দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮ । জমিজমা নিয়ে মামলা কোথায় করতে হবে?
জমিজমা বা সম্পত্তি নিয়ে কোন বিরোধ সৃষ্টি হলে সেটি দেওয়ানী আদালতে নিষ্পত্তি হয়ে থাকে – দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮
টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা হলে কোথায় যাবে? –আপনাকে বিরোধপূর্ণ সে জমির বিষয়ে মামলা করতে হলে টাঙ্গাইল জেলার দেওয়ানী আদালতে মামলা করতে হবে। আপনি চাইলেও এই মামলা ঢাকা জেলার দেওয়ানী আদালতে করতে পারবেন না। এটাই দেওয়ানী আদালতের আঞ্চলিক এখতিয়ার। আর্থিক এখতিয়ার হলো কোন দেওয়ানী আদালত কত মূল্যমানের দেওয়ানী মামলা বিচার করতে পারবে সে এখতিয়ার।
দেওয়ালী আদালতে কোন আইন অনুসারে চলে? দেওয়ানী কার্যবিধি ১৮৫৯ সালে প্রথম প্রণয়ন করা হয়। যা পাশ হয় ১৯০৮ সালের ২১ মার্চ। তবে এর কিছু ধারা ও আদেশে প্রতিকারের বিধান রয়েছে বিধায় এটিকে পদ্ধতিগত আইন (Procedural Law) বলা হয়। ১৮৮২ সালে দেওয়ানি কার্যবিধি নামে একটি আইন ছিল, যার কোন আদেশ ছিল না। ধারা ছিল ৬৫৩টি এবং বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ২৬ মার্চ দেওয়ানী কার্যবিধি কার্যকর করা হয়।
দেওয়ানী আইনের প্রকৃতি কি? সাধারণত আইনের প্রকৃতি ২ ধরনের- ১। পদ্ধতিগত আইন (Procedural Law) ২। তত্ত্বগত আইন (Substantive Law) । পদ্ধতিগত আইন- »যে আইনে কোন মোকদ্দমা বা মামলার বিচার করার পদ্ধতি অর্থাৎ মামলা দায়ের থেকে শুরু করে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত যে নিয়ম বা পদ্ধতি অনুসরণের উল্লেখ থাকে সেই নিয়ম সংশ্লিষ্ট আইনকে পদ্ধতিগত আইন বলে। [যেমন] ফৌজদারী কার্যবিধি, দেওয়ানী কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন, তামাদি আইন। তত্ত্বগত আইন-যে আইনে কোনো অধিকার বা শাস্তিকে সংজ্ঞায়িত করে সেই আইনকে তত্ত্বগত আইন বলে। [যেমন] দন্ডবিধি, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন।
দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮ pdf /দেওয়ানী মামলার ধারা সমূহ
এক নজরে -দেওয়ানী কার্যবিধি সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০১২ সালে এবং ইংরেজি নাম- Code of Civil Procedure। ১৯০৮ সালের ৫নং আইন এবং কার্যকাল- ১লা জানুঃ ১৯০৯। মোট ধারা- ১৫৮টি । আদেশ- ৫১টি । তফসিল- ৫টি। অধ্যায়- ১১টি । পদ্ধতিগত আইন (Procedural Law)।
Caption: The Code of Civil Procedure 1908 PDF Download
ধারা পরিবর্তন করতে পারে জাতীয় সংসদ । পক্ষান্তরে আদেশ পরিবর্তন করতে পারে মহামান্য হাইকোর্ট।
- [ধারা ২(১)] বিধি
- [ধারা ২(২)] ডিক্রি
- [ধারা ২(৩)] ডিক্রিদার
- [ধারা ২(৪)] জেলা
- [ধারা ২(৫)] বিদেশী আদালত
- [ধারা ২(৬)] বিদেশী রায়
- [ধারা ২(৭)] সরকারি উকিল
- [ধারা ২(৮)] বিচারক
- [ধারা ২(৯)] রায়
- [ধারা ২(১০)] সাব্যস্ত দেনাদার
- [ধারা ২(১১)] বৈধ প্রতিনিধি
- [ধারা ২(১২)] অন্তর্বর্তীকালীন মুনাফা
- [ধারা ২(১৩)] অস্থাবর সম্পত্তি
- [ধারা ২(১৪)] আদেশ
- [ধারা ২(১৫)] উকিল
- [ধারা ২(১৭)] সরকারি কর্মকর্তা
- [ধারা ২(১৮)] নিয়মাবলী
- [ধারা ২(১৯)] কর্পোরেশনের শেয়ার
- ধারা ২(২০)] স্বাক্ষর
মামলা রুজুর কত দিনের মধ্যে শুনানী দিন ধার্য্য করতে হবে?
ম শুনানির ১৫ দিনের মধ্যে বিচার্য বিষয় গঠন করতে হবে এবং বিচার্য বিষয় গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করতে হবে। চূড়ান্ত শুনানির ৭ দিনের মধ্যে রায় এবং রায় ঘোষণার ৭ দিনের মধ্যে ডিক্রি প্রদান করতে হবে।