ঈদুল আজহার কি? ঈদুল আজহার নামাজ পড়ার নিয়ত ও নিয়ম কি কি এবং pdf
ঈদুল আজহার নামাজ পড়ার নিয়ত ও নিয়ম গুলো হল
ঈদুল আজহার কি?
ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ। ত্যাগ ও উৎসর্গের ঈদ কুরবানি। প্রতিবছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ এ ঈদ পালিত হয়।
হজের মাসে আত্মত্যাগের এ ঈদ মুসলিম উম্মাহর সব ধরনের পশুত্বকে নির্মূল করে। কুরবানির ঈদের নামাজ সকাল সকাল আদায় করা হয়। ঈদের নামাজের পরই আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে পশু কুরবানি করতে হয়।
ঈদুল আজহার নিয়ত
নাওয়াইতুয়ান উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাতাই ছালাতিল ঈদিল আদহা, মা আ ছিত্তাতিহি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তা’য়ালা, ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমাম, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
ঈদুল আজহার নামাজ পড়ার নিয়ত ও নিয়ম PDF
ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম
ইমাম নামাজ শুরুর তাকবীর দিলে,
আপনি কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে নাভির নিচে হাত বাঁধবেন। অতপর ছানা অর্থাৎ ছোবহানাকা চুপেচুপে পাঠ করবেন।
অতঃপর ইমাম তিনটি তাকবীর দিবেন, আপনিও ইমামের সাথে কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে তাকবীর দিবেন, তবে প্রথম দুটি তাকবীরে হাত ঝুলিয়ে রাখবেন, তৃতীয় তাকবীরটি দিয়ে হাত বাঁধবেন। অতপর ইমাম সুরা ফাতেহা ও অন্য একটি সুরা মিলিয়ে পড়বেন এবং আপনি তা শ্রবণ করবেন। সুরা পাঠ শেষে ইমাম যথানিয়মে রুকু সিজদা করে প্রথম রাকাআত শেষ করে দ্বিতীয় রাকাআতে দাঁড়বেন এবং আবার সুরা ফাতেহা ও অন্য একটি সুরা মিলিয়ে পড়বেন, অতঃপর আবার তিনটি তাকবীর দিবেন, আপনিও ইমামের সাথে কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে তিনটি তাকবীর দিবেন, তবে প্রতি তাকবীর শেষে হাত না বেঁধে ঝুলিয়ে রাখবেন এবং চতুর্থ তাকবীরে হাত না উঠিয়ে রুকুতে চলে যাবেন। তারপর যথানিয়মে রুকু সিজদা আদায় করে দ্বিতীয় রাকাআত শেষ করে ইমামের সাথে সালাম ফিরাবেন। মুসলিম উম্মাহর সুবিধার্থে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো
ঈদের নামাজ ২ রাকাআত। যা আদায় করা ওয়াজিব এবং জামাআতে আদায় করতে হয়।
ঈদের ২ রাকাআত নামাজে অতিরিক্ত ৬ তাকবির দিতে হয়।
প্রথম রাকাআত
আল্লাহ তাআলার উদ্দেশে কিবলামুখী হয়ে ঈদুল আজহার ২ রাকাআত ওয়াজিব নামাজ ৬ তাকবিরের সাথে ইমামে পেছনে আদায় করছি বলে নিয়ত বাঁধতে হয়। প্রথমেই তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বাঁধবেন। তবে নিয়্যতটা হচ্ছে মনে বিষয়, মনে জাস্ট এটুকু কথা থাকলেই হলো
ইমাম ও মুসল্লিরা নিয়ত বাঁধার পর ছানা অর্থাৎ এ দোয়াটি পড়বে
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা ঝাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুক।
তারপর ইমামের উচ্চস্বরে তাকবির বলার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিরাও তাকবির বলবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবির বলার সময় উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে ছেড়ে দেবেন। তৃতীয় তাকবিরের সময় উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে না ছেড়ে হাত বাঁধবেন।
এরপর ইমাম সাহেব সুরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা মিলিয়ে রুকু-সিজদা করবেন; মুসল্লিরাও ইমামের সঙ্গ রুকু-সিজদা করবেন।
দ্বিতীয় রাকাআত
ইমাম সাহেব দ্বিতীয় রাকাআতে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা মেলানোর পর রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত ৩ তাকবির প্রথম রাকাআতের মতোই আদায় করবেন। এরপর রুকু-সিজদা করার পর অন্যান্য নামাজের মতোই সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ শেষ করবেন
নামাজ শেষে কি কি শুনা ও জানা জরুরি
১. নামাজ শেষে ইমাম খুতবা দিবেন, আপনি মনযোগ সহকারে তা শ্রবণ করবেন এবং মোনাজাত শেষে বাড়ি ফিরবেন।
২. ঈদ নামাজে এক রাস্তায় ঈদগাহে যাবেন এবং অন্য রাস্তায় বাড়ি ফিরবেন,যা নবীজির সুন্নাত। আর যাওয়া এবং আসা উভয় সময়ে উচ্চ স্বরে তাকবীর পাঠ করবেন।
৩. নবীজি ঈদুল ফিতরে দিন মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে ঈদ নামাজে যেতেন আর ঈদুল আজহার দিনে নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু খেতেন না। আল্লাহ্ পাক নবীজির সুন্নাত তরীকায় জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন আমিন।