সর্বশেষ নিউজ

দালাল ছাড়া’ পাসপোর্ট করার নিয়ম । পাসপোর্ট করার সরকারি খরচ কত?

দালাল ছাড়াও পাসপোর্ট করা যায়-তাই পাসপোর্ট করতে অনলাইনে আবেদন করুন এবং নিয়ম অনুসারে ফি জমা দিন – দালাল ছাড়া’ পাসপোর্ট করার নিয়ম

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে? ই-পাসপোর্ট করতে গেলে সবার আগে যে জিনিস সবচেয়ে গুরত্বপুর্ন সেটা হল নতুন ই-পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজ লাগে সেটা জানা ও সেগুলো সংগ্রহ করা। বর্তমানে আবেদন প্রক্রিয়া আগের এমআরপি পাসপোর্ট এর চেয়ে কিছুটা সহজ। এখন আর আগের মত ই পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হয় না। এতে সত্যায়িত করার ঝামেলা কমে গেছে। চলুন দেখে নেই পাসপোর্ট বানাতে কি কি লাগে।

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ (নিম্নোক্ত বয়স অনুযায়ী)১৮ বছরের নিচে হলে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ।
  • ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ।
  • ২০ বছরের বেশি হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক।

এখন পাসপোর্ট করতে এই একটা ডকুমেন্টই আসল ও আবশ্যক। তবে আপনার পেশা, বৈবাহিক অবস্থা ও পাসপোর্ট অফিস ভেদে বেশ কিছু অতিরিক্ত কাগজ লাগতে পারে। পেশাগত প্রমাণ (যেমন ছাত্র হলে স্টুডেন্ট আইডি, জব হোল্ডার হলে জব আইডী, ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স, কৃষক হলে জমির খতিয়ান এসব), ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার, উকিল ও অন্যান্য পেশার লোকদের ক্ষেত্রে পেশাগত সনদ

পাসপোর্ট করার খরচ কত? সবার প্রথম প্রশ্ন পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে? তাই চলুন জেনে নেই ই-পাসপোর্ট এর খরচ কত! আবেদনের ধরন ও পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা সংখ্যার উপর ভিত্তি করে পাসপোর্ট ফি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। কমেন্ট বক্সের টেবিলে দেখে নিন পাসপোর্ট করার খরচ। ১৮ বছরের কম বয়সী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা শুধুমাত্র ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট পাবেন।

এখানে উল্লিখিত দিনে পাসপোর্ট পাওয়া নির্ভর করে সঠিক সময়ে পুলিশ ভেরিফিকেশন হওয়া ও সব তথ্য ঠিক থাকার উপর। কোন গরমিল হলে পাসপোর্ট পেতে দেরি হতে পারে। নতুন পাসপোর্ট আবেদনকারী অতি জরুই আবেদন করতে পারবেন না। অতি জরুরি আবেদন আপাতত শুধু যাদের আগের MRP পাসপোর্ট আছে তারা রিনিউ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এতে শর্ত হল স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে না। আর আবেদন দেশের যেকোন পাসপোর্ট অফিস থেকে করা গেলেও, পাসপোর্ট শুধুমাত্র ঢাকার আগারগাও অফিস থেকেই ডেলিভারি নেয়া যাবে।

পাসপোর্ট পাওয়ার ম্যাসেজের জন্য অপেক্ষা করুন। তবে আবেদনের পর থেকেই আমাদের মনে শুধু ঘুরতে থাকে একটা প্রশ্ন যে ‘পাসপোর্ট কবে পাব?’ আপনার পাসপোর্ট এর পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা চেক করার জন্য অনলাইনে মাঝে মাঝে ঢুকে আপনার পাসপোর্ট এখন কোন অবস্থায় আছে দেখুন।

