ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা রিপোর্ট ২০২৩ । সংকটেও গত বছর ব্যাংকগুলো কোটি কোটি টাকা আয় করেছে
ব্যাংক সুদ হার বেধে দেওয়ার ফলে ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে – আমানতে ৬% এবং ঋণে ৯% সুদ বেধে দেয়ার ফলে বানিজ্যে গতি এসেছে তবে চলতি বছরেই মুনাফা বা সুদের হারে পরিবর্তন আসতে পারে – ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা রিপোর্ট ২০২৩
পরিচালন মুনাফা কাকে বলে? –আয় থেকে ব্যয় বাদ দিয়ে যে মুনাফা থাকে সেটিই ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা। পরিচালন মুনাফা কোনো ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়। এ মুনাফা থেকে খেলাপি ঋণ ও অন্যান্য সম্পদের বিপরীতে প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) সংরক্ষণ এবং সরকারকে কর পরিশোধ করতে হয়। প্রভিশন সংরক্ষণ ও কর-পরবর্তী মুনাফাই হলো একটি ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট মুনাফা।
বাংলাদেশে খেলাপী ঋণের পরিমাণ কত? ২০২২ সালের মার্চ মাস শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ জুনে এ অঙ্ক বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখ ২৫ হাজার ২৫৮ কোটি টাকায়, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
উৎসাহ বোনাস কি? ইনসেনটিভ বা উৎসাহ বোনাস ডেটিকেটেড কর্মকর্তা বা টার্গেটপূরণকারী কর্মকর্তাদের প্রদান করা হয়। উৎসাহ বোনাস বা ইনসেনটিভ সাধারণত মুল বেতনের সমপরিমাণ হয়ে থাকে। রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আর্থিক সচ্ছলতা এবং তারল্য অবস্থা সন্তোষজনক পর্যায়ে বিবেচিত হলে নিট মুনাফার ভিত্তিতে উৎসাহ বোনাস দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণ ও অন্যান্য সম্পদের বিপরীতে প্রয়োজনীয় সংস্থান সমন্বয়ের পর যথেষ্ট মুনাফা থাকলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে।
ব্যাংকগুলো বছরে কয়টি বোনাস দেয়? / ব্যাংকগুলো উত্তম কর্মকর্তাদের পরিচালনা মুনাফা হতে ৫টি পর্যন্ত উৎসাহ ইনসেনটিভ দিচ্ছে
সোনালী ব্যাংক চারটি এবং অগ্রণী ব্যাংক তিনটি পূর্ণ বোনাস ও আরেকটি বোনাসের এক চতুর্থাংশ দিয়েছে তাদের কর্মীদের। রূপালী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক উভয়ে তিনটি করে বোনাস দিয়েছে। প্রতিটি প্রণোদনা বোনাস এক মাসের মূল বেতনের সমান। ব্যাংকগুলো ঈদুল আজহার ছুটির আগে প্রণোদনা বণ্টন করেছে।সূত্র দেখুন
Caption: Source of Information from Bank Bari
ব্যাংক পরিচালক মুনাফা রিপোর্ট ২০২৩ । গত বছর ঋণ খেলাপি বাড়লেও প্রতিটি ব্যাংক পরিচালন মুনাফায় রেকর্ড গড়েছে
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি:- ২৬৪০ কোটি টাকা।
- সোনালী ব্যাংক লি:- ২৫২০ কোটি টাকা।
- সাউথইস্ট ব্যাংক লি:- ১ ১৩৫ কোটি টাকা।
- মার্কেন্টাইল ব্যাংক লি:- ৮৪৫ কোটি টাকা।
- সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লি:- ৫৫০ কোটি টাকা।
- যমুনা ব্যাংক লি:- ৮৩০ কোটি টাকা।
- আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লি:- ৮১০ কোটি টাকা।
- এনআরবিসি ব্যাংক লি:- ৪৫৫ কোটি টাকা।
- ইউনিয়ন ব্যাংক লি:- ৪৫০ কোটি টাকা।
- সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লি:- ২০০ কোটি টাকা।
- মেঘনা ব্যাংক লি:- ১০৫ কোটি টাকা।
- সিটিজেন ব্যাংক লি:- ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
কোন ব্যাংক কি লস বা লোকসান করেনি?
হ্যাঁ– ধার দেনায় ডুবে থাকা ব্যাংক আছে আমাদের তার নাম রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক। গত বছর বেসিক ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করতে পারেনি। বরং তাদের লোকসান হয়েছে ৩৭১ কোটি টাকা। বলে রাখা ভাল গত বছরও ক্ষতি ছিল ৮০ কোটি টাকা। জনসাধারণের ভয়ের কিছু নেই কারণ লোকসান হতে পারে আশার বিষয় এই যে, বাংলাদেশের আজ পর্যন্ত কোন ব্যাংক দেওলিয়া ঘোষিত হয়নি। হ্যাঁ আমানত ফেরত পেতে বিলম্ব হতে পারে কিন্তু দেওলিয়া ঘোষিত হবে না কোন ব্যাংক এ মর্মে নিশ্চয়তা দিয়েছে স্বয়ং বাংলাদেশ ব্যাংক ।