করবেন। ঘাইপূর্বক প্রেরণ পরবর্তী তা পুন বিবেচেনা করার আবেদন গ্রহণযোগ্য  উল্লেখ্য আবেদনকারীর পছন্দক্রম অনুযায়ী বদলি হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। একাধিক আবেদনকারীর ক্ষেত্রে যোগ্য আবেদনকারীকে সফটওয়্যারের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনায় নির্বাচিত করা হয় বিধায় কোন রকম হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।

অনলাইন বদলি অটোমেটক্যালি সিলেক্ট হয় তাই ইচ্ছাকৃত পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই/ অটো রোবট বা সফটওয়্যারের মাধ্যমে একাধিক প্রার্থীর মধ্য হতে বাছাই করা হয়

IPEMIS কি? প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২০১৮-২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়িত হচ্ছে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) যার মূল উদ্দেশ্য প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেনি পর্যন্ত সকল শিশুর বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সু্যোগ সৃষ্টি এবং সকল শিক্ষার্থীর জন্য সমতাভিত্তিক মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান। এ উদ্দেশ্যে পিইডিপি-৪ প্রকল্পে একাধিক লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে যার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে সামগ্রিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় একটি সমন্বিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ, যার মাধ্যমে গুনগতভাবে স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধির পাশাপাশি ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশের সরকারি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

Caption: dpe.gov.bd । শিক্ষকরা বদলির আবেদন (https://ipemis.dpe.gov.bd

সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২৩ । সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক বদলির সাধারণ শর্তাবলি

