সর্বজনীন পেনশন স্কিম ২০২৩ । গৃহিনীগণ কি সুরক্ষা স্কিম গ্রহণ করতে পারবে?
সরকার সবার ভবিষ্যত জীবন নিশ্চিত করার জন্যই মূলত সার্বজনীন পেনশন চালু করেছে- তবে শেষ বয়সের সম্বল হিসেবে মাসিক পেনশনই ভরসা হিসেবে কাজ করবে – সর্বজনীন পেনশন স্কিম ২০২৩
সুরক্ষা স্কিমটি কাদের জন্য?– কৃষক শ্রমিক জেলে তাঁতী পেনশন স্কিমে সবাই মাতি স্লোগানের মাধ্যমেই পরিস্কার করা হয়েছে যে, স্কিমটি কাদের জন্য প্রযোজ্য হইবে। অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি যেমন: কৃষক, রিক্সাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতিসহ সকল অনানুষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদানপূর্বক এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
সুরক্ষা স্কীমে সরকারি ভর্তুকী দিবে? না। সুরক্ষা স্কীমে কোন ভর্তুকী দিবে না। শুধুমাত্র স্বল্প আয়ের ব্যক্তিদের জন্য সমতা স্কীম সেটিতে সরকার ৫০০ টাকা ভর্তুকী দিবে অর্থাৎ এক হাজার টাকা চাঁদা হবে। ৫০০ টাকা চাঁদা দাতা দিবে আর ৫০০ টাকা সরকার ভর্তুকী দিবে। এই স্কিমটি মূলত প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বা হত দরিদ্রদের স্কীম। এক্ষেত্রে সরকারি কোন সুবিধা গ্রহণ করে থাকলে তা বাতিল করে সমতা স্কিমে এনরোল করতে হবে।
মাসিক পেনশন কিভাবে পাবে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, পেনশন পেতে দীর্ঘসূত্রিতা বা হয়রানির কোন সুযোগ নেই, কারণ সব গ্রাহকদের থেকে কিস্তি সংগ্রহ এবং পেনশন দেয়ার সম্পূর্ণ লেনদেন অনলাইনে সম্পন্ন হবে। সেটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। কিস্তি দাতার বয়স ৬০ বছর হওয়ার পর তার ব্যাংক হিসাবে অথবা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে মাসিক পেনশন পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩ pdf । সর্বজনীন পেনশন সুবিধা
চাঁদাদাতা বা পেনশনার মৃত্যুবরণ করিলে উত্তরাধিকার কি পাবে? নমিনীর অবর্তমানে উত্তরাধিকারী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত উত্তরাধিকার সনদের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ উত্তরাধিকার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি সচিব, অর্থ বিভাগ বরাবর আপিল করিতে পারিবেন। আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
Caption: upension.gov.bd
সর্বজনীন পেনশন স্কিম ২০২৩ । পেনশনের সুবিধা কি?
- পেনশনারগণ আজীবন অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তবে কেউ যদি ৭৫ বছর বয়স পূরণ হবার আগেই মারা যান তাহলে তার নমিনি পেনশনারের বয়স ৭৫ হওয়া পর্যন্ত পেনশন সুবিধা পাবেন।
- আর যদি পেনশনার ১০ বছর চাঁদা দেবার আগেই মারা যান তাহলে তার জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনিকে ফেরত দেয়া হবে।
- কারো যদি পেনশনে জমাকৃত অর্থ কোন এক পর্যায়ে উত্তোলনের দরকার হয় তাহলে সেই সুযোগও থাকছে। তার মোট জমার সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ অর্থ তিনি আবেদনের প্রেক্ষিতে ঋণ হিসেবে নিতে পারবেন।
- পেনশনের জন্য প্রতিমাসে জমা দেয়া চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হবে এবং সেই অর্থ কর রেয়াতের জন্য বিবেচিত হবে। আর মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ হবে আয়কর মুক্ত।
পেনশন স্কিম কাদের জন্য?
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বলছে , দেশের সর্বস্তরের জনগণকে সুবিধা দিতে এই পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। বিশেষ করে, গড় আয়ু বৃদ্ধির কারণে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে তাদের সামাজিক নিরাপত্তা দেবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা।জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল শ্রেণী পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এই স্কিমে অংশ নিতে পারবে। অর্থাৎ সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অংশ হতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র আবশ্যক।