E-TIN Certificate Download BD। টিন সার্টিফিকেট করার নিয়ম ২০২৩
ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর আপনি অনলাইনের করতে পারবেন – টিন সার্টিফিকেট করতে কোন ফি দিতে হয় না – টিন সার্টিফিকেট লগইন ২০২৩
টিন সার্টিফিকেট লগইন– প্রথমে আপনি ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড, সিকিউরিটি কুয়েশ্চেন, মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে করবেন। রেজিস্ট্রেশন মোবাইল ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগিন করবেন। লগিন করার পর View Certificate ক্লিক করে Secure Income Tax Gov Bd Registration Portal এই ওয়েবসাইটে ঢুকবেন এবং এনআইডি সহ সমস্ত তথ্য দিয়ে আবেদন সম্পন্ন হলে টিআইএন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন।
টিআইএন সার্টিফিকেট করার জন্য মোট ৪টি স্টেপ সম্পন্ন করতে হবে। একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন, এক্টিভেশন কোড, ভেরিফিকেশন, টিন সার্টিফিকেট আবেদন ফর্ম পূরণ বা টিন সার্টিফিকেট তৈরী, টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড। অনলাইনেই ইউজার বা নাগরিক নিজেই এসব ধাপ শেষ করতে পারবেন আপনি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন তাহলে নিজেই নিজেই টিআইএন সার্টিফিকেট করতে পারবেন।
What is TIN Certificate? আপনি দেশের একজন করদাতা এবং আপনার একটি ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (Tax Identification Number) আছে এরকম একটি সনদকেই টিন সার্টিফিকেট (TIN Certificate) বলা হয়। ১০ ডিজিটের টিন নম্বরটি কর প্রদানকারী হিসেবে আপনার একটি পরিচিতি নম্বর যেটি দিয়ে আপনাকে শনাক্ত করা যাবে। এছাড়া বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই TIN Number দিয়ে টিন সার্টিফিকেট অনলাইনে যাচাই করে আপনাকে শনাক্ত এবং আপনার আয় ও সম্পদ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে।
টিআইএন নম্বর দিয়ে কিভাবে করদাতাকে শনাক্ত যায়? এই টিন নম্বরের মাধ্যমে Taxpayer- করদাতাকে চেনার উপায় হচ্ছে প্রথম ৩টি সংখ্যা দ্বারা করদাতার কর অঞ্চল, মাঝের টি সংখ্যা দ্বারা সেই করদাতার পদমর্যাদা এবং বাকি চারটি সংখ্যা দ্বারা করদাতার পরিচিতি চিহ্নিত করা হয়। টিন করা মানেই আপনাকে কর দিতে হবে এমনটি নয় তবে রিটার্ণ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আপনার আয় করসীমার মধ্যে করসীমার মধ্যে আসলেই আপনাকে কর পরিশোধ করতে হবে। তবে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বা যে কোন পরিষেবা গ্রহণ বা নাগরিক সুবিধা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আপনাকে রিটার্ণ দাখিলের প্রমানপত্র দাখিল করতে হবে। আপনার অর্জিত টাকা ব্যাংকে রাখতে, সঞ্চয়পত্র কিনতে বা জমি, ফ্ল্যাট কিনতেও আপনাকে রিটার্ণ বা আয়কর দিয়েছেন এমন প্রমাণক হিসেবে রিটার্ণ দাখিলের রশিদ প্রদর্শন করতে হবে। সঞ্চয়পত্র আয়কর রিটার্ন ফরম নমুনা । How to Prepare return Form 2022
TIN সার্টিফিকেট করতে আয়কর অফিসে যেতে হয়না। শুধুমাত্র আপনার মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র (NID Card) দিয়েই ই টিন করতে পারবেন। আপনি নিজে আপনার স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেই টিআইএন সার্টিফিকেট করে নিতে পারেন। অথবা পরিচিত কারও সাথে যোগাযোগ করলেও করে দিবে অথবা আপনি কোন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে ১০০ টাকা পারিশ্রমিক দিয়ে টিআইএন সার্টিফিকেট করে নিতে পারবেন।
সরকারি কর্মচারী হলে ১৬০০০ টাকা বা আয় না থাকলেও যদি আপনি টিআইএন সার্টিফিকেট করে থাকেন বা পূর্বে আয় ছিল এখন নাই তবুও আপনাকে শুন্য রিটার্ণ দাখিল করতে হবে। অর্থাৎ ভুল করেও যদি আপনি টিআইএন করে থাকেন তবে আপনাকে জিরো রিটার্ণ বা শূন্য বিবরণী জমা দিতে হবে।
Tin certificate download / টিন সার্টিফিকেট করার নিয়ম ২০২৩
আপনার যদি পূর্বেই টিআইএন সার্টিফিকেট করা থাকে তবে আপনি ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগিন করে View TIN Certificate মেন্যুতে ক্লিক করে টিআইএন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন।
E tin certificate download by NID number / এনআইডি নম্বর এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড রিকোভার করা যায় তাই আপনি চাইলেই টিআইএন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন।
ই টিন রেজিস্ট্রেশন বাব লগিনের মাধ্যমে ই টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করুন। e-tin certificate download bd
- প্রথমে https://secure.incometax.gov.bd/Registration/Login লিংকে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ফর্ম পূরণ করুন অথবা পূর্বেই যদি টিন করা থাকে তবে আপনি ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করুন।
- Click View TIN Certificate
- Click Print Certificate
- or Save Certificate
- or Email Certificate
- Print Certificate ক্লিক করলে Save as pdf সিলেক্ট করে কম্পিউটার বা মোবাইলে সফটকপি সেইভ করে রাখতে পারবেন।
- প্রিন্টার সিলেক্ট করে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
বার্ষিক কত টাকা আয় হলে আয়কর দিতে হবে??
