Shishu Shikkha Modonmohon pdf Download । বাল্যকালের শিশু শিক্ষা বইটির কথা মনে পড়ে?

আপনার ছোট বেলায় পড়া  শিশু শিক্ষা বইটি আপনার সন্তানও পড়ুক যদি এমনটি চান তবে আপনি বইটি ডাউনলোড করে মোবাইলে রাখুন-Shishu Shikkha Modonmohon pdf Download

সন্তানকে যে সকল প্রশ্নের উত্তর শেখাবেন–তুমি কি লোক ? তোমার নাম কি ? তোমার বাড়ী কোথায়? তুমি কি পড় ? তোমার হাতে কি পুথি ? আমি বামন। আমার নাম রমানাথ। আমার বাড়ী বালী। আমি য-ফলা পড়ি। আমার হাতে শিশুশিক্ষা। তুমি কি করিতেছ? আজ পড়িতে যাইবে না? বসিয়া আছ কেন ? কি ভাবিতেছ ? তুমি কি ভয় পাইয়াছ ? আমার সহিত আইস। আমার কাছে কে কি বলিতে পারিবে ? অলস হইও না। খেলা করিও না। বেলা হইল। পড়িতে চল। গৌণ কর কেন ? কাপড় পড়। পুথি লও। পাঠশালায় চল। তোমার পুথির মলাট কোথায় গেল ? গুরুমহাশয় দেখিলে রাগ করিবেন। ভোর হইয়াছে। আর শুইয়া থাকিও না। এখন মুখ ধোও। ঘরের ভিতর আলো আসিয়াছে।

পাঠের পুথি হাতে লও। আগে নূতন পাঠ শিক্ষা কর, পরে পুরাতন পাঠ একবার দেখ। পাঠের সময় ভাল বলিতে না পারিলে সহপাঠীরা উপহাস করিবে। গুরুমহাশয় ভালবাসিবেন না। কমল ফুল ফুটিতেছে। ভাল সৌরভ আসিতেছে। ঘরে জল পড়িতেছে। বিছানা ভিজিয়া গেল। তিনি ভোজন করিতেছেন, এখন দেখা হইবে না। তাহার পীড়া হইয়াছে, আমি দেখিতে যাইব। পায়ে বেদনা হইয়াছে, চলিতে পারিব না। বড় মাথা ধরিয়াছে, কথা কহিতে পারিব না। পিতামাতার কথা শুনিবে। সদা মন দিয়া পড়িবে। তাহা . হইলে শেষে খুব সুখে থাকিবে। যাহার মলিন বেশ, তাহার আদর নাই। অধিক আহার করিলে রোগ হয়। অলস লোক দুঃখ পায়। দয়ার সমান গুণ নাই। দীন দেখিয়া দান করিবে। চিৎকার করিয়া কথা কহিও না।

নীতি শিক্ষা কেমন হওয়া উচিৎ? পাঠের সময় গোল করিও না। গুরুজন লোকের নাম ধরিয়া ডাকিও না। ক্ষুধিত জনে ভোজন করাইবে। কাহারও সহিত বিবাদ করা ভাল নয়। কাহারও গায়ে হাত তুলিও না। সুশীল বালককে সকলে ভালবাসে। কদাচ মিছা কথা কহিও না। কাহারও কিছু চুরি করিও না। কাহারও কথায় শপথ করিও না। পিতামাতার সেবা করিবে। তাঁহারা যাহা কহিবেন, তাহাই করিবে। গুরুজন লোকের উপদেশ অবহেলা করিও না। যাহারা তোমার সহপাঠী; তাহাদের সহিত কখনও কলহ করিও না। কাহাকেও কটূ কথা কহিও না। সকলকেই ভালবাসিবে ও ভাল কথা কহিবে। যে জন যে কথায় মনে পীড়া পায়, কখনও তাহাকে তেমন কথা কহিবে না। কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না, তাহা বলিলে তাহারা মনে দুঃখ পাইবে। পড়িবার সময়ে আর কোনও দিকে মন দিও না। যিনি তোমাকে শিক্ষা দেন, সাবধানে তাঁহার কথা মনে রাখিবে। তিনি যে বিষয়ে নিষেধ করেন, কদাচ তাহা করিও না। মেঘ হইতে জলধারা পড়িতেছে। এখন ঘরের বাহিরে যাইব না। আমার গা ও পা ভিজিয়া যাইবে, শীত করিবে, অবশেষে কফ, কাশি হইয়া বড় পীড়া হইবে। মেঘের ভিতর হইতে মাঝে মাঝে আলো বাহির হইয়া আমার চক্ষে লাগিতেছে, জানালার কপাট দেই।

আগের শিশু শিক্ষা বই কেমন ছিল / এখন তো পড়া আর পড়া। আগের বইয়ে পড়া কম ছিল কিন্তু যা ছিল তা খুবই কার্যকরী ও শিক্ষণীয় ছিল

