প্রবাসীদের কষ্টের পিক । একজন প্রবাসীকে প্রবাসে কত ঘন্টা কাজ করতে হয়?
প্রবাসীদের কষ্টের জীবন বেছে নিতে হয় জীবন ও জীবিকার তাগিদেই-পরিবারকে সুখে রাখতেই একজন প্রবাসীর সংগ্রামী জীবন শুরু হয় – প্রবাসীদের কষ্টের পিক
প্রবাসীরা বিদেশে কি কি কাজ করে? – প্রবাসীরা বিদেশে বিভিন্ন কাজ করতে পারে। তারা তাদের শিক্ষাগত স্তর, পেশা, কৌশল, সমৃদ্ধির স্তর, কাউন্ট্রি সংক্রান্ত বিধায় বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে পারে। এটি একটি সম্পূর্ণ তালিকা নয়, কারণ বিদেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল হয়ে থাকেন এবং তাদের নির্বিচার আগ্রহের ভিত্তিতে বিভিন্ন পেশা ও সেক্টরে কাজ করতে পারেন।
প্রবাসী জীবন কেমন? প্রবাসী জীবন একটি চ্যালেঞ্জিং ও বিশেষ অভিজ্ঞতা যেটি মানুষকে তাদের প্রাকৃতিক দেশ বা স্থান ছেড়ে দূরবাস জীবনে জীবন কাটাতে বাধ্য করে। প্রবাসী বা নীতিবাদী মানুষ প্রায়শই ভাষা, সংস্কৃতি, খাদ্য, সমাজ-সংস্কৃতি এবং অন্যান্য সাংসারিক প্রসঙ্গে নতুন পরিবেশে প্রবেশ করতে হয়। বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, ভাষা, সমাজ ও প্রশাসনিক পদ্ধতির মধ্যে প্রতিবন্ধী অনুভব হতে পারে। প্রবাসীদের মধ্যে এই নতুন পরিবেশে সমন্বয় করা প্রয়োজন হয়। প্রবাসী জীবনে ভাষা সমস্যা সামনে আসতে পারে, কারণ ভাষা বোঝা এবং বলা অন্তর্ভুক্ত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। যোগাযোগ সমস্যা থাকলে সামগ্রিক সাংস্কৃতিক অনুবাদ এবং ভাষা শেখা প্রয়োজন। প্রবাসী জীবনে অন্যদের সাথে সমাজ, সংস্কৃতি এবং ধর্মের মধ্যে ব্যতিবাধন সামনে আসতে পারে। নতুন সামাজিক পরিবেশে অনুকূল করা ও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কিছু সময় পর্যন্ত প্রবাসী অর্থ উত্পাদন এবং সঞ্চয় করার জন্য কাজ করতে পারেন না, যা তাদের আর্থিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। প্রবাসীরা সময়ের প্রথম সারিতে অধিকাংশই তাদের বাস্তবিক দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক সংযোগ ধরতে পারে না, যা নোস্টালজিয়া বা প্রাকৃতিক দেশের মধ্যে কানেকশন মনে করতে পারে।
এই সমস্যার সামনে স্থায়ী হওয়ার জন্য প্রবাসীদের সামাজিক সংস্কৃতি এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী শেখা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, ভাষা অনুবাদ এবং সাংস্কৃতিক অনুবাদ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, প্রবাসীদের সামাজিক সাপোর্ট এবং এমোশনাল সাপোর্টও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে অন্যান্য প্রবাসী বা সাম্প্রতিক প্রবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করা উপকারী হতে পারে। মানসিকভাবে শক্ত হওয়া, নতুন অভিজ্ঞতা গ্রহণ করা এবং স্বাভাবিক ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য স্বতন্ত্র অধ্যয়নের প্রয়োজন প্রবাসীদের সামর্থ্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে। এই উপায়ে, প্রবাসী জীবন প্রকৃতিকভাবে সামর্থ্য অর্জন করতে সহায়ক হতে পারে এবং আত্ম-সন্তুষ্টি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
প্রবাসে থাকলে আপনাকে অনেক কিছু খেতে হয়/ জীবন ও জীবিকার তাগিদে প্রবাসী জীবন যেমন হয়
কিছু প্রবাসী বন্ধু ছাড়া আর কেউ থাকবে না। আপনাকে খেয়ে না খেয়ে ডিউটি করে যেতে হবে।
Caption: Probashi Life without Family
বিদেশ কি কি কাজ করতে হয়? কিছু প্রমুখ কাজের উদাহরণ হলো
