ই পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ২০২২– নতুন ই-পাসপোর্ট করতে হলে কিছু কাগজ সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হয়। সেগুলো হলো-এনআইডি অথবা স্মার্ট কার্ডের ফটো কপি, পরিচয়পত্রের মূল কপি অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দেখাতে হবে। ১৮ বছরের কমবয়সীদের জন্য জন্ম-নিবন্ধন সার্টিফিকেট, বাবা-মায়ের ছবি ও এনআইডি’র কপি জমা দিতে হয়।

বাংলাদেশী পাসপাের্টের গ্রহণযােগ্যতা বৃদ্ধিকরণ এবং পাসপাের্টের নিরাপত্তা অধিকতর নিশ্চিতকরণসহ বিদেশ ভ্রমণ ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজিকরণের লক্ষ্যে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ই-পাসপাের্ট ব্যবস্থা প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ই-পাসপাের্ট প্রাপ্তির আবেদন ফরম নতুনভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে যা অনলাইন ও অফলাইন উভয় প্রক্রিয়ায় পূরণ করে আবেদনকারিগণ যথানিয়মে জমা প্রদান করতে পারবেন।

ই-পাসপাের্টের মেয়াদ হবে ০৫ (পাঁচ) বছর ও ১০ (দশ) বছর এবং পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪৮ (আটচল্লিশ) ও ৬৪ (চৌষট্টি)। ই-পাসপাের্ট বিতরন প্রকৃতি তিন ধরণের হবে: (১) সাধারণ ক্যাটাগরি (২) জরুরি ক্যাটাগরি ও (৩) অতিব জরুরি ক্যাটাগরি। বিভিন্ন ক্যাটাগরির ই-পাসপাের্টের জন্য নতুনভাবে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ই-পাসপাের্ট ফরম, ফরম পূরণের নির্দেশাবলি এবং ই-পাসপাের্ট ফি সংশ্লিষ্ট সকলের জ্ঞাতার্থে পরিশিষ্ট ‘ক’ ও ‘খ’ আকারে এতদসঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে। ই-পাসপাের্ট ফরম এবং ফি নির্ধারণ সংক্রান্ত সুরক্ষা সেবা বিভাগের ০১/০৮/২০১৯ তারিখে ৫৮.০০.০০০০.০৪০.০১. ০০১.১১-৬১০ নং পরিপত্র এতদ্বারা বাতিল করা হয়েছে।

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে / ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২২

সাধারণ, জরুরি ও অতীব জরুরি বিতরণের ধরণ অনুসারে আবেদন ফি ভিন্ন হয়ে থাকে।

ই পাসপোর্ট ফি কত ২০২2, ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২১, জরুরি পাসপোর্ট করতে কত দিন লাগে, পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে, ৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট ফি, পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে, ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট ফি, এমআরপি থেকে ই পাসপোর্ট,

ই পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন: ই পাসপোর্ট ফরম ডাউনলোড pdf

ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণের নিয়মাবলী ২০২২। যে নিয়ম কানুন গুলো মেনে ই পাসপোর্ট আবেদন করবেন।

  1. ই-পাসপাের্টের আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে অথবা PDF ফরমেটে ডাউনলােড করেও এ ফরমটি পূরণ করা যাবে;
  2. ই-পাসপাের্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়ােজন হবে না;
  3. ই-পাসপাের্ট ফরমে কোন ছবি সংযােজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়ােজন হবে না;
  4.  জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ অনুযায়ী আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে;
  5. অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারি যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে;
  6. জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ নিম্নোক্ত বয়স অনুসারে দাখিল করতে হবে;
    (ক) ১৮ বছরের নিম্নের হলে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ; (খ) ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ; (গ) ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক। তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ গ্রহণযােগ্য হবে;
  7. তারকা চিহ্নিত ক্রমিক নম্বরগুলাে অবশ্যই পূরণীয়;
  8. দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপাের্টের আবেদনের সাথে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত আদেশ দাখিল করতে হবে;
  9. আবেদন বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় পাসপাের্ট ও ভিসা অফিস/আঞ্চলিক পাসপাের্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে;
  10. ১৮ বছরের নিম্নের এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে সকল আবেদনে ই-পাসপাের্ট এর মেয়াদ হবে ০৫ বছর;
  11. প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলােড/সংযােজন করতে হবে;
  12. প্রযােজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/প্রত্যয়নপত্র/অবসরােত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলােড/সংযােজন করতে হবে, যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ website এ আপলােড থাকতে হবে;
  13. প্রযােজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে;
  14. দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট (VAT) সহ অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) অতিরিক্ত হিসেবে প্রদেয় হবে। বিদেশে আবেদনের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদেয় হবে;
  15. কূটনৈতিক পাসপাের্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার উইং (Consular and Welfare Wing) অথবা ইমিগ্রেশন ও পাসপাের্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে;
  16. বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপাের্টের জন্য আবেদন করা হলে স্থায়ী ঠিকানার কলামে বাংলাদেশে যােগাযােগের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে;
  17. অতি জরুরি পাসপাের্টের আবেদনের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহপূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে;
  18. (ক) দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপাের্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য
    সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপাের্ট প্রদান করা হবে।
  19. (খ) দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপাের্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপাের্ট প্রদান করা হবে।
  20. (গ) দেশের অভ্যন্তরে রেগুলার পাসপাের্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপাের্ট প্রদান করা হবে।
  21. আবেদনের সময় মূল জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) এবং প্রযােজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে;
  22. পাসপাের্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপাের্ট প্রদর্শন করতে হবে;
  23. হারানাে পাসপাের্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে;
  24. ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে 3D সাইজের ছবি দাখিল করতে হবে।

ই পাসপোর্ট করতে সর্বনিম্ন কত টাকা লাগে?

ই পাসপোর্ট করতে সর্বনিম্ন ৪০২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩,৮০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তাছাড়া নিজে অনলাইনে আবেদন করতে না পারলে কোন অনলাইন সেবার দোকানে করালে বাড়তি ২০০ টাকা খরচ হতে পারে। এই খরচ ব্যতীত পাসপোর্ট অফিসে কোন অতিরিক্ত ফি নেই।

ই পাসপোর্ট ফরম ডাউনলোড pdf । ই পাসপোর্ট ফি কত ২০২২ : Download