এই লিঙ্কে গিয়ে https://www.epassport.gov.bd/authoriza…/application-status

কিছু সতর্কতা – আবেদন খুব সতর্কতার সাথে পুরন করতে হবে। কারণ একটু ভুল হলেই বলবে আবেদন ক্যানসেল করতে। আর আপনি নিজে নিজে সাইট থেকে আবেদন ক্যানসেল করতে পারবেন না। এর জন্য অফিসে আবেদন করলে কিছুদিন পর আবেদন ডিলিট হবে। তা হয়রানি এড়াতে সতর্কতার সাথে ফরম পুরন করুন। একটা NID বা BRC দিয়ে একবার আবেদন সাবমিট করে ফেললে সেটা ডিলিট না হওয়া পর্যন্ত ওই NID বা BRC দিয়ে আর আবেদন করতে পারবেন না। কোন তথ্য সংশোধন করতে হলে এফিডেবিট ও সংশোধন আবেদন করতে হবে। তারপরেও কয়েকমার Bcakened verification এ আটকে থাকবে। আপনাকে বার বার পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে তাগাদা দিতে হবে।

ফরম পুরন করার পর আপনি এখন দুই উপায়ে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারেন। দেখে নিন ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম। এখন আপনার আশেপাশে প্রায় অব ব্যাংকেই এ চলানের মাধ্যমে পাসপোর্টের টাকা জমা দিতে পারবেন। তবে সব ব্যাংক নাও নিতে পারে। তাই আগে জেনে নিন আপনার সুবিধাজনক কোন ব্যাংকে পাসপোর্ট ফি জমা নেয়। তারপর নিচের ডকুমেন্টস নিয়ে ফি জমা দিন। NID বা জন্ম নিবন্ধন সনদ (যেটা দিয়ে পাসপোর্ট এপ্লিকেশন করেছেন)
এপ্লিকেশন সামারি পেইজ আর ব্যাংকে একটা ফর্ম দিবে পুরন করতে।

পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ । যেভাবে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করবেন

  • পাসপোর্ট ফরম পুরন করার জন্য প্রথমেই এই লিংকে গিয়ে আপনার বর্তমান ঠিকানার জেলা ও পুলিশ স্টেশন সিলেক্ট করে ইমেইল ও ফোন নাম্বার দিয়ে রেজিস্টেশন করে নিন। এরপর ধাপে ধাপে খুব সতর্কতার সাথে আবেদন ফরম পুরন করুন। এখানে ফরম পুরন করার সময় এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন।
  • আপনার নামে যদি শুধু একটা অংশ থাকে তবে শুধু Surname অংশ পুরন করুন। একাধিক অংশ থাকলে Given name ও Surname উভয় অংশে ভাগ করে দিন পুরো নাম।
  • কোন অবস্থাতেই কোন নামে ডট (.), কমা (,), হাইফেন (-) দিবেন না। আপনার সার্টিফিকেট, NID বা জন্ম নিবন্ধন যেখানেই থাকুক না কেন। এটা না দিলে কোন সমস্যা হবে না। দিলেই বরং অনাকাংখিত ঝামেলা হতে পারে।
  • ই-পাসপোর্ট আবেদনের সময় শুধুমাত্র আপনার NID বা জন্ম নিবন্ধনে যেভাবে নাম আছে হুবুহ সেভাবেই (ডট বাদে) আবেদন করতে হবে। তাই দরকার হলে আপনাকে আগে আপনার NID বা জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করে নিতে হবে।
    ঠিকানা পুরনের সময় পূর্নাংগ ঠিকানা দিন। শহরের হোল্ডীং সহ ঠিকানা হলে City/Village/House ও Road/Block/Sector (optional) এই দুইটা ফিল্ডই ব্যবহার করুন। গ্রামে হলে শুধু City/Village/House এ গ্রামের নাম দিলেই হয়, Road/Block/Sector (optional) যেহেতু থাকে না তাই এটা অপশনাল।
  • স্থায়ী ঠিকানা ওইটাই দিবেন যেটাতে আপনার বা আপনার বাবার স্থায়ী ঠিকানা আছে। এর প্রমাণে পুলিশ ভেরিফিকেশনে জমি বা ফ্ল্যাটের দলিল লাগতে পারে।
  • আগের কোন পাসপোর্ট থাকলে ID Documents সেকশনে অবশ্যই সেটা সিলেক্ট করবেন ও সেই পাসপোর্ট এর তথ্য দিবেন।
  • এখন ID Documents সেকশনে সতর্কথার সাথে আপনার NID বা জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার দিবেন (যেটা দিয়ে আবেদন করবেন)।
  • Parental information এ বাবা মায়ের নাম দিবেন। তাদের National ID নাম্বার না দিলেও সমস্যা নাই।
  • Guardian information শুধু যাদের দরকার তাদের দিবেন। এতা শুধু তাদের জন্য যাদের লিগ্যাল গার্ডিয়ান আছে। বাকিরা এটাতে কিছুই পুরন করবেন না।
  • Spouse Information এ ম্যারিড দিলে কাবিননামা দিতে হবে ও স্পাউজ এর নাম ও অন্যান্য তথ্য দিতে হবে।
  • Emergency contact এ আপনি যেকোন নাম দিতে পারেন এতে কোন ভেরিফিকেশন বা সমস্যা হবে না। এটা সাধারণত দেয়া হয় ইমার্জেন্সিতে দেশে কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে সেজন্য।
  • Passport options এ আপনি আবেদনের ধরন ও পৃষ্ঠা সংখ্যা সিলেক্ট করবেন ও সে অনুযায়ী পাস্পোর্ট ফি দেখাবে।
  • Delivery Options & Appointment এ আপনাকে দেখাবে, আপনি যে কেন্দ্রে আবেদন করবেন সেখানে কোন এপয়েনমেন্ট লাগে কিনা। সাধারণত ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে এপয়েনমেন্ট লাগে না। আর ঢাকার কেন্দ্রগুলোতে এপয়েনমেন্ট লাগে। এখন নিয়মিত আবেদনে ২ মাসের মাঝেও ডেট পাওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে জরুরি সিলেক্ট করে দেখুন আগে পান কিনা। তাও না পেলে ও আপনার দ্রুত লাগলে জরুরি বা Express আবেদন সিলেক্ট করে আবেদন সাবিমিট করুন আর ব্যাংকে অতিব জরুরি/Super Express ফি প্রদান করুন। এতে আপনি কোন এপয়েনমেন্ট ছাড়াই যেকোনদিন আবেদন জমা দিতে পারবেন।
  • শেষ ধাপে আপনাকে একটা সামারি দেখাবে যে আপনি আবেদন চেক করে দেখুন কোন ভুল আছে কিনা। সব কয়েকবার চেক করে দেখুন ঠিক আছে কিনা। সব ঠিক থাকলে সাবমিট করে দিন। একবার সাবমিট করলে আপনি আর এডিট করতে পারবেন না।
  • এখন আপনি সামারি প্রিন্ট করতে পারবেন ও ফর্ম ডাউনলোড করতে পারেন।
  • সবশেষে এপ্লিকেশন ফরমের শেষ পাতায় আপনার স্বাক্ষর ও তারিখ দিন।

