Total Voter in Tangail । কুমুল্লী নামদার ভোটার সংখ্যা কত?
বাংলাদেশের ২০১৮ জাতীয় নির্বাচন অনুসারে টাঙ্গাইলে মোট ভোটার সংখ্যা ৩,৮০,৩৮০ জন মাত্র – Total Voter in Tangail
করটিয়া ইউনিয়নের ভোটার সংখ্যা কত?– করটিয়া জমিদারি টাঙ্গাইল জেলার একটি প্রাচীন জমিদার পরিবার। এ জমিদারির পন্নী পরিবারের সাদত আলী খান পন্নী সতেরো শতকের প্রথমদিকে করটিয়াতে বসবাস শুরু করলে তারা করটিয়ার জমিদার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। উনিশ শতকের প্রথম দিকে সাদত আলী খান পন্নী সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে নানা মামলায় জড়িয়ে পড়েন। ঢাকার জমিদার খাজা আলীমুল্লাহর সহায়তায় তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার করেন, কিন্তু শর্ত ভঙ্গের কারণে পাল্টা মামলা করে খাজা আলিমুল্লাহ ভোগ-স্বত্বের ডিক্রি লাভ করেন। তখন সাদত আলী খান সম্পত্তি রক্ষার জন্য স্ত্রী জমরুদুন্নেসা খানমের নামে তা দানপত্র করে দেন। পরে অবশ্য উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষ মীমাংসা হয়। সাদত আলী খান সম্পত্তির ৭ আনা অংশ খাজা আলিমুল্লাহকে ছেড়ে দেন।
অতঃপর বাংলা ১২২৭ সনের ৯ পৌষ সাদত আলী খান এবং তাঁর স্ত্রী জমরুদুন্নেসা খানম যৌথভাবে একটি দলিল করেন। এতে সমস্ত সম্পত্তি দুটি ভাগে বিভক্ত করে এক ভাগ পরিবারের ব্যয় ও অন্য ভাগ ওয়াকফ্ করে ধর্মীয় ও দাতব্য কাজে ব্যয় করার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়। ওয়াকফ্ সম্পত্তি দেখাশুনা করার জন্য মুতাওয়াল্লী নিয়োগের বিধান রাখা হয়। সাদত আলী খান পন্নীর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র হাফেজ মাহমুদ আলী খান পন্নী মুতাওয়াল্লী ছিলেন। মাহমুদ আলী খান পন্নীর মৃত্যুর (১৮৯৬) পর মুতাওয়াল্লী কে হবেন এ নিয়ে তাঁর পুত্র ওয়াজেদ আলী খান পন্নী (চাঁদ মিয়া) এবং পিতামহী জমরুদুন্নেসা খানমের মধ্যে বিবাদ ও মামলা মোকদ্দমা সংঘটিত হয়। পরিশেষে ওয়াজেদ আলী খান পন্নী জয়ী হন এবং দক্ষতার সঙ্গে জমিদারি পরিচালনা করেন। করটিয়া ইউনিয়নে ৩৪০১৮ জন ভোটার রয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত যা ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ১৯৬৯ সালে, টাঙ্গাইল মহকুমা তার ৯৭৫ বর্গকিলোমিটার এবং ময়মনসিংহ সদর মহকুমা থেকে ২৪৩৯ বর্গকিলোমিটার জমি থেকে টাঙ্গাইল জেলা তৈরি করে। উপজেলার সংখ্যানুসারে টাঙ্গাইল বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।[২] এর জনসংখ্যা প্রায় ৩৮ লক্ষ এবং আয়তন ৩৪১৪.৩৫ বর্গ কিলোমিটার। টাঙ্গাইল আয়তনের ভিত্তিতে ঢাকা বিভাগের সর্ববৃহৎ এবং জনসংখ্যার ভিত্তিতে ২য় সর্ববৃহৎ জেলা।
টাঙ্গাই জেলা ভোটার সংখ্যা, কেন্দ্র, ইউনিয়ন ও ভোটার সংখ্যা / টাঙ্গাইলের মোট ভোটার সংখ্যা কত দেখুন
১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দ অবধি টাঙ্গাইল ছিল অবিভক্ত ময়মনসিংহ জেলার একটি মহকুমা; ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে টাঙ্গাইল মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। এটি একটি নদী বিধৌত কৃষিপ্রধান অঞ্চল। এই জেলা যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এবং এর মাঝ দিয়ে লৌহজং নদী প্রবহমান।
Caption: Total Voter in Tangail District
টাঙ্গাইল জেলায় মোট উপজেলার সংখ্যা ১২ টি এবং মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১১৮ টি।
- টাঙ্গাইল সদর উপজেলা-টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১২ টি। করটিয়া, ঘারিন্দা, গালা, পোড়াবাড়ী, সিলিমপুর, কাকুয়া, কাতুলী, মগড়া, মাহামুদনগর, হুগড়া, দাইন্যা এবং বাঘিল।
- কালিহাতি উপজেলা- কালিহাতি উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১৩ টি। কোকডহড়া, গোহালিয়াবাড়ী, দশকিয়া, দুর্গাপুর, নাগবাড়ী, নারান্দিয়া, পাইকড়া, পারখি, বল্লা, বাংড়া, বীরবাসিন্দা, সল্লা, সহদেবপুর।
- ঘাটাইল উপজেলা- ঘাটাইল উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১৪ টি। দেউলাবাড়ী, ঘাটাইল, জামুরিয়া, দিগড়, দিঘলকান্দি, আনেহলা, দেওপাড়া, ধলাপাড়া, সন্ধানপুর, লোকেরপাড়া এবং রসুলপুর,সংগ্রামপুর ইউনিয়ন,লক্ষিন্দর ইউনিয়ন,সাগরদিঘী ইউনিয়ন।
- বাসাইল উপজেলা- বাসাইল উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৬ টি। কাউলজানী, কাঞ্চনপুর, কাশিল, ফুলকী, বাসাইল এবং হাবলা।
- গোপালপুর উপজেলা- গোপালপুর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৭ টি। হাদিরা, নগদাশিমলা, ঝাওয়াইল, হেমনগর, আলমনগর, মির্জাপুর এবং ধোপাকান্দি।
- মির্জাপুর উপজেলা- মির্জাপুর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১৪ টি। মহেড়া, ফতেপুর, জামুর্কী, বানাইল, আনাইতারা, ভাতগ্রাম, ওয়ার্শী, বহুরিয়া, গোড়াই, তরফপুর, আজগানা, বাঁশতৈল, লতিফপুর, ভাওড়া।
- ভূঞাপুর উপজেলা- ভূঞাপুর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৬ টি। ফলদা, অর্জুনা, গাবসারা, গোবিন্দাসী, অলোয়া, নিকরাইল।
- নাগরপুর উপজেলা- নাগরপুর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১২ টি। নাগরপুর, ভাররা, সহবতপুর, গয়হাটা, বেকড়া, সলিমাবাদ, ধুবরিয়া, ভাদ্রা, দপ্তিয়র, মামুদনগর, পাকুটিয়া এবং মোকনা।
- মধুপুর উপজেলা- মধুপুর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৬ টি। আলোকদিয়া, আরণখোলা, আউশনাড়া, গোলাবাড়ী, মির্জাবাড়ী, শোলাকুড়ি।
- সখিপুর উপজেলা- সখিপুর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৮ টি। কাকড়াজান, বহুরিয়া, কালিয়া, গজারিয়া, দাড়িয়াপুর, বহেড়াতৈল, যাদবপুর এবং হাতীবান্ধা।
- দেলদুয়ার উপজেলা-দেলদুয়ার উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৮ টি। আটিয়া, ডুবাইল, ফাজিলহাটি, পাথরাইল, লাউহা্টী, দেলদুয়ার, দেউলী এবং এলাসিন।
- ধনবাড়ী উপজেলা- ধনবাড়ী উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৭ টি। বীরতারা, বানিয়াজান, পাইস্কা, ধোপাখালী, যদুনাথপুর, মুশুদ্দি এবং বলিভদ্র।
টাঙ্গাইলে ঐতিহ্য কি?
