সাইক্লোন মোখা মোকাবেলা । ভয়াবহ সুপার সাইক্লোন মোখা মোকাবেলা বর্তমান আপডেট জেনে নেই
ভয়াবহ সুপার সাইক্লোন মোখা মোকাবেলা বর্তমান অবস্থা
সাইক্লোন মোখা কি?
ঘূর্ণিঝড় মোখা ভয়াবহ সুপার সাইক্লোন রুপে কক্সবাজার টেকনাফ সেন্টমার্টিন রাখাইন আরাকান রাজ্য ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার দিকে ক্রমশ প্রবল শক্তি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে ।
এটি আজ ১৪ ই মে ভোর ভোর ৫:২০ মিনিটে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিলো এবং এটি ক্রমশ উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে ।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৬ কি:মি ব্যাসার্ধের ভেতরে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গড় গতিবেগ ঘন্টায় ২৫০ কি:মি যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ২৯০ কি:মি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে । কি ভয়াবহ অবস্থা আল্লাহ্ আকবার ।
সাগর ঐ স্থানে প্রচন্ড উত্তাল আছে ।
ঘূর্ণিঝড় টির অগ্রভাগ ১৪ ই মে সকাল থেকে কক্সবাজার ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা অতিক্রম করা শুরু করতে পারে এবং ঘূর্ণিঝড় এর কেন্দ্র দুপুরের দিকে অতিক্রম করা শুরু করতে পারে ।
সতর্ক সংকেত :
কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ১০ নাম্বার মহা বিপদ সংকেত চলছে (BMD) । তবে ১১ নাম্বার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত সময়ের ব্যাপার ।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৮ নম্বর, পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও মংলা সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সতর্ক সংকেত চলছে ।
ঘূর্ণিঝড় মোখা এর আঘাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে ।
সুপার সাইক্লোন মোখা কক্সবাজার ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার দিকে ক্রমশ অগ্রসর হচ্ছে । ঘূর্ণিঝড় টি সম্পূর্ন অতিক্রম করতে আগামীকাল সকাল ৮:০০ মিনিট হতে সন্ধ্যা /রাত হয়ে যেতে পারে ।
মানে ঐ সকল এলাকায় দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ঝড়ের তান্ডবলীলা চলতে পারে ।
প্রচুর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
কক্সবাজার বান্দরবান চট্টগ্রাম সন্দ্বীপ মহেশখালি কুতুবদিয়া সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ এই সকল এলাকার সকলকে আজ সকালের আগেই নিরাপদ স্থান আশ্রয় কেন্দ্রে ও কংক্রিট যুক্ত বড় বিল্ডিং এ চলে যাওয়া উচিত ।
এখানে টেকনাফ কক্সবাজার ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘন্টায় ২০০-২৫০ কিলোমিটার বা তারও অধিক বেগে প্রবল দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে । আর সেইসাথে ১৫-২৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে ।
বৃষ্টি : এ সকল এলাকায় গড়ে ৩০০ মি:মি এর আশেপাশে প্রবল বৃষ্টি ও বর্ষণ হতে পারে
চট্টগ্রাম সন্দ্বীপ উপকূলে ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘন্টায় ১২০-১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে । আর সেইসাথে ১২-১৮ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে
বৃষ্টি : এ সকল এলাকায় গড়ে ৮০-১৫০ মি:মি এর আশেপাশে বৃষ্টি ও বর্ষণ হতে পারে ।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
রাঙ্গামাটি চট্টগ্রামের পূর্বাঞ্চল ফেণী নোয়াখালী ভোলা হাতিয়া পটুয়াখালী ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ ।
এখানে যারা আছেন তারা আগামীকাল দুপুরের আগে মোটামুটি নিরাপদ স্থান আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাবেন ।
এ সকল এলাকায় ঘন্টায় ৬০-১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে । আর সেইসাথে ৫-১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে ।
বৃষ্টি : এ সকল এলাকায় গড়ে ৩০- ৭০ মি:মি পর্যন্ত মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
হাল্কা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
খাগড়াছড়ি কুমিল্লা লক্ষীপুর বরগুনা ঝালকাঠি পিরোজপুর মংলা দক্ষিণ খুলনা দক্ষিণ সাতক্ষীরা দক্ষিণ পিরোজপুর এ সকল স্থানের কাউকে নিরাপদ স্থানে যেতে হবে না । তবে সাগরে না থাকলেই হলো ।
বৃষ্টি : এ সকল এলাকায় হাল্কা-মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে ।
নিরাপদ এলাকা
সম্পূর্ন পশ্চিমবঙ্গ রংপুর রাজশাহী সিলেট ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগ এবং উত্তর খুলনা ও উত্তর বরিশাল বিভাগ । এ সকল এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না । শুধুমাত্র আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে
বৃষ্টি : এ সকল এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা কম । আর হলেও তা সামান্য ছিঁটেফোঁটা ।
আজ রাতে চট্টগ্রাম বিভাগ প্রায় নিরাপদ থাকলেও আগামীকাল ১৪ ই মে সকাল ৮:০০ মিনিটের পর থেকে পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে ভয়াবহ রুপ নিতে পারে । প্রায় ১০-১২ ঘন্টা পর্যন্ত একটানা ঝড়ের তান্ডবলীলা চলতে পারে ।
চরম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সবাই মোবাইলে চার্জ দিয়ে রাখুন এবং সকল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে যথাসম্ভব নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখুন ।
বৃষ্টি বলয় তুফান :১৩ ই মে টু ১৫ ই মে ২০২৩
পর্যন্ত ।
সম্ভাব্য আক্রান্ত অঞ্চল : চট্টগ্রাম বিভাগ সম্পূর্ন ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চল । অলরেডি আক্রান্ত হতে শুরু করে দিয়েছে ।
পরবর্তী নতুন বৃষ্টি বলয়
ঘূর্ণিঝড় মোখা অতিক্রম করার ২ দিন পর দেশের অনেক এলাকার উপর শক্তিশালী বৃষ্টি বলয় ঝুমুল আসতে পারে ।
এতে প্রচুর কালবৈশাখী বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি থাকতে পারে ।
বেশি আক্রান্ত স্থান : রংপুর সিলেট ময়মনসিংহ, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অনেক এলাকা ।
পরবর্তী আপডেট : ১৪ ই মে সকাল ১০:০০ মিনিটের পর ।
অতএব পরবর্তী আপডেট জানার জন্য আপনারা আমাদের সাথেই থাকুন ।
সবসময় আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখুন সতর্ক থাকুন ও নিরাপদ থাকুন এবং দেশকে ভালোবাসুন