টিন থাকলেই আপনাকে কর দিতে হবে না। তবে আপনাকে শুধুমাত্র আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। জিরো রিটার্ণ দাখিল মানে সম্পদের হিসাব ও ন্যূনতম আয়ের বিবরণ দাখিল করতে হবে। একজন পুরুষের বাৎসরিক আয় ০৩ লাখ, সব বয়সের নারী এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিকের বাৎসরিক আয় সাড়ে ০৩ লাখ এবং প্রতিবন্ধীদের বাৎসরিক সাড়ে ০৪ লাখ টাকার ওপরে আয় হলে আয়কর দেওয়া বাধ্যতামূলক। উপজেলা লেবেলে সর্বনিম্ন আয়কর ৩০০০ টাকা দিতে হয়। পৌরসভার ক্ষেত্রে ৪ হাজার টাকা এবং ঢাকা শহরের ক্ষেত্রে ৫০০০ টাকা দিতে হয়। বার্ষিক সর্বনিম্ন কত টাকা আয় করলে আয়কর দিতে হয়?
কেন আপনি ই টিআইএন সার্টিফিকেট করবেন?
শুধু ব্যবসা বা চাকরী নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের বাধ্যতামূলকভাবে (TIN Certificate) টিন সার্টিফিকেট তৈরি করার প্রয়োজন হয়। ব্যবসা শুরু করতে ট্রেড লাইসেন্স নিতে অথবা গাড়ির মালিক হতে অথবা সিটি করপোরেশনের অঞ্চলে থাকা কোনো জমি, ফ্ল্যাট বা ভবন রেজিস্ট্রেশন করতে অথবা ক্রেডিট কার্ড পেতে অথবা সঞ্চয়পত্র কিনতে কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনতে অথবা নিজের কোম্পানি নিবন্ধন করতে অথবা কোনো পণ্য আমদানির লাইসেন্স নিতে মুক্ত পেশাজীবী যেমন হিসাবরক্ষক অথবা আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলীদের পেশার চর্চা করতে অথবা নির্বাচনে প্রার্থী হতে অথবা ব্যবসায়িক সমিতি বা কোনো নিবন্ধিত সংগঠনের সদস্য হতে অথবা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার দরপত্রে অংশ নিতে অথবা রাইড শেয়ারিং কোম্পানিতে গাড়ি দিতে টিআইএন প্রয়োজন পড়বে। এখন শুধু টিআইএন নয় রিটার্ণ দাখিলের রশিদও প্রয়োজন পড়বে।
টিন সার্টিফিকেটের সুবিধাসমূহ ও অসুবিধাসমূহ কি?
(TIN Certificate) টিন সার্টিফিকেটের প্রথম সুবিধা হলো, আপনি দেশের একজন গর্বিত করদাতা হিসেবে নিবন্ধিত হবেন। আপনার আয়কর দিয়ে দেশ চলবে। এছাড়া টিআইএন থাকার আরো কিছু ব্যক্তিগত সুবিধা রয়েছে যেমন, সঞ্চয়পত্র এবং ব্যাংকে আপনার জমাকৃত অর্থের আয় থেকে ১০% কর কর্তন করা হবে। যদি টিআইএন না থাকে ১৫% কর্তন করা হবে। ব্যাংক ঋণ বা ক্রেডিট কার্ড নিতে টিন সার্টিফিকেট থাকতে হবে। বিভিন্ন সময় সরকার বিভিন্ন পেশাজীবি বা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দেয়। এসব সুবিধা নিতেও টিআইএন প্রয়োজন হয়। টিন সার্টিফিকেট এর অসুবিধা টিন সার্টিফিকের একটিই অসুবিধা তা হচ্ছে, আপনার করযোগ্য আয় থাক বা না থাক, আপনাকে প্রতি বছর অবশ্যই ট্যাক্স রিটার্ণ দাখিল করতে হবে। যদি রিটান জমা না দিলে আপনার ইনকাম কালো টাকা হিসাবে গণ্য হবে। যদি পর পর ৩ বছর আপনার করযোগ্য আয় শুন্য হয় বা আপনার বাৎসরিক আয় করসীমার মধ্যে না আসে, আপনি ৪র্থ বার থেকে রিটার্ণ না দিলে চলবে। তাছাড়া আপনি আপনার আয়কর নিবন্ধন বাতিলের জন্য অবেদন করতে পারবেন। শুধু টিআইএন নয় এখন রিটার্ণ দাখিলের রশিদও সব ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়বে। E tin User ID recovery । হারানো টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার নিয়ম ২০২২
অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট বের করার নিয়ম কি?