বাংলার চির পরিচিত লোক-সংস্কৃতি নিয়ে টাঙ্গাইল একটি ঐতিহ্যবাহী জনপদ। টাঙ্গাইলের তৈরি চমচম মিষ্টি আর তাঁতের শাড়ি ছিল উপমহাদেশ খ্যাত। বাংলাদেশের লোক ঐতিহ্যের অংশ মাটির মৃৎপাত্রের ফলক আর নকশী কাঁথা এখানেই বিকাশ লাভ করে। এছাড়াও কয়েকটি মুসলিম ঐতিহ্য তার মধ্যে আটিয়ার মসজিদ, ধনবাড়ির মসজিদ ও মাজার, কদিম হামজানির মসজিদ, খামার পাড়ার মসজিদ ও মাজার প্রভৃতি। উপজাতির ঐতিহ্যও রয়েছে গারোদের ওয়ানগালার যা বেশ পরিচিত।
হিন্দু ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে গুপ্ত বৃন্দাবন, পাকুটিয়ার সৎসঙ্গ আশ্রম, বারো তীর্থ, আনন্দ মঠ ইত্যাদি। পাল, সেন আমলে প্রাচীন সভ্যতার ঐতিহ্য টাঙ্গাইল অঞ্চলে লুকায়িত রয়েছে। যেমন কালীদাস গ্রামে কালিদাস পন্ডিতের পুকুর। আর বায়ান্ন খাদা জমি নিয়ে রাধাকৃষ্ণ গোপিনীদের লীলা ভূমি গুপ্ত বৃন্দাবন। এখনো সাদৃশ্য ঐতিহ্যবাহী তমাল গাছ আর কাঠের যুগল রাধা-কৃষ্ণের মূর্তি। পাশেই প্রাচীন পুকুর। প্রবাহিত র্ঝনা ধারার পাশে এখনো বিরাট পাথরের স্ত্তপ জেগে আছে। কৃষ্ণ বিরহে আজও বিরহী রাধার আকুতি প্রতিধ্বনিত হয় এই গুপ্ত বৃন্দাবনে। তাছাড়া কালিয়া, মহানন্দপুর, কীর্ত্তন খোলা, প্রতিমা বংশী, দাড়িয়াপুর, শহর গোপিনাথপুর, রতনগঞ্জ, বেহুলা, লক্ষ্ণিদর, গড় গোবিন্দপুর প্রভৃতি স্থানগুলো ঐতিহ্যের শিরোনাম। ভাওয়ালের অরণ্যে শিশুপালের বিশাল দিঘি ও বিরাট রাজধানীর ভগ্ন কাঠামো পাওয়া যায়। মধুপুর ভগদত্তের গৃহভগ্নাবশেষে, পুষ্করিণী- ‘বারতীর্থ দিঘি, দেবলায়, মদন গোপালের বাড়ি প্রভৃতির চিহ্ন এখনও বিদ্যমান আছে। ভগদত্তের প্রতিষ্ঠিত ‘বারতীর্থ’ক্ষেত্র এখনও প্রতিবৎসর বৈশাখ মাসে ‘মেলা’হয়ে থাকে। প্রবাদ এই যে, রাজা ভগদত্ত স্বীয় পুণ্যশীলা জননীর আজ্ঞামতে বারতীর্থের পূণ্যোদক আনিয়া নিজ রাজধানীকে ‘বারতীর্থাশ্রম’করে ছিলেন। সেই ‘বারতীর্থাশ্রমের’পুণ্যনাম আজও তিরোহিত হয়নি।