- পেশা: অনেকে বিদেশে তাদের পেশাগত ক্যারিয়ার শুরু করেন অথবা বিদেশে নতুন পেশা শিখে নতুন ক্যারিয়ার এবং উদ্যোগের সাথে জড়িত হতে পারেন। কিছু প্রমুখ পেশা উদাহরণ হলো ডাক্তার, প্রকৌশলী, আর্টিস্ট, অভিনেতা, সাংবাদিক, প্রফেশনাল গণিতজ্ঞ, ব্যাংকার, কম্পিউটার প্রোগ্রামার ইত্যাদি।
- শিক্ষা: প্রবাসীরা বিদেশে শিক্ষার্থীর স্থানে পড়াশোনা করতে পারেন বা শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারেন। তাদের শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়তে সহায়ক হতে পারে, এটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা অথবা বিদেশের বাংলা স্কুলের অধ্যাপনা অথবা বাংলা ভাষা শিক্ষা সংক্রান্ত সহায়ক হতে পারে।
- ব্যবসা: কিছু প্রবাসী বিদেশে ব্যবসা শুরু করেন অথবা বিদেশে নিজেদের ব্যবসা প্রসারিত করতে পারেন। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ও পেশাগত ভাবে ভিন্ন হতে পারে, যেমন বিতর্ক বা ব্যাংকিং, রিয়েল এস্টেট, নির্যাতন ও আমদানি ব্যবসা, হোটেল ব্যবসা, আউটলেট, রেস্টুরেন্ট, ইমিগ্রেশন কনসাল্টেন্সি সার্ভিস ইত্যাদি।
- সার্ভিস সেক্টর: বিদেশে অনেক প্রবাসী সরকারী কর্মকর্তা বা বিভিন্ন সেক্টরে কর্মী হিসেবে কাজ করতে পারেন, যেমন সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিদেশী কোম্পানির কর্মচারী ইত্যাদি।
- কৃষি: কিছু প্রবাসী বিদেশে কৃষি করতে পারেন এবং উন্নত কৃষি প্রযুক্তি বা উত্পাদন পদ্ধতি ব্যবহার করে অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে পারেন।
- মুদ্রাধিকারি: কিছু প্রবাসী বিদেশে মুদ্রাধিকারি হিসেবে কাজ করতে পারেন, যারা বাংলা ভাষা বিক্ষোভের জন্য জনপ্রিয় হয়েছে।
বউ রেখে বিদেশ যাওয়া টা কিভাবে দেখেন?
বউকে রেখে বিদেশে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়কালের সিদ্ধান্ত, যা পরিবার ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতা, সমর্থন এবং আর্থিক স্থিতি বিবেচনা করে নেওয়া উচিত। এটি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পক্ষগুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বউকে রেখে বিদেশ যাওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তার মতামত জিজ্ঞাসা করুন এবং তার আত্মাভিমান এবং পক্ষান্তর জিজ্ঞাসা করুন। বউকে আপনার বিচার ও কাজে সমর্থন করতে প্রয়োজন। বউকে রেখে বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্তে তার পরিবারের সমর্থন গ্রহণ করুন। পরিবারের সদস্যের মতামত ও সমর্থন অর্জন করুন। বিদেশে যাওয়া একটি বৃদ্ধি এবং আর্থিক দক্ষতা প্রয়োজন করে। বউকে রেখে বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করতে আপনার আর্থিক সম্পদ ও সম্পদের ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। প্রবাসী জীবনে ভাষা এবং সাংস্কৃতিক অনুবাদ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আপনি আপনার বউকে প্রবাসী দেশের ভাষা শেখার সমর্থন করতে পারেন এবং ভাষা ব্যবহারের জন্য আপনি সাহায্য করতে পারেন।
প্রবাসী সমাজের সাপোর্ট খুঁজে বের করা সাধনমূলক হতে পারে। বউকে রেখে বিদেশে যাওয়ার জন্য আপনি প্রবাসী সমাজের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, যারা এই প্রকারের অভিজ্ঞতা থাকে এবং সাপোর্ট প্রদান করতে পারে। মোটামুটি, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, যা বউকে রেখে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করার সময়ে অবশ্যই মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ পক্ষগুলি গুলি গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে প্রবাসী জীবনের বিভিন্ন সংকট এবং সুযোগগুলির সাথে সম্মন্ধিত প্রাসঙ্গিক মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।