BIBM ব্যাংক জব প্রস্তুতি। কি ভাবে শুন্য থেকে BIBM ব্যাংক জব প্রস্তুতি নিবেন?
BIBM ব্যাংক জব প্রস্তুতি নিবেন শুন্য থেকে
১.BIBM ব্যাংক জব প্রস্তুতি
ব্যাংক জবের ২০২৩ সালের ইতিহাসের সেরা ব্যাপক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে । সময় এখনই, ভালো করে পড়ুন, সিলেক্টেড এর তালিকা টি কনফার্ম করুন ২০২৩ এই। যদি টার্গেট থাকে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার এর তাহলে ২০২৩ এর সেরা এই সার্কুলার গুলোকে কাজে লাগান, পড়া শুরু করুন এখন থেকেই এগিয়ে থাকবেন। এত বড় সার্কুলার এর আগে হয় নাই, তাই এই সুযোগ কাজে লাগান। এটাই পারফেক্ট সময়। ভালো করে পড়লে ২০২৩ সালটাই আপনার হতে পারে।
১.ব্যাংকের পরীক্ষার ধরণ
১. প্রিলি। (১০০ মার্কস)
২. রিটেন। (২০০ মার্কস)
৩. ভাইভা ( ২৫ মার্কস )
২.প্রিলির প্রস্তুতি
এমসিকিউ (১০০ মার্কস এর হয়)
BIBM সাধারণত ব্যাংক জবের পরীক্ষা গুলোতে যে ধরনের প্রশ্ন করে
১. বাংলা (২৫ টি ) প্রশ্ন
২. ইংরেজি (২৫ টি) প্রশ্ন
৩.গণিত (2০ টি প্রশ্ন )
৪. সাধারণ জ্ঞান (২০ টি) ও
৫.কম্পিউটার (১০ টি) প্রশ্ন আসে।
এমসিকিউ পার্ট এর জন্য বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও কম্পিউটার এর কমন টপিক গুলো আগে পড়বেন , যদি বিসিএস বা অন্যান্য চাকরির প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন তাহলে বাংলা ও সাধারণ জ্ঞান অনেকটাই কাভার হয়ে যাবে, না হলে গুরুত্বপূর্ন টপিক গুলো ভালো করে পড়তে থাকুন , আর গণিত ও ইংরেজির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ন টপিক আছে যে গুলো থেকে প্রায় প্রশ্ন হয় সে গুলো আগে শেষ করুন , কম্পিউটার পার্ট টি খুবই গুরুত্ব সহকারে পড়ুন, কারণ অন্য সাবজেক্টে খারাপ করলে কম্পিউটার থেকেই কাভার করতে পারবেন।
৩. ব্যাংক প্রিলির জন্য কোন বই পড়বেন
১। বাংলা
বাংলার জন্য অভিযাত্রী/অগ্রদূত/শীকর যে কোনো একটা বাংলা বই পড়ুন । বাংলায় একটা স্ট্রং জোন তৈরি করুন , ব্যাকরণ পার্ট ভালো করে পড়ুন। বাংলা আপনাকে এগিয়ে রাখবে।
২। ইংরেজি
ইংরেজি গ্রামারের জন্য MASTER/Need ইংলিশ থেকে বুঝে বুঝে পড়ুন। Saifurs এর গ্রামার ও ভোকাবুলারির বইটাও দেখতে পারেন। ইংরেজি দেখে ভয় পাবেন না, রেগুলার ইংরেজি পড়লে অনেকটাই আপনার আয়ত্তে থাকবে।
৩। গনিত
ম্যাথ এর বেসিক টপিক গুলো আগে ক্লিয়ার করুন, ম্যাথের জন্যঃ ককটেল ম্যাথ/ম্যাজিক ম্যাথ/খাইরুলস ম্যাথ যে কোনো একটা পড়ুন গণিতটা প্রতিদিন প্যাকটিস করে নিজের আয়ত্তে নিন। রিসেন্ট জব স্ল্যুশন থেকে বিগত প্রশ্ন সমাধান করে যাবেন।
৪। সাধারন জ্ঞান
বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক
জর্জ এর MP3/নতুন বিশ্ব বা যে কোন একটা বই ভালো করে পড়ুন , বেসিক ক্লিয়ার করুন, কমন টপিক গুলো আগে ভালো করে শেষ করুন। সাম্প্রতিকঃ কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সই যথেষ্ঠ বা যে কোন সাম্প্রতিক টপিক গুলো ভালো করে পড়ূন, ব্যাংকে সাম্প্রতিক থেকে প্রশ্ন গুলো বেশী হয়। ব্যাংক রিলেটেড টার্ম গুলি ভালো করে জেনে যাবেন।
৫। কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
সেলফ সাজেশন বেসিক কম্পিউটার বইটি অবশ্যই দেখে যাবেন , ফ্যাকাল্টি বেইজড এর সকল প্রশ্নের সমাধান দেয়া আছে , স্বল্প সময়ে প্রস্তুতি নেয়া যায়। গত বাংলাদেশ ব্যাংকের AD সহ কয়েকটি পরীক্ষায় এখান থেকে হুবহু অপশন সহ কমন ছিল, ইদানিং এই বই থেকেই হুবুহু অপশন সহ প্রশ্ন হচ্ছে যা BIBM সহ অনেক পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ । ভালো প্রস্তুতির জন্য এই বইয়ের শুরুতে দেওয়া বিগত সালের সকল প্রশ্ন ভালো করে পড়ূন।
৪. ব্যাংক রিটেনের জন্য কোন বই পড়বেন
রিটেনে সাধারণত (২০০) মার্কস এর হয়
ফোকাস রাইটিং
লতিফুরস ফোকাস রাইটিং বা ইউনিক ফোকাস রাইটিং বা অন্য যে কোনো একটি বই পড়ুন।
১ । বাংলা ফোকাস ও ইংরেজি ফোকাস রাইটিং- (৩৫+২৫ মার্কস )
তথ্য, উপাত্ত ও পয়েন্ট, চার্ট আকারে ভালো করে লিখলে এখান থেকে ভালো মার্কস পাওয়া যায়। বাজেট, মেগা প্রকল্প সহ বর্তমান সময়ের আলোচিত বিষয়, এর উপরে গুরুত্ব দিতে হবে। ডেইলি পত্রিকার সম্পাদকীয় অংশগুলি ভালো করে পড়লে এখান থেকে অনেক কিছু ধারণা পাবেন।
২ । সাধারণ জ্ঞান- (৩০ মার্কস )
ব্যাংক রিলেটেড টার্ম সহ অন্যান্য সাধারণ জ্ঞান এর টপিক থেকেও প্রশ্ন হয়। সুতরাং ভালো প্রস্তুতির জন্য বিস্তারিত পড়তে হবে, এক্ষেত্রে প্রিলি ও রিটেন উভয় কাভার হবে। যেহেতু কোন অপশন থাকবে না , এক্সাক্ট উত্তর টাই লিখতে হবে সুতরাং ভালো করে পড়তে হবে।
৩। প্যাসেজ (১টি) – (২০ মার্কস )
এখানে প্রশ্নের মাঝেই উত্তর থাকে, মাথা খাটিয়ে যথা সম্ভব কম সময় দিয়ে উত্তর করার প্যাক্টিস করতে হবে। যত সময় কম দিবেন অন্য প্রশ্নের উত্তর তত ভালো করে লিখতে পারবেন। বাসায় ভালো করে প্যাকটিস করলে এখানে ভালো করা যায়।
৪ । ম্যাথ (৫টি) – (৩৫ মার্কস )
কোন অলটারনেট অপশন নেই, সুতরাং আগের থেকে ম্যাথ কম থাকলেও ভালো করে পড়তে হবে, ম্যাথ ভালো পারলে এগিয়ে থাকবেন, সঠিক হলে ফুল মার্কসস পাওয়া যায়।
৫। ট্রান্সলেশন (২টি)- (২০+২০ মার্কস)
ইংলিশ টু বাংলা ও বাংলা টু ইংলিশ। এখান থেকেও ভালো করা যায় ফোকাস রাইটিং ভালো করে পড়লে এই অংশ টি সহজ হয়ে যায়।
৬। সামারাইজ/প্রিসাইজ রাইটিং- (১৫ মার্কস )
ইংরেজিতে ভালো ধারণা ও দক্ষতা থাকলে এখান থেকে ভালো উত্তর করতে পারবেন। যে কোন ফোকাস রাইটিং এর সহায়তা নিলে প্রস্তুতি ভালো হবে।
সহায়ক বই
জবসল্যুশন বা ডাইজেস্ট যে কোন একটি বই ভালো করে ৪/৫ বার রিভিশন দিয়ে পড়ুন , ওরাকল বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক ম্যাপ, যে কোন মুক্তিযুদ্ধের বই , ভোকাবুলারির ভালো বই পড়তে পারেন।
৫. ব্যাংক ভাইভার জন্য কোন বই পড়বেন
ওরাকল বা প্রফেসরস ব্যাংক ভাইভা বইটা দেখতে পারেন বা যে কোন ভাইভার বই থেকে ধারণা নিন, ভালো হয় যারা আগে ভাইভা দিয়েছে তাদের থেকে জানা – কেমন , কি টাইপের প্রশ্ন করে। ফরমাল ড্রেসআপ অবশ্যই মেইনটেন করবেন। ভাইভায় এটেন্ড করলেই একটা মার্কস পাওয়া যায় তবে রিটেনে এগিয়ে থাকলে মেরিট লিস্ট এও এগিয়ে থাকবেন। ভাইভার আগে ভালো করে কমন বেসিক টপিক ও সাম্প্রতিক গুলো পড়ে যাবেন।
৬. বই সিলেকশন
বই সিলেকশন খুব গুরুবপূর্ণ একটা বিষয়, কোন প্রকার নিম্নমানের , সর্টকাট টাইপের বই না পড়ে বেসিক বই পড়ুন ভালো করবেন। কারন এই বইটার উপর ভরসা করেই আপনি পরীক্ষার রুমে যাবেন। যেমন নিজেই যাচাই করেন, বিগত পরীক্ষা থেকে মিলিয়ে নেন যে বইটি পড়ছেন আসলেই কয়টা কমন ছিল সেই বই থেকে, আমরা হুজুগে বাঙালি, খালি দৌড়াই, আসলে দেখি না যে কোনটা পড়লে বেসিক কাভার হবে, পরীক্ষার ট্রেন্ড এখন অনেকটাই চেঞ্জ , অনেক এডভান্স লেভেলের প্রশ্ন হচ্ছে, তাই বর্তমান ট্রেন্ড অনুযায়ী বই ফলো করে সেই অনুযায়ী পড়াশোনা করলে অনেকটাই এগিয়ে থাকা যায় ।
যদি টার্গেট থাকে আপনার ব্যাংক জব তাহলে আজকে থেকেই শুরু করুন , সাফল্য আপনার কাছে ধরা দিতে বাধ্য। ২০২৩ এর সেরা সার্কুলার এগুলো , ভালো করে প্রস্তুতি নিলে ২০২৩ এই সফলতার মুখ দেখতে পারবেন।