সরকারী চাকুরীজীবীদের জন্য NOC বা Government Order-সরকারি আদেশ লাগে কি?

পাসপোর্টে স্বামী বা স্ত্রীর নাম নতুন যুক্ত করলে কাবিননামা (কম বয়সীদের ক্ষেত্রে আবশ্যিক)। আগে কোন পাসপোর্ট থেকে থাকলে সেগুলোর মুল কপি ও ডাটা পেইজের ফটোকপি। ১৮ বছরের নিচের আবেদনকারীদের জন্য তাদের পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)। ১৫ বছরের নিচের আবেদনকারীদের পিতা-মাতার পাসপোর্ট সাইজ ছবি অথবা বৈধ অভিভাবকের পাসপোর্ট সাইজ ছবি দিতে হবে। ৬ বছরের নিচের আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও 3R সাইজের (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড) ম্যাট পেপারে ল্যাব প্রিন্ট রঙ্গিন ছবি দিতে হবে। এছাড়া ঢাকার পাসপোর্ট অফিসগুলোতে বর্তমান ঠিকানা প্রমাণের জন্য ইউটিলিটি বিল, ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র এসব লাগতে পারে।

আরও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

admin

আলামিন মিয়া, একজন ব্লগার, ডিজিটাল মার্কেটার, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার। ব্লগিংকরছি প্রায় ৭ বছর যাবৎ। বিভিন্ন অনলাইন সেবা হাতের কাছে পেতে নির্দেশনা ও পদ্ধতি গুলো ব্যাখ্যা করা হয় যা আপনি খুব সহজেই এই ওয়েবসাইট হতে পেতে পারেন। যদি অতিরিক্ত কোন তথ্য প্রয়োজন হয় বা পরামর্শ থাকে তবে মেইল করুন admin@tricksboss.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *