মাইক্রোচিপ কি? মাইক্রোচিপ দিয়ে কি ভাবে ব্রেইন ওয়াশ করা যায়?
মাইক্রোচিপ কেমন এবং মাইক্রোচিপ ব্রেইন ওয়াশ
১। মাইক্রোচিপ কি?
মাইক্রোচিপ চিকিৎসার নামে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার মাইক্রোচিপ প্রযুক্তি ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস (অস্টিন) আবিস্কার করেছে গ্রাফিন ইঙ্ক ট্যাটু, হেল্থ মনিটর।
২। মাইক্রোচিপ দেখতে কেমন? মাইক্রোচিপ দিয়ে কি ভাবে ব্রেইন ওয়াশ করা যায়?
চালের দানার চেয়েও ছোট আকারের এই মাইক্রোচিপ হাত বা পায়ের চামড়ার নীচে এমনিতেই বসানো সম্ভব। এতে থাকা বারকোডে রয়েছে কম্পিউটারের সাহায্যে উদ্ধারযোগ্য তথ্য। এ তথ্য সেলুলার স্কিন স্ক্যানারের সাহায্যে পড়া যায়। এই মাইক্রোচিপের প্রস্তুতকারক কর্তৃপ জানান, এটি আপাতত, ব্যবহার ও প্রয়োগ করা হবে মানুষের ব্যবহৃত ওষুধের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া তদারকী, হৃৎপিন্ড, কিডনী, রক্ত, অ্যালার্জি, বা ডায়াবেটিস আছে এমন লোকের শরীরে স্থাপন করে তাদের দেখভাল করার কাজের জন্য। কারণ, জরুরি অবস্থায় মাইক্রোচিপের তথ্য মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
বর্তমানে প্রচলিত আপনার নিরাপত্তা , পরিচিতির জন্য যে পাসপোর্ট, আইডি কার্ড রয়েছে তা আপনার কাছে না থাকলেও চলবে। রোগীকে আর যেতে হবে না চিকিৎসকের কাছে। নিজ বাসায় নিজ বিছানায় শুয়ে থাকবেন রোগী। ওদিকে ডাক্তার নিজের চেম্বারে বসেই জেনে নেবেন তার রোগীর শারীরিক অব্স্থা। শুধু কি তাই? চিকিৎসক নিজ চেম্বারে বসেই বাসায় শুয়ে থাকা তার রোগীর প্রয়োজনীয় প্রতিবিধানও দেবেন দূর থেকেই। এ কোন ভেলকি জাদু নয় । একদমই সত্যি। দূরে বসেও মানুষের ব্যাক্তিগত খোঁজ খবর নজরদারির কাজটি এতদিন ছিল খুবই কঠিন।
এ সমস্যার সহজ সমাধান এনে দিলো একটি ক্ষুদ্রাকার মাইক্রোচিপ আর সেলুলার স্কিন। যার সাহায্যে অপহৃত বা হারানো মানুষকেও তাৎনিক খুঁজে বের করা সম্ভব।
একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেই ডাক্তার রোগীর সমস্ত তথ্য পাবে।
রোগে আক্রান্ত হবার আগেই রোগী পাবে বিশেষ সতর্ক বার্তা। এই বিষয়টিই বেশি বেশি প্রচার করে ব্রেইন ওয়াশ করা হবে মানুষকে, যাতে এগুলো নেওয়ার জন্য উৎসাহিত হয়। সুইডেনে প্রায় চার হাজার মানুষ ইতোমধ্যে এ প্রযুক্তি গ্রহণ করে তাদের শরীরের চামড়ার নিচে মাইক্রোচিপ লাগিয়েছেন।
৩। মাইক্রোচিপের আসল রহস্য কি?
মাইক্রোচিপ স্থাপনে আপনি চলে যাবেন তাদের হাতের মুঠোয়! তারা নজরদারি বৃদ্ধি করবে আপনার উপরে, তাদের মতো করে চলতে বাধ্য করবে,চাইলে মেরেও ফেলতে পারবে অবাক হওয়ার কিছু নেই,উপরেই বলেছি তারা আপনার রোগ হতে প্রতিটা পদক্ষেপ নজরে রাখবে এককথায় আপনি রোবটে ,তাদের হাতের পুতুলে পরিনত হবেন।
৪। মাইক্রোচিপের অপব্যবহার দিক গুলো
জীবনরক্ষাকারী ও মানুষকে অনুসরণকারী এই চিপ মানুষের মৌলিক কল্যাণে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হলেও অপরাধীরা এই চিপের অপব্যবহারে কসুর করবে না একথা নিশ্চিত। দূস্কৃতিকারীরা তথ্য প্রকাশ করে হীন স্বার্থে ব্যবহার করবে। আইন শৃঙ্খলারকারী কর্তৃপরে উপর পাল্টা এই মাইক্রোচিপ ব্যবহার করে নজর রাখবে এবং নিজেরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকবে।
উদাহরণ
মাইক্রোচিপটা লাগানো আছে আমার বৃদ্ধাঙ্গুলের মাথায়। আমি যদি আমার আঙ্গুল মুঠো না করি, তাহলে আপনি এটা দেখতেই পাবেন না। এটা সিরিঞ্জ দিয়ে এখানে ঢোকানো হয়েছে।
এটা আঙ্গুলে ঢোকাতে মাত্র এক সেকেন্ড সময় লাগে। এটা একদম আপনার চাবির ট্যাগের মতোই কাজ করে। যেভাবে আপনি আপনার গ্যারেজের দরজা খুলেন, বা অফিসে ঢোকেন, অনেকটা সেরকম।