আধুনিক দলিল লেখার নিয়ম ২০২৩ । দলিল লেখার ফরম্যাট
আধুনিক দলিল লেখার পদ্ধতি ২০২৩ – দলিল হচ্ছে জমির মালিকানা প্রমাণের একমাত্র মাধ্যম। তাই জমির দলিল করার সময় দলিলে যেন কোন রকম ভুল ত্রুটি না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমানে কম্পিউটারে টাইপ করে দলিল লেখা হয়। এতে ভুল ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আজকে আমরা আধুনিক পদ্ধতিতে দলিল লেখার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করবো। দলিল নমুনা ফরম ২০২৩ । সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল Word Format সংগ্রহ করুন।
একটি আধুনিক দলিলের নমুনা
শিরোনাম : সাফ কবলা দলিল
বিক্রিত জমি : ২০ (বিশ) শতাংশ
বিক্রিত জমির মূল্য : ৬,৫০.০০০/= ( ছয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা।
পক্ষ পরিচয়
১ম পক্ষ : জনাব মোঃ আতিকুর রহমান, পিতা : মোঃ তারিকুর রহমান, মাতা- আমেনা বেগম, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বব: ……………………… সাকিন : গড়াশিন, উপজেলা : টাংগাইল সদর, জেলা- টাংগাইল, জাতীয়তা : বাংলাদেশী, ধর্ম : ইসলাম, পেশা : ব্যবসা…….দলিল গ্রহীতা।
২য় পক্ষ : জনাব মোঃ নাজমুল হোসেন, পিতা : মোঃ ইউনুস আলী, মাতা: মমতা বেগম, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর: ………………. সাকিন : দাইন্যা শিবপুর, উপজেলা : টাংগাইল সদর, জেলা- টাংগাইল, জাতীয়তা : বাংলাদেশী, ধর্ম : ইসলাম, পেশা : চাকুরী……….দলিল দাতা।
স্বত্বের বর্ণনা : পরম করুণাময় আল্লাহর নাম স্মরণ রেখে অত্র বিক্রয় দলিলের বর্ণনা শুরু করছি। নিম্ন তফসিল বর্ণিত ২০ (বিশ) শতাংশ জমির সি.এস রেকর্ডীয় মালিক মৃত বশির আহমেদের পুত্র এবং এম. এম. ট্রেডিং এর মালিক জাকারিয়ার নিকট হতে আমি অত্র দলিল দাতা বিগত ১৯/৩/২০১৫ ইং তারিখে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে রেজিষ্ট্রিকৃত ১ নং বহির ১০ নং ভলিউমের ২১০-২৪০ পৃষ্ঠায় লিখিত…. নং সাফ কবলা দলিল মূলে প্রাপ্ত হয়েছি। উক্ত জমি নামজারী মূলে আমার নিজ নামে ৪২০ নং হোল্ডিং ভুক্ত হয়। যার উন্নয়ন কর হাল সন পর্যন্ত আমি পরিশোধ করে নির্বিবাদে ভোগ দখল করছি।
বিক্রয় বর্ণনা : নিম্ন তফসিল বর্ণিত জমি আমি সাফ বিক্রির ঘোষণা করলে আপনি দলিল গ্রহীতা তা ক্রয় করতে ইচ্ছুক হওয়ার পরস্পর আলোচনান্তে জমির বর্তমান বাজার যাচাইয়ের সর্বোচ্চ মূল্য মং ৬,৫০,০০০/- (ছয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা সাব্যস্ত করতঃ সাব্যস্তকৃত সাকুল্য টাকা অদ্য হাজিরান মজলিসের সামনে নগদ বুঝে পেয়ে ও নিয়ে অত্র সাফ বিক্রয় দলিল সম্পাদন ও কটিয়াদী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে দাখিল দিয়ে আমি দলিল দাতা চিরতরে নিঃস্বত্ববান হলাম এবং বিক্রিত জমির দখল অদ্যই আপনার নিকট বুঝিয়া দিলাম।