আসুন সংক্ষেত্রে জেনে নিই TIN সার্টিফিকেট কিভাবে বের করতে হয়- আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট ফরম পূরণ করে নিজের ই টিন সার্টিফিকেট তৈরী ও ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া আপনার যদি পূর্বের টিন থাকে তা দিয়েও নতুন ই-টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন।
ধাপ ১- একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন- টিআইএন করার জন্য ভিজিট করুন- secure.incometax.gov.bd এটি এনবিআর এর ই টিন রেজিস্ট্রেশন ওয়েবসাইট। মেন্যু থেকে Register লিংকে ক্লিক করুন। রেজিস্ট্রেশন ফর্মটি পূরণ করুন। একাউন্টটি ভবিষ্যতে আপনার কর অঞ্চল পরিবর্তন, ঠিকানা পরিবর্তন বা টিন সার্টিফিকেট সংশোধনের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। তাই, একাউন্টের ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড আপনার মনে রাখতে হবে বা একটি নোট খাতায় লিখে রাখুন। ইউজারনেইমটি ইউনিক রাখার জন্য নাম এবং সংখ্যার মিশ্রণে দিতে পারেন। পাসওয়ার্ড ও নাম ও সংখ্যার মিশ্রণে দিবেন এবং এটি যেন কমপক্ষে ৮ ক্যারেক্টারের হয়। মোবাইল ভেরিফিকেশনের জন্য, আপনার মোবাইলে একটি Activation Code পাঠানো হবে। একাউন্ট সচল (Activiated) করার জন্য এটি প্রয়োজন হবে। তাই আপনার ব্যবহৃত এবং চালু আছে এমন একটি নম্বর এখানে ব্যবহার করবেন। সঠিকভাবে ফর্মটি পূরন করা শেষে Register বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ২- এক্টিভেশন কোড ভেরিফিকেশন- এরপর আপনার দেয়া মোবাইল নম্বরে একটি ৬ ডিজিটের Activation Code পাঠানো হবে। কোডটি দিয়ে আপনার একাউন্ট সচল (Activiated) করুন।
ধাপ ৩- টিন সার্টিফিকেট আবেদন ফর্ম পূরণ | টিন সার্টিফিকেট তৈরী একাউন্ট চালু হওয়ার পর, পুনরায় লগ ইন করুন। লগইন করার পর উপরের মত একটি পেইজ দেখবেন। এখানে বাম পাশের উপর থেকে, Tin Application অপশনে ক্লিক করুন।এখানে করদাতার ধরণ (Taxpayer’s Status) বাছাই করবেন। যদি বাংলাদেশের নাগরিক হন, a) অপশনে Individual Bangladeshi সিলেক্ট করুন। অন্যান্য ক্ষেত্রে আপনার ধরণ অনুযায়ী একটি অপশন বাছাই করুন। অপশনে, আপনার বয়স ১৮ এর উর্দ্ধে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে, Having NID অপশন বাছাই করুন। যদি, বয়স ১৮ এর নিচে হয়, Minor/ Dependent অপশন বাছাই করুন। এরপর আপনার আয়ের প্রধান উৎস নির্বাচন করতে হবে। চাকরিজীবিদের ক্ষেত্রে Service, পেশাজীবি যেমন ডাক্তার, প্রকৌশলী, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট ইত্যাদি হলে Profession, ব্যবসা হলে Business নির্বাচন করুন। এরপর আপনার চাকরী, পেশা বা ব্যবসার ধরণ বাছাই করুন। Business Type বা Profession Type অপশনে যদি আপনার ব্যবসা বা পেশার ধরণ খুঁজে না পান, Business Location বাছাই করবেন। Location এর ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসায়ের অবস্থান অনুসারে এলাকাটি বাছাই করুন। তারপর নিচের Go to Next বাটনে ক্লিক করে পরে ধাপে যান। পরের পেইজে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও ঠিকানা চাওয়া হবে। অবশ্যই তথ্যগুলো ইংরেজিতে পূরণ করবেন। (Must write in English)। আপনার নাম, লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (১৭ ডিজিট) বা স্মার্ট কার্ড নম্বর (১০ ডিজিট) ও জন্মতারিখ যেন অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী হয়। আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ইংরেজিতে লিখুন। ঠিকানা লিখার পর, Go to Next বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৪- এখানে আপনার Smart NID Card বা NID Card অনুসারে আপনার দেয়া তথ্য যাচাই করা করে সকল তথ্য দেখানো হবে। “I hereby affirm that all information given above is correct and complete and I have not taken any TIN” এই লেখার পাশে টিক দিন এবং Submit Application বাটনে ক্লিক করুন। আপনার টিন সার্টিফিকেট তৈরী হয়ে যাবে এবং আপনাকে এর সকল তথ্য দেখানো হবে। পরের পেইজ থেকে View Certificate ও তারপর Save Certificate বাটন ক্লিক করে e Tin Certificate PDF ফাইলটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
TIN সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার পদ্ধতি ভিডিওতে দেখুন………………