Bank Account for Bank Officials । সরকারি কর্মচারীগণ কোন ব্রাঞ্চগুলোতে বেতন ভাতা গ্রহণ করবেন?
সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতাগুলো ট্রেজারি অফিসের অনুমোদিত ব্যাংক গুলোর মাধ্যমে পরিশোধিত হয়। সরকারি বিলগুলোও সেই নির্ধারিত ব্যাংক ব্রাঞ্চগুলোর মাধ্যমেই পরিশোধ করা হয়। সোনালী ব্যাংক বা অগ্রণী ব্যাংক এর সরকারি বিল পরিশোধ করা হয় এমন ব্রাঞ্চগুলো খুব বেশি ভীড় এবং যে কোন নগদ লেনদেন বা ইএফটি লেনদেন ধীর গতিতে হয়।
বেসরকারি নাকি সরকারি ব্যাংকে ইএফটি বেতন নিবেন?
আপনি যদি সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তবে আমি আপনাকে বলবো আপনি প্রথম চয়েস হিসেবে সোনালী ব্যাংক রাখুন এবং দ্বিতীয় চয়েস হিসেবে অগ্রনী ব্যাংক রাখুন। কারণ সরকারি বিলগুলো যেহেতু এখনও সম্পূর্ণ ইএফটি’র মাধ্যমে পরিশোধিত হয় না তাই ম্যানুয়াল বিলগুলো ব্যাংক হিসেবে গ্রহণের ক্ষেত্রে বিপদে পড়বেন। কারণ সরকারি ট্রেজারি ব্যাংকগুলোতে বিল ক্যাশ পূর্বক যদি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ব্রাঞ্চে একাউন্ট না থাকে তবে আপনি ব্যাংক একাউন্টে বিল ট্রান্সফারের মাধ্যমে অর্থ গ্রহন করতে পারবেন না। যদিও অদূর ভবিষ্যতে অটোমেশন আসলে যে কোন ব্যাংক হতে বিশেষ বা অন্যান্য বিল গ্রহণ করা যাবে।
বর্তমানে শুধুমাত্র বেতন ভাতাদি ইএফটি’র মাধ্যমে আইবাস++ প্রসেস করে পরিশোধ করা হয়। তাই যে কোন সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংক হতে সরকারি কর্মচারিগণ বেতন ভাতাদি গ্রহণ করতে পারেন। যদিও যে কোন ব্যাংক হিসেবে বেতন ভাতাদি গ্রহণ করতে পারেন তবুও আমি বলবো ট্রেজারি ব্যাংকের যেকোন ব্রাঞ্চে ব্যাংক হিসাব থাকাই ভাল তাতে বেতন ভাতাদি ও পেনশন সংক্রান্ত অর্থ সহজেই গ্রহণ করা যাবে।
কোন কোন বেসরকারি ব্যাংকে ইএফটি’র মাধ্যমে বেতন ভাতাদি গ্রহণ করা যাবে?
বাংলাদেশের ব্যাংকসমূহের তালিকা দ্বারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ব, বাণিজ্যিক, বিশেষায়িত ও ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক সমূহের নামসমূহ একত্র প্রকাশিত। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম জীবনীশক্তি এই ব্যাংকগুলো দেশের মুদ্রাবাজারকে রাখে গতিশীল ও বৈদেশিক বাণিজ্যকে করে পরিশীলিত। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো বাংলাদেশ ব্যাংক, এবং ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক ছাড়াও রয়েছে আরো বহু সংখ্যক ব্যাংক। অন্যান্য ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে ৩টি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৪১টি ব্যক্তি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ৫ টি অতালিকাভুক্ত ব্যাংক। এছাড়া বাংলাদেশই প্রথম দেশ, যেখানে সামাজিক ব্যবসার ধারণায় প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় গ্রামীণ ব্যাংক নামক ক্ষুদ্রঋণ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, যা একটি বিশেষায়িত ব্যষ্টিক-অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান। যে ব্যাংকগুলো EFT এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে: তবে অবশ্যই অনলাইন শাখা হতে হবে। iBAS++: Accepted Bank Name-SB ছাড়া অন্য ব্যাংক হিসাব।
রাষ্ট্রয়াত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- অগ্রণী ব্যাংক
- রূপালী ব্যাংক
- জনতা ব্যাংক
- বেসিক ব্যাংক লিমিটেড
- বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড
ব্যক্তি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক
- আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড
- ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড
- ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড
- এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড
- এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড
- এবি ব্যাংক লিমিটেড
- এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড
- ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড
- ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড
- ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
- দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড
- ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড
- ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড
- পূবালী ব্যাংক লিমিটেড
- প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড
- প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড
- বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড
- ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড
- ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড
- মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড
- মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড
- মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
- মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড
- মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড
- যমুনা ব্যাংক লিমিটেড
- সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড
- সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড
- সিটি ব্যাংক লিমিটেড
- উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড
- কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
- বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (অনুমোদনপ্রাপ্ত)
iBAS++ এ ব্যাংকের একাউন্ট পরিবর্তন করা যাবে।
আইবাস++ এ ব্যাংক হিসাব কি পরিবর্তন করা যাবে?
আইবাস++ এ ব্যাংক হিসাব পরিবর্তন এখন খুব একটা সহজ নয় কারণ পূর্বে শুধুমাত্র ডিডিও-ই কর্মচারীদের ব্যাংক তথ্য পরিবর্তন করতে পারতেন। এখন ডিডিও ও হিসাবরক্ষণ অফিসার জড়িত থাকতে হবে। কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাব পরিবর্তন বা সংশোধন করতে প্রথমে ডিডিও কর্মচারীর হয়ে এন্ট্রি দিবেন এবং পরবর্তীতে হিসাবরক্ষণ অফিসার অনুমোদন দেবে তবেই ব্যাংক ডিটেইলস পরিবর্তন হবে। আইবাস++ এ ব্যাংক একাউন্ট এডিট বা পরিবর্তন করার নিয়ম ২০২২
সোনালী ব্যাংক বা অগ্রনী ব্যাংকের তুলনামূলক কম চাপ এমন ব্রাঞ্চে হিসাব খুলবেন। ভীড় বা চাপ বেশি থাকা ব্রাঞ্চগুলোতে ইএফটি রিকুয়েষ্ট আসলে তা রিসিপ করা হয় বিকেল বেলায় অর্থাৎ ২ তারিখে ব্যাংক হিসাবে টাকা আসার কথা থাকলেও বিকেল বেলা বা সন্ধান ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হয়। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক ইএফটি রিকুয়ে পাঠালেও ব্যাংক ব্রাঞ্চ তা রিসিভ না করা পর্যন্ত গ্রাহক বা সরকারি কর্মচারির ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হয় না।