অদ্য হতে এ দলিল বিক্রিত জমিতে আমার যাবতীয় স্বত্বে স্বত্ববান ও মালিক দখলদার নিয়ত থেকে আমার নামের খারিজে আপনার নামজারী করতঃ আপনার সদিচ্ছাভাবে আপনি ও আপনার ওয়ারিশগণ বিক্রয়/হস্তান্তরের অধিকারসহ ভোগ দখল করতে থাকুন। এতে আমার বা আমার উত্তরাধিকারীগণের কারো কোনো প্রকার ওজর আপত্তি বা দাবি চলবে না।
নিষ্কণ্টকতার অঙ্গীকার : অত্র দলিলের তফসিলভুক্ত জমি আমি ইতোপূর্বে কারো নিকট দান, উইল, রেহান বা বিক্রি মূলে হস্তান্তর করিনি। কোন ব্যাংক বা কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট দায়বদ্ধ রাখিনি। অন্য কারো নিকট হতে বায়না গ্রহণ করিনি। নিম্ন তফসিল বর্ণিত জমি আমি সম্পূর্ণ নির্দায়ী, নিষ্কন্টক অবস্থায় আপনার নিকট বিক্রি করিলাম। অত্র দলিলের খতিয়ান দাগ, চৌহদ্দি বয়ানে বা কোন প্রকার ভুল ভ্রান্তিতে আপনার বৈধ স্বত্ব সংরক্ষণে বা যে কোন প্রয়োজনে আমি “ভ্রম সংশোধন দলিল” সম্পাদনসহ সব রকম সহায়তা করবো। এ জমির বিষয়ে ভবিষ্যতে কোন তঞ্চকতা প্রকাশ পেলে আমি আইনত দায়ী থাকবো।
তফসিল বর্ণনাঃ জেলা- টাংগাইল, উপজেলা ও সাব-রেজিষ্ট্রি- টাংগাইল, মৌজাস্থিত ..……. অর্থাৎ দুই দাগে বিক্রিত জমি (১২ + ০৮) = ২০ (বিশ) শতাংশ। বিক্রিত জমির ভৃঃ ইঃ কর তহসিলদার দাইন্যা শিবপুর বরাবরে প্রদেয়।
চৌহদ্দি বর্ণনাঃ বিক্রিত জমির উত্তরে আমেনা, পূর্বে আ: মান্নান, দক্ষিণে, বিক্রেতা করিম ও পশ্চিমে মফিজ উদ্দিন। এ চৌহদ্দির মধ্যে বিক্রিত ২০ (বিশ) শতাংশ জমি।
সম্পাদনাঃ এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, সুস্থ শরীরে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র সাফ কবলা দলিল লিখিয়ে, পাঠ করে ও এর মর্ম অবগত হয়ে সম্পাদন সহি দিলাম।
ইতি
তারিখ বাংলা…….… সনের….……, আষাঢ়, ইংরেজী……..… সনের…….…. জুলাই, সময় সকাল ১০.৩০ মিনিট।
অত্র দলিলে হলফনামাসহ ফর্দ সংখ্যা ৬(ছয়), দলিল কম্পিউটারের টাইপকৃত।
দাতা ১ (এক) জন, গ্রহীতা ১ (এক) জন, সাক্ষী ২ (দুই) জন, সনাক্তকারী ১ (এক) জন।
স্বাক্ষর :
মুসাবিদা কারক নামঃ ……………….……. দাতার নামসহ স্বাক্ষরঃ ………………..…..…, এস. আর. অফিসঃ ……..……….. দলিল লেখার সনদ নং ………. সাক্ষীগণের স্বাক্ষরঃ (১) ……………………….(২) …………………………
স্পষ্ট অক্ষরে সনাক্তকারীর নাম…………………..……, পিতার নাম…………………… সাকিন…………….।
শেষ কথাঃ দলিল যেহেতু জমির মালিকানা দাবি বহন করে। তাই জমির দলিল শুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন হওয়া বাঞ্ছনীয়। বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে দলিল লেখাই সকলের জন্য ভালো।