  1. সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির মেয়াদ ন্যূনতম ২ (দুই) বছর পূর্ণ হলে এবং পদ শূন্য থাকলে আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা ও আন্তঃবিভাগ বদলি করা যাবে। তবে, উক্ত ২ (দুই) বছরের মধ্যে একই উপজেলা/থানায় পদ শূন্য হলে বদলি করা যাবে। এছাড়াও, যে কোন বদলির পর ৩ (তিন) বছর অতিক্রান্ত না হলে কোনাে শিক্ষক পুন:বদলির জন্য বিবেচিত হবেন না;
  2. প্রধান শিক্ষক বা কোন সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হলে, উক্ত পদে তার চাকরির মেয়াদ ২ (দুই) বছর পূর্ণ হলে, পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা এবং আন্তঃবিভাবলি করা যাবে। তবে, উক্ত ২ (দুই) বছরের মধ্যে একই উপজেলা/থানায় পদ শূন্য হলে বদলি করা যাবে। এক্ষেত্রেও বদলির পর ৩ (তিন) বছর অতিক্রান্ত না হলে কোনাে শিক্ষক পুনঃবদলির জন্য বিবেচিত হবেন;
  3. যে সকল বিদ্যালয়ে ৪ (চার) জন বা তার কম সংখ্যক শিক্ষক কর্মরত আছেন কিংবা শিক্ষক ছাত্র অনুপাত ১:৪০ এর বেশি রয়েছে, সে সকল বিদ্যালয় থেকে সাধারণভাবে শিক্ষক বদলি করা যাবে না;
  4. নদী ভাঙ্গন/ অন্য কোনাে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনাে শিক্ষকের বসতভিটা বিলীন হওয়ার ফলে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তিত হলে বা কোনাে উপজেলা/থানা/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন প্রশাসনিক পুনর্গঠনের কারণে কোনাে শিক্ষকের স্থায়ী ঠিকানা এবং কর্মস্থলের ঠিকানা পরিবর্তিত হয়ে দুটো ভিন্ন উপজেলা/থানা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হলে উক্ত শিক্ষককে নিজ স্থায়ী ঠিকানায় বদলি করা যাবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র, স্থায়ী ঠিকানার জমির দলিল ও খতিয়ান, বাড়ির হেন্ডিং নম্বর (সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য), ভূমি উন্নয়ন কর পরিশােধের রশিদ, পৌর/ ইউনিয়ন পরিষদ কর পরিশােধের রশিদসহ আবেদন করতে হবে;
  5. উপজেলা/থানায় কোনাে পদ শূন্য হলে প্রথমত: সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানার অধিবাসী প্রার্থীগণ যারা নিজ উপজেলা/থানায় শুন্যপদ থাকায় অন্য উপজেলা/থানায় নিয়ােগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, দ্বিতীয়ত: সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানার অধিবাসী প্রার্থীগণ সেই পদে বদলির জন্য অগ্রাধিকার পাবেন। তবে, একাধিক পদ শূন্য থাকলে অন্য উপজেলা/থানা/জেলা/বিভাগের শিক্ষকগণও একইভাবে বদলির জন্য বিবেচিত হতে পারবেন। তবে আন্ত:উপজেলা/থানা, আন্ত:জেলা কিংবা আন্ত: বিভাগ বদলির ক্ষেত্র বদলিকৃত শিক্ষকের জ্যেষ্ঠতা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত সর্বশেষ পরিপনীতিমালা দ্বারা নির্ধারিত হবে;
  6. উপজেলা বা থানার মধ্যে একই পদে একাধিক আগ্রহী প্রার্থী থাকলে তাদের মধ্যে যথাক্রমে দূরত্ব, লিঙ্গ, চাকরির জ্যেষ্ঠতা, প্রতিবন্ধিতা, বিবাহ, স্বামীর মৃত্যু/বিবাহ বিচ্ছেদ এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে;
  7. উপজেলার মােট পদের সর্বাধিক ১০% পদে সংশ্লিষ্ট উপজেলার বাইরে থেকে উপযুক্ত শিক্ষক পদ শূন্য সাপেক্ষে বদলি করা যাবে;
  8. চাকরি লাভের পূর্বে এবং চাকরি লাভের পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এমন শিক্ষক স্বামী স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলী হতে ইচ্ছুক হলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শূন্য পদের বিপরীতে বদলি করা যাবে। এ ধরণের বদলির ক্ষেত্রে বিবাহের সময় স্বামী/স্ত্রীর যে স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে ঐ ঠিকানায় বদলির ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ ৩.৭ এ বর্ণিত ১০% পুরনের শর্তটি প্রযোজ্য হবে না। এরুপ বদলির ক্ষেত্রে স্বামী/স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে বিয়ের কাবিন নামপ্রত্যয়ন পত্র, সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়র/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর প্রত্যয়ন পত্র, স্বামী/স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানার জমির দলিল, খতিয়ান এবং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশােধের রশিদসহ আবেদন করতে হবে। তবে এ সুযােগ তাঁরা সমগ্র চাকরিকালে সর্বোচ্চ ০১ (এক) বার গ্রহণ করতে পারবেন। তবে, চাকুরীর বিজ্ঞপ্তির পূর্বে বিবাহ হয়ে থাকলে শিক্ষক স্বামী/স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির ক্ষেত্রে ১০% কোটা পূরণের শর্তের আওতায় আসবেন;
  9. বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত শিক্ষক তাঁর স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানায় বদলি হতে পারবে। এবং বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত শিক্ষক পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে স্বামীর স্বামী/বর্তমান ঠিকানায় বদলি হতে ইচ্ছা পােষন করলে কাবিননামা/প্রত্যয়ন সহ লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে পদশনা থাকা স্বাপেক্ষে বদলি করা যাবে। এরুপ বদলির ক্ষেত্রে নিজের স্থায়ী বর্তমান ঠিকানা স্বাপেক্ষে এবং স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়র/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর প্রত্যয়ন পত্র, স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার জমির দলিল ও খতিয়ান, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশােধের রশিদসহ আবেদন করতে হবে;
  10. বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত শিক্ষককে তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে পিতা/তার স্থায়ী ঠিকানায় অথবা তীর বর্তমান স্থায়ী ঠিকানায় বদলি করা যাবে। এক্ষেত্রে পিতার বা তার বর্তমান স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে স্বপক্ষে সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়র/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর প্রত্যয়ন পত্র, পিতার স্থায়ী ঠিকানার জমির দলিল, খতিয়ান, এবং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশােধের রশিদসহ আবেদন করতে হবে; তবে এ সুযােগ তাঁরা সমগ্র চাকরিকালে সর্বোচ্চ ০১ (এক) বার গ্রহণ করতে পারবেন;
  11. কোন শিক্ষকের স্ত্রী বা স্বামী সরকারি/আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে তাঁকে স্ত্রী বা স্বামীর কর্মস্থলে বদলির সুযােগ দেয়া যেতে পারে। তবে এ সুযােগ তাঁরা সমগ্র চাকরিকালে সর্বোচ্চ ০২ (দুই) বার গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু ৩.৮ নং উপানুচেছদের আওতায় স্বামী/স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির সুযোগ গ্রহণকারী এ উপানুচ্ছেদের আওতায় বদলির সুযােগ পাবেন না;

আন্তঃ বিভাগ বদলি হওয়া যায়?

হ্যাঁ। অন্যান্য বদলির সেশনের জন্য (অন্তঃ উপজেলা/থানা, আন্তঃ উপজেলা/থানা, আন্তঃ জেলা, আন্তঃ বিভাগ) । কোনো সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত নয় এমন স্কুলগুলো তালিকায় থাকবে। যদি আবেদনকারী কোনো সিটি কর্পোরেশন অন্তর্ভুক্ত স্কুলের অন্তর্গত হয় তবে সেই সিটি কর্পোরেশনের অধীনে সকল স্কুল নির্বাচন তালিকায় উপস্থিত থাকবে। অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের অধীনে থাকা স্কুলগুলি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না।

প্রাথমিক শিক্ষক বদলি কার্যক্রম ২০২৪ । নতুনেরাও কি অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলির আবেদন করতে পারছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *