ডলার সংক্রান্ত নতুন প্রজ্ঞাপন জারি 2022
এক মাস সময় বেঁধে দিয়ে নতুন আদেশ জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক। কারও কাছে ১০ হাজারের বেশি ডলার থাকলে তা বিক্রয় অথবা ব্যাংকে জমা রাখার নির্দেশ দিয়ে নতুন এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ আদেশ মানতে হবে, এ সময়ের পর কারোর কাছে অতিরিক্ত ডলার পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতির মাধ্যমে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবারের এ নির্দেশনার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা সংরক্ষণের আইন মেনে ডলার বিক্রয় অথবা জমা রাখার বাধ্যতামূলক আইনের বিষয়টি সকলকে মণে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা ধারণ ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৭ এর আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ
এতে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা ধারণ ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৭ এর আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ।
বর্তমানে সরবরাহ সঙ্কটে ডলারের মূল্য অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে কারও কাছে মজুদ থাকা প্রধান এ বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে আনতে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক।
ডলার সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রেস বিজ্ঞপ্তি।এ প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে একজন ব্যক্তি নিজের কাছে সর্বোচ্চ কত ডলার কাছে রাখতে পারবে।
অভিযোগ রয়েছে, ডলার সংকটের সুযোগ নিয়ে অসাধু ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকেই ডলার ক্রয় করে মজুদ করেছেন। এতে করে খোলা বাজারে ডলারের ক্রয়-বিক্রয় কমে গিয়ে বিশাল সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে বুধবার (৩১ আগস্ট) চাহিদা পুরাণ করার জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের নিকট ৯৫ টাকা দরে পাঁচ কোটি ডলার বিক্রয় করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
খোলা বাজারে ডলার বিক্রয় হয়েছে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা
আর খোলা বাজারে ডলার বিক্রয় হয়েছে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা এমনটাই জানিয়েছেন মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল শিকদার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যক্তি বিদেশ থেকে সাথে আনা অনধিক ১০ হাজার মার্কিন ডলার অথবা সমমূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রা নিজের নিকট অথবা অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট হিসাবে জমা রাখতে পারেন, পরবর্তীতে বিদেশ যাত্রার সময় উক্ত বৈদেশিক মুদ্রা সাথে নিয়েও যেতে পারেন।
১০ হাজার মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত অর্থ আনা বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসার এক মাসের ভিতর অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে/লাইসেন্সধারী মানিচেঞ্জারের কাছে বিক্রয় অথবা রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট হিসাবে জমা রাখা প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক।
আইনের এ বিষয়গুলো মণে করিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা কারও নিকট থাকলে তা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মাঝে ব্যাংক অথবা লাইসেন্সধারী মানিচেঞ্জারের নিকট বিক্রয় করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
বার্ষিক ১২ হাজার ডলার পাসপোর্টে এনডর্সমেনট একসাথে করে রাখতে পারেন
যদিও বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি বিদেশ ভ্রমণের প্রয়োজনে বার্ষিক ১২ হাজার ডলার পাসপোর্টে এনডর্সমেনট একসাথে করে রাখতে পারেন।
সে বিষয়ে নজর দারি করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম এর সাথে কথা বলে জানাজায়, সেক্ষেত্রে বিদেশ যাওয়ার প্রমাণ হিসেবে হোটেল বুকিং, বিমান ভাড়াসহ নানা তথ্য ব্যাংকে দিতে হয়। প্রয়োজনীয় সকল শর্ত পূরণ করতে পারলেই ওই ব্যক্তির পাসপোর্টে ডলার এনডর্সমেন্ট করে থাকে ব্যাংক।
প্রধান এ বিদেশি মুদ্রার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বিষয়ে বেশ কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। ব্যাংকের নগদ ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের মাঝে পার্থক্য এক টাকা ও মানি এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে ব্যাংকের নগদ বিক্রয়ের চেয়ে সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি হতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্ত গ্রহনের পর মানি চেঞ্জারদের সংগঠন খোলা বাজারে ডলারের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়েছে।
সূত্র: bdnews24.com