মানুষের দুই পাটি দাঁত। দাঁত দিয়া কঠিন ফল, মাছ, মাংস চিবান যায়। আমাদের জিব, তালু, দাঁত, ঠোঁট আছে, তাই কথা কহিতে পারি। যে কথা কহিতে না পারে, লোকে তাহাকে বোবা বলে। মানুষের দুই চক্ষু। চক্ষু দিয়া সকল বস্তু দেখিতে পাওয়া যায়। যাহার চক্ষু নাই, সে কিছুই দেখিতে পায় না। আহা! কানা বড় দুঃখী। তোমার দুইটি কান আছে। কান না থাকিলে কাহারও কথা শুনিতে পাইতে না। কালারা কিছুই শুনিতে পায় না। নাক দিয়া বাহিরের বাতাস টানিয়া লওয়া যায় এবং ভিতরের বাতাস বাহির করা যায়, তাহাতেই জীবন রক্ষা হয়। যাহার নাক নাই, সে ফুলের বাস পায় না ও তাহাকে অতি কদাকার দেখায়। মানুষের দুই ভুরু। ভুরু চক্ষুর শোভা। ভুরু থাকাতে চক্ষে রোদ লাগে না এবং পথের ধূলা ও কপালের ঘাম চক্ষে পড়িতে পারে না। সকলের মাথায় চুল আছে। চুল না থাকিলে মাথার শোভা হয় না। চুল থাকাতে মাথায় রোদ ও হিম কম লাগে। যাহার চুল নাই, তাহাকে নেড়া কহে। – এক এক হাতে পাঁচ পাঁচ আঙ্গুল আছে। আঙ্গুল না থাকিলে হাত দিয়া কিছুই ধরা যাইত না। দুই পায়ে দশ আঙ্গুল। পায়ে আঙ্গুল না থাকিলে চলা কঠিন হইত। দুই চক্ষে চারি পাতা আছে। ঐ পাতা থাকায় চক্ষুর ভিতর ধূলা, কুটা, পোকা পড়িতে পারে না এবং রবির তাপ ও আলো লাগিয়া চক্ষুর কোনও দোষ ঘটে না।

Shishu Shikkha

Caption: Shishu Shikkha Modan Mohon pdf Download Link

শিশু শিক্ষা । যে কবিতা আমরা ছোট বেলায় পড়েছি

  1. পাখী সব করে রব রাতি পোহাইল ৷
  2. কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল ৷
  3. রাখাল গরুর পাল লয়ে যায় মাঠে।
  4. শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে ৷৷
  5. ফুটিল মালতী ফুল সৌরভ ছুটিল।
  6. পরিমল লোভে অলি আসিয়া জুটিল ৷
  7. গগনে উঠিল রবি লোহিত বরণ ।
  8. আলোক পাইয়া লোক পুলকিত মন ৷৷
  9. শীতল বাতাস বয় জুড়ায় শরীর।
  10. পাতায় পাতায় পড়ে নিশির শিশির ৷৷
  11. উঠ শিশু মুখ ধোও পর নিজ বেশ
  12. আপন পাঠেতে মন করহ নিবেশ ৷৷

গল্প শোনা ও পড়ার অভ্যাস গড়া কতটা জরুরি?

উঃ! মেঘের ডাকে কান ফাটিয়া যায়। আলো বাহির হইতেছে। আবার বুঝি মেঘ ডাকে, চক্ষু বুজিয়া থাকি, কান ঢাকিয়া রাখি এবং মাঝের কুঠরিতে গিয়া বসি। আঃ ! জল ছাড়িল, আপদ গেল । মেঘের ডাকে এখনই মরিয়া গিয়াছিলাম। দশ দিক। সাত বার। দুই পক্ষ। বার মাস। ছয় ঋতু। পনর তিথি। পৃথিবী গোলাকার। রবি তেজোময় ও গোলাকার। সাগরের জল লোনা। নিশাকর গোলাকার, নিজে তেজোময় নহে। পাহাড় সকল পাষাণময় এবং ভূতল হইতে অনেক উচ্চে। নদ-নদী সকল পাহাড় হইতে বাহির হইয়া উচ্চ দেশ হইতে নীচ গণে বহিয়া যাইতেছে এবং সকলেই সাগরের জলে মিশিতেছে, যেমন, ভাগীরথী নদী হিমালয় হইতে বাহির হইয়া দক্ষিণে ভারত মহাসাগরে পড়িতেছে। মানুষের দুই পা। যাহার পা আছে, সে চলিতে পারে। যাহার পা বিকল, সে খোঁড়া। আমাদের দুই হাত। হাত দিয়া সকল কাজ করা যায়। যাহার হাত নাই, সে কিছুই করিতে পারে না। তাহাকে নুলো বলে। সকলেরই এক মুখ। মুখ দিয়া আহার করা যায়। আহার না করিলে কেহই বাঁচিতে পারে না। মুখের ভিতর যে জিব আছে, তাহাতেই সকল রস টের পাওয়া যায়। জিব না থাকিলে লবণ, মধুর, ঝাল, টক, তিত, কষা আদৌ বোধ হইত না। সকলেরই দুই ঠোঁট। ঠোঁট থাকাতে দুধ, জল আদি চুমুক দিয়া খাইতে পারা যায়। ঠোঁট না থাকিলে মুখ হইতে আহার পড়িয়া যাইত।

admin

আলামিন মিয়া, একজন ব্লগার, ডিজিটাল মার্কেটার, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার। ব্লগিংকরছি প্রায় ৭ বছর যাবৎ। বিভিন্ন অনলাইন সেবা হাতের কাছে পেতে নির্দেশনা ও পদ্ধতি গুলো ব্যাখ্যা করা হয় যা আপনি খুব সহজেই এই ওয়েবসাইট হতে পেতে পারেন। যদি অতিরিক্ত কোন তথ্য প্রয়োজন হয় বা পরামর্শ থাকে তবে মেইল করুন admin@